দক্ষিণ সুদান পর্যন্ত 'সাম্রাজ্য' বাড়ালেন ব্লেয়ার
সিয়েরা লিওন, রুয়ান্ডা, লাইবেরিয়া, গিনির পর এবার আফ্রিকার তেলসমৃদ্ধ নতুন রাষ্ট্র দক্ষিণ সুদানের সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেল যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আফ্রিকা গভর্ন্যান্স ইনিশিয়েটিভ (এজিআই)।
দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট সালভা কির ও এজিআইয়ের মধ্যে এ ব্যাপারে গত মাসে একটি চুক্তি হয়েছে। যুক্তরাজ্যের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মিলিব্যান্ড গত মে মাসে ব্লেয়ারের পক্ষে চার দিনের সফরে দক্ষিণ সুদানে যান। এ সময়ই এজিআইয়ের উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। ব্রিটেনের টেলিগ্রাফ পত্রিকা এ খবর জানিয়েছে।
দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধের পর গত বছরে জুলাই মাসে সুদান থেকে এর দক্ষিণাংশ আলাদা হয়ে দক্ষিণ সুদান নামে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। তেলসমৃদ্ধ নতুন এই দেশটির রাজস্ব আয়ের ৯৮ তেল তেল মজুদের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু অন্যান্য আরো কিছু বিষয়সহ পাইপলাইন দিয়ে তেল সরবরাহের ব্যয় নিয়ে সুদানের সঙ্গে তাদের মতানৈক্য দেখা দেওয়ায় আপাতত তেল উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, দক্ষিণ সুদানের সরকারের কোষাগারে যে টাকা রয়েছে তাতে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত তারা চলতে পারবে। তা ছাড়া দেশটিতে ইতিমধ্যেই দুর্নীতিও আখড়া গেড়ে বসেছে। সালভা কির ৭৫ জন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২৬০ কোটি পাউন্ড দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন। তিনি এসব কর্মকর্তাকে ওই অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন। এমন অবস্থায় ব্লেয়ারকে সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগ দিলেন কির। তবে এই কাজের জন্য ব্লেয়ারকে কী পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে অন্যান্য দেশে ব্লেয়ারের অন্য যেসব প্রতিষ্ঠান পরামর্শ দিয়ে আসছে, তারা বিশাল অঙ্কের ফি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। আফ্রিকার দেশগুলো ছাড়াও টনি ব্লেয়ার অ্যাসোসিয়েটস কাজাখস্তান ও কুয়েত সরকারের পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে। সংবাদমাধ্যমের খবর মতে, কাজাখস্তান সরকারের কাছ থেকে ওই প্রতিষ্ঠান বছরে ৮৫ লাখ পাউন্ড পায়। ফিনান্সিয়াল টাইমস জানায়, ব্লেয়ারের আয় বছরে দুই কোটি পাউন্ড।
পত্রিকার খবরে বলা হয়, দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবায় গত ৩০ মে দেশটিতে চীনা বিনিয়োগ বিষয়ে সম্মেলন হয়। সম্মেলনে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, অর্থমন্ত্রী ও এবং তেল ও খনিজমন্ত্রীরা যোগ দেন। ওই সেমিনারে টনি ব্লেয়ার ইনিশিয়েটিভ ফর আফ্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন মিলিব্যান্ড। চীনা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান চায়না ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশনের (সিআইসি) সঙ্গে ব্লেয়ারের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। মিলিব্যান্ডের সঙ্গে সম্মেলনে যোগ দেন ডেভিড ব্রাউন। ব্রাউন ব্লেয়ার সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঁচ বছর কাজ করেন। বর্তমানে তিনি এজিআইয়ের দক্ষিণ সুদানের কাজকর্ম দেখাশোনা করবেন। খবরে আরো বলা হয়, গত সপ্তাহে পার্লামেন্ট সদস্যদের রেজিস্টারে মিলিব্যান্ড সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাতে দেখা যায়, দক্ষিণ সুদান সফরের জন্য তাঁকে এআইজি চার হাজার ৯৯৫ পাউন্ড দিয়েছে।
ক্ষমতা ছাড়ার পর নিজের ব্যবসায়িক ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের কাজে গত পাঁচ বছরের বেশির ভাগ সময়ই ব্লেয়ার দেশের বাইরে কাটিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ব্রিটেনে সামাজিক কর্মকাণ্ডে আগের চেয়ে অনেক বেশি সময় দিতে শুরু করেছেন। ঠিক এমন সময়ই আফ্রিকায় তাঁর কর্মপরিধি বাড়ানোর খবর প্রকাশিত হলো। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত দুই বছরে ব্লেয়ার ১১৮ বার বিদেশ সফর করেছেন। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ভেতরে শুধু চীন সফরই করেছেন ১১ বার। সূত্র : টেলিগ্রাফ।
দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধের পর গত বছরে জুলাই মাসে সুদান থেকে এর দক্ষিণাংশ আলাদা হয়ে দক্ষিণ সুদান নামে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। তেলসমৃদ্ধ নতুন এই দেশটির রাজস্ব আয়ের ৯৮ তেল তেল মজুদের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু অন্যান্য আরো কিছু বিষয়সহ পাইপলাইন দিয়ে তেল সরবরাহের ব্যয় নিয়ে সুদানের সঙ্গে তাদের মতানৈক্য দেখা দেওয়ায় আপাতত তেল উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, দক্ষিণ সুদানের সরকারের কোষাগারে যে টাকা রয়েছে তাতে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত তারা চলতে পারবে। তা ছাড়া দেশটিতে ইতিমধ্যেই দুর্নীতিও আখড়া গেড়ে বসেছে। সালভা কির ৭৫ জন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২৬০ কোটি পাউন্ড দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন। তিনি এসব কর্মকর্তাকে ওই অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন। এমন অবস্থায় ব্লেয়ারকে সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগ দিলেন কির। তবে এই কাজের জন্য ব্লেয়ারকে কী পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে অন্যান্য দেশে ব্লেয়ারের অন্য যেসব প্রতিষ্ঠান পরামর্শ দিয়ে আসছে, তারা বিশাল অঙ্কের ফি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। আফ্রিকার দেশগুলো ছাড়াও টনি ব্লেয়ার অ্যাসোসিয়েটস কাজাখস্তান ও কুয়েত সরকারের পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে। সংবাদমাধ্যমের খবর মতে, কাজাখস্তান সরকারের কাছ থেকে ওই প্রতিষ্ঠান বছরে ৮৫ লাখ পাউন্ড পায়। ফিনান্সিয়াল টাইমস জানায়, ব্লেয়ারের আয় বছরে দুই কোটি পাউন্ড।
পত্রিকার খবরে বলা হয়, দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবায় গত ৩০ মে দেশটিতে চীনা বিনিয়োগ বিষয়ে সম্মেলন হয়। সম্মেলনে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, অর্থমন্ত্রী ও এবং তেল ও খনিজমন্ত্রীরা যোগ দেন। ওই সেমিনারে টনি ব্লেয়ার ইনিশিয়েটিভ ফর আফ্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন মিলিব্যান্ড। চীনা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান চায়না ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশনের (সিআইসি) সঙ্গে ব্লেয়ারের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। মিলিব্যান্ডের সঙ্গে সম্মেলনে যোগ দেন ডেভিড ব্রাউন। ব্রাউন ব্লেয়ার সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঁচ বছর কাজ করেন। বর্তমানে তিনি এজিআইয়ের দক্ষিণ সুদানের কাজকর্ম দেখাশোনা করবেন। খবরে আরো বলা হয়, গত সপ্তাহে পার্লামেন্ট সদস্যদের রেজিস্টারে মিলিব্যান্ড সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাতে দেখা যায়, দক্ষিণ সুদান সফরের জন্য তাঁকে এআইজি চার হাজার ৯৯৫ পাউন্ড দিয়েছে।
ক্ষমতা ছাড়ার পর নিজের ব্যবসায়িক ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের কাজে গত পাঁচ বছরের বেশির ভাগ সময়ই ব্লেয়ার দেশের বাইরে কাটিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ব্রিটেনে সামাজিক কর্মকাণ্ডে আগের চেয়ে অনেক বেশি সময় দিতে শুরু করেছেন। ঠিক এমন সময়ই আফ্রিকায় তাঁর কর্মপরিধি বাড়ানোর খবর প্রকাশিত হলো। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত দুই বছরে ব্লেয়ার ১১৮ বার বিদেশ সফর করেছেন। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ভেতরে শুধু চীন সফরই করেছেন ১১ বার। সূত্র : টেলিগ্রাফ।
No comments