পাইকারি বিদ্যুতের দাম ২২ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ-গণশুনানি ছাড়াই বাড়তে পারে খুচরার দাম
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) পাইকারি বিদ্যুতের দাম ৫০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে এই খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে। তবে বিইআরসির গঠিত মূল্যায়ন কমিটি পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য প্রায় ২২ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বিইআরসি কার্যালয়ে পাইকারি বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তবে খুচরা বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির জন্য চলতি মাসে শুনানির কথা থাকলেও শুনানি না করেই গ্রাহক পর্যায়ে খুচরা বিদ্যুতের দাম বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গ্রাহক পর্যায়ে চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে বর্ধিত হারে বিদ্যুতের মূল্য পরিশোধ করতে হবে আগামী মাসে।
শুনানিতে মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব তুলে ধরেন পিডিবির পরিচালক (সিস্টেম প্ল্যানিং) মিজানুর রহমান। শিগগিরই খুচরা বিদ্যুতের শুনানি আয়োজনের পর একটি সমন্বিত মূল্য বৃদ্ধির রায় ঘোষণা করা হবে বলে কমিশন জানায়। এ নিয়ে চলতি বছর তৃতীয় দফায় বাড়ানো হচ্ছে বিদ্যুতের দাম। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আমলে এ নিয়ে বাড়বে ষষ্ঠবারের মতো।
বিইআরসি চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ হোসেন ও কমিশনের দুই সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ ও মো. ইমদাদুল হক, পিডিবির চেয়ারম্যান এস এম আলমগীর হোসেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দিন এবং কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সদস্যরা গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
কবে নাগাদ পাইকারি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা আসবে জানতে চাইলে কমিশনের সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ কালের কণ্ঠকে বলেন, শিগগিরই এ বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত দেবে।
পিডিবির পক্ষে বলা হয়, প্রস্তাবিত পাইকারি মূল্য বাড়ানো না হলে ইউনিটপ্রতি গড় সরবরাহ ব্যয় ও ট্যারিফ ব্যবধান হবে দুই টাকা ৮৫ পয়সা। এতে করে চলতি অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ হবে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা। আর জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে ঘাটতির পরিমাণও আনুপাতিক হারে বাড়বে। এ ছাড়া জ্বালানি ব্যয় বাড়লে তাৎক্ষণিকভাবে পাইকারি মূল্য সমন্বয়ের ব্যবস্থা রাখার প্রস্তাব করেছে পিডিবি। তবে কমিশনের মূল্যায়ন কমিটির হিসাবে পিডিবির গড় সরবরাহ ব্যয় হবে চার টাকা ৯০ পয়সা, যা বর্তমান মূল্যের চেয়ে ২১ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে জ্বালানি তেলে কমিশনের অনুমোদিত বরাদ্দের চেয়ে ২৪৪ কোটি ২৬ লাখ সাত হাজার টাকা কম ব্যয়ের বিষয়টি বিবেচনা করেছে বিইআরসি।
বিইআরসির মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়, পিডিবিকে সরকারের দেওয়া তিন হাজার ৭০০ কোটি টাকা ভর্তুকির বিষয়টি বিবেচনা করে বিদ্যমান পাইকারি মূল্য ২১ দশমিক ৮৯ শতাংশ বাড়ানো যেতে পারে। এতে প্রতি ইউনিটে বাড়বে ৮৮ পয়সা। তাতে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম হবে চার টাকা ৯০ পয়সা। যদিও পিডিবির প্রস্তাবে দুই টাকা এক পয়সা বৃদ্ধি করে ছয় টাকা তিন পয়সা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে।
জানা যায়, গত ৬ জুন বিইআরসির কাছে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করে পিডিবি। এ প্রস্তাবনায় পাইকারি পর্যায়ে ইউনিটপ্রতি (কিলোওয়াট ঘণ্টা) ৪ দশমিক ২ টাকা থেকে ৬ দশমিক শূন্য ২ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে নতুন দাম কার্যকর করার কথা বলা হয় প্রস্তাবে। পাইকারির সঙ্গে সমন্বয় করে খুচরা বিদ্যুতের দাম ৫৩ থেকে ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে বিতরণ কম্পানিগুলো।
প্রসঙ্গত, পাইকারি পর্যায়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ দফা বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে বিইআরসি। ২ টাকা ৩৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ২ পয়সা করা হয়েছে। একইভাবে গড়ে সাড়ে ২৭ শতাংশ বেড়ে ৪ টাকা থেকে ৫ টাকা ২ পয়সা হয়েছে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম। সর্বশেষ গত ২৯ মার্চ পাইকারি ও খুচরা দাম যথাক্রমে প্রতি ইউনিট গড়ে ২৮ পয়সা এবং ৩০ পয়সা বাড়ানো হয়, যা ১ মার্চ থেকে কার্যকর করা হয়।
খুচরা বিদ্যুতের দাম বাড়ছে শুনানি ছাড়াই : খুচরা বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব জমা রয়েছে বিইআরসিতে। আইন অনুযায়ী, দাম বৃদ্ধির জন্য গণশুনানি শেষ করতে হবে। তবে গণশুনানি না করেই গ্রাহক পর্যায়ে খুচরা বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হতে পারে বলে জানা গেছে। সে ক্ষেত্রে পাইকারি হারের চেয়ে খুচরা বিদ্যুতের দাম বেশি বাড়বে বলে সূত্র জানায়।
কমিশনের সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ কালের কণ্ঠকে বলেন, গণশুনানি না করেই খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
খুচরা বিদ্যুতের দাম কত শতাংশ বাড়তে পারে জানতে চাইলে এই কমিশন সদস্য বলেন, বিতরণ কম্পানিগুলো জানিয়েছে, পাইকারি বিদ্যুতের চেয়ে খুচরা বিদ্যুতের দাম বেশি বাড়াতে হবে। তা না হলে কম্পানিগুলো আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারছে না। উল্লেখ্য, খুচরা বিদ্যুতের দাম গড়ে ৫৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে দেশের পাঁচটি বিতরণ কম্পানি।
শুনানিতে মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব তুলে ধরেন পিডিবির পরিচালক (সিস্টেম প্ল্যানিং) মিজানুর রহমান। শিগগিরই খুচরা বিদ্যুতের শুনানি আয়োজনের পর একটি সমন্বিত মূল্য বৃদ্ধির রায় ঘোষণা করা হবে বলে কমিশন জানায়। এ নিয়ে চলতি বছর তৃতীয় দফায় বাড়ানো হচ্ছে বিদ্যুতের দাম। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আমলে এ নিয়ে বাড়বে ষষ্ঠবারের মতো।
বিইআরসি চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ হোসেন ও কমিশনের দুই সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ ও মো. ইমদাদুল হক, পিডিবির চেয়ারম্যান এস এম আলমগীর হোসেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দিন এবং কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সদস্যরা গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
কবে নাগাদ পাইকারি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা আসবে জানতে চাইলে কমিশনের সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ কালের কণ্ঠকে বলেন, শিগগিরই এ বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত দেবে।
পিডিবির পক্ষে বলা হয়, প্রস্তাবিত পাইকারি মূল্য বাড়ানো না হলে ইউনিটপ্রতি গড় সরবরাহ ব্যয় ও ট্যারিফ ব্যবধান হবে দুই টাকা ৮৫ পয়সা। এতে করে চলতি অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ হবে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা। আর জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে ঘাটতির পরিমাণও আনুপাতিক হারে বাড়বে। এ ছাড়া জ্বালানি ব্যয় বাড়লে তাৎক্ষণিকভাবে পাইকারি মূল্য সমন্বয়ের ব্যবস্থা রাখার প্রস্তাব করেছে পিডিবি। তবে কমিশনের মূল্যায়ন কমিটির হিসাবে পিডিবির গড় সরবরাহ ব্যয় হবে চার টাকা ৯০ পয়সা, যা বর্তমান মূল্যের চেয়ে ২১ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে জ্বালানি তেলে কমিশনের অনুমোদিত বরাদ্দের চেয়ে ২৪৪ কোটি ২৬ লাখ সাত হাজার টাকা কম ব্যয়ের বিষয়টি বিবেচনা করেছে বিইআরসি।
বিইআরসির মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়, পিডিবিকে সরকারের দেওয়া তিন হাজার ৭০০ কোটি টাকা ভর্তুকির বিষয়টি বিবেচনা করে বিদ্যমান পাইকারি মূল্য ২১ দশমিক ৮৯ শতাংশ বাড়ানো যেতে পারে। এতে প্রতি ইউনিটে বাড়বে ৮৮ পয়সা। তাতে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম হবে চার টাকা ৯০ পয়সা। যদিও পিডিবির প্রস্তাবে দুই টাকা এক পয়সা বৃদ্ধি করে ছয় টাকা তিন পয়সা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে।
জানা যায়, গত ৬ জুন বিইআরসির কাছে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করে পিডিবি। এ প্রস্তাবনায় পাইকারি পর্যায়ে ইউনিটপ্রতি (কিলোওয়াট ঘণ্টা) ৪ দশমিক ২ টাকা থেকে ৬ দশমিক শূন্য ২ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে নতুন দাম কার্যকর করার কথা বলা হয় প্রস্তাবে। পাইকারির সঙ্গে সমন্বয় করে খুচরা বিদ্যুতের দাম ৫৩ থেকে ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে বিতরণ কম্পানিগুলো।
প্রসঙ্গত, পাইকারি পর্যায়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ দফা বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে বিইআরসি। ২ টাকা ৩৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ২ পয়সা করা হয়েছে। একইভাবে গড়ে সাড়ে ২৭ শতাংশ বেড়ে ৪ টাকা থেকে ৫ টাকা ২ পয়সা হয়েছে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম। সর্বশেষ গত ২৯ মার্চ পাইকারি ও খুচরা দাম যথাক্রমে প্রতি ইউনিট গড়ে ২৮ পয়সা এবং ৩০ পয়সা বাড়ানো হয়, যা ১ মার্চ থেকে কার্যকর করা হয়।
খুচরা বিদ্যুতের দাম বাড়ছে শুনানি ছাড়াই : খুচরা বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব জমা রয়েছে বিইআরসিতে। আইন অনুযায়ী, দাম বৃদ্ধির জন্য গণশুনানি শেষ করতে হবে। তবে গণশুনানি না করেই গ্রাহক পর্যায়ে খুচরা বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হতে পারে বলে জানা গেছে। সে ক্ষেত্রে পাইকারি হারের চেয়ে খুচরা বিদ্যুতের দাম বেশি বাড়বে বলে সূত্র জানায়।
কমিশনের সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ কালের কণ্ঠকে বলেন, গণশুনানি না করেই খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
খুচরা বিদ্যুতের দাম কত শতাংশ বাড়তে পারে জানতে চাইলে এই কমিশন সদস্য বলেন, বিতরণ কম্পানিগুলো জানিয়েছে, পাইকারি বিদ্যুতের চেয়ে খুচরা বিদ্যুতের দাম বেশি বাড়াতে হবে। তা না হলে কম্পানিগুলো আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারছে না। উল্লেখ্য, খুচরা বিদ্যুতের দাম গড়ে ৫৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে দেশের পাঁচটি বিতরণ কম্পানি।
No comments