মাওয়া ঘাটের দখল নিয়ে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, গুলি ওসিসহ আহত ৮
মুন্সীগঞ্জ ॥ দুই মন্ত্রণালয়ের দ্বন্দ্বে সোমবার মাওয়ায় দুই ইজারাদার গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক হামলা, ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। লৌহজং থানার ওসি ও দুই কনস্টেবলসহ প্রতিপক্ষের হামলায় ৮ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহতরা হচ্ছেন লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আরজু মিয়া, কনস্টেবল মোঃ সোহেল, কনস্টেবল মোঃ আক্তার হোসেন।
এছাড়া আহত হয়েছেন শেখ জামান (২৮), মোঃ হাসান (২৫), শেখ সেলিম (৩০), শেখ শামীম (২৭) ও আক্তার হোসেন(২৮)। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিআইডব্লিউটিএ ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জেলা পরিষদের দুটি খেয়াঘাট একই জায়গায় থাকায় ওই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়েছে। স্থানীয় এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলির মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি আপাতত শান্ত হলেও মাওয়ায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে বন্ধ করে দেয়া মাওয়া জেলা পরিষদের খেয়াঘাটের স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের আপিলেট ডিভিশন হতে প্রত্যাহার হলে সোমবার সকালে প্রশাসনের সহযোগিতায় মাওয়াঘাটের দখল নিতে যায় জেলা পরিষদের ইজারাদার মোঃ হামিদুল ইসলাম ।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলা পরিষদের ইজারাদার হামিদুল ও তার লোকজন বিআইডব্লিটিএ‘র লঞ্চঘাটে টোল আদায় করতে গেলে আগে থেকে ঘাটে থাকা বিআইডব্লিউটিএ’র সিবোট ঘাট ইজারাদার মোঃ আশরাফ হোসেনের লোকজনের সঙ্গে কাথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়।
মুহূর্তের মধ্যেই লাঠিসোটা ও দেশী রামদা দিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায় ইজারাদার গ্রুপ দু’টি। এ সময় লৌহজং থানার ওসি মোঃ আরজু মিয়া এবং কনস্টবল সোহেল ও আক্তারসহ কমপক্ষে ৮ ব্যক্তি আহত হয়।
ওসি আরজু মিয়ার বাম হাতে কব্জির ভেঙ্গে গেলে তাকে প্রথমে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ও পরে এক্স-রে শেষে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। ধারালো রামদার কোপে মোঃ হাসান নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হলে তাকে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দায়ের কোপে আহত পুলিশ কনস্টেবল মোঃ সোহেলকে লৌহজং ও আক্তার হোসেনকে শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর স্বাস্থ্য কেন্দ্র চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিষন্ত্রণে আনতে পুলিশ তাৎক্ষণিক ৩ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। পুলিশের এ্যাকশনে ইজারাদার গ্রুপের লোকজন দুই জায়গায় দেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের শক্তি জোরদার করতে থাকে।
ইজারাদার হামিদুলের লোকজন মাওয়া মৎস্য আড়তের কাছে ও আশরাফের লোকজন বিআইডব্লিউটিএর সির্বোট ঘাটের কাছে অবস্থান নেয়। ট্রলার ভরে পদ্মা দিয়ে কয়েক শ’ লোক এসে আশরাফের পক্ষে শক্তি বৃদ্ধি করে। অপরদিকে মাইকিং করে হামিদুলও তার লোকজন জড়ো করে।
এ সময় কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রশাসন পার্শ্ববর্তী শ্রীনগর, সিরাজদিখানসহ মুন্সীগঞ্জ পুলিশ লাইন থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের তলব করে শক্তি জোরদার করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার উপক্রম হলে স্থানীয় এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ সাগুফতা ইয়াসমিনের হস্তক্ষেপে উভয় ইজারাদার মাওয়া পদ্মা সেতু রেস্ট হাউসে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হয়।
বৈঠক শেষে লৌহজং থানার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে মাওয়াঘাটের সকল কার্যক্রম চলবে। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সোমবার হতে মাওয়াঘাটের জেলা পরিষদের ইজারাদার ও বিআইডব্লিউটিএ’র সির্বোট ঘাট ইজারাদারের টোল আদায় তাদের সঙ্গে আলোচনার করে বন্ধ রাখা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় হুইপ সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলির বাসায় উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসার কথা জানান তিনি। বৈঠকে ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘাটে টোল আদায় করতে যাবে না।
মাওয়া নৌবন্দরের সহকারী বন্দর কর্মকর্তা বদরুল আলম জানিয়েছেন ইজারাদারের টোল আদায় বন্ধ থাকলেও বিআডব্লিউটিএ’র লঞ্চঘাটে ২ টাকা হারে টোল আদায় নিজস্ব লোকজনের মাধ্যমে অব্যাহত রাখা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়েছে। স্থানীয় এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলির মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি আপাতত শান্ত হলেও মাওয়ায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে বন্ধ করে দেয়া মাওয়া জেলা পরিষদের খেয়াঘাটের স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের আপিলেট ডিভিশন হতে প্রত্যাহার হলে সোমবার সকালে প্রশাসনের সহযোগিতায় মাওয়াঘাটের দখল নিতে যায় জেলা পরিষদের ইজারাদার মোঃ হামিদুল ইসলাম ।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলা পরিষদের ইজারাদার হামিদুল ও তার লোকজন বিআইডব্লিটিএ‘র লঞ্চঘাটে টোল আদায় করতে গেলে আগে থেকে ঘাটে থাকা বিআইডব্লিউটিএ’র সিবোট ঘাট ইজারাদার মোঃ আশরাফ হোসেনের লোকজনের সঙ্গে কাথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়।
মুহূর্তের মধ্যেই লাঠিসোটা ও দেশী রামদা দিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায় ইজারাদার গ্রুপ দু’টি। এ সময় লৌহজং থানার ওসি মোঃ আরজু মিয়া এবং কনস্টবল সোহেল ও আক্তারসহ কমপক্ষে ৮ ব্যক্তি আহত হয়।
ওসি আরজু মিয়ার বাম হাতে কব্জির ভেঙ্গে গেলে তাকে প্রথমে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ও পরে এক্স-রে শেষে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। ধারালো রামদার কোপে মোঃ হাসান নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হলে তাকে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দায়ের কোপে আহত পুলিশ কনস্টেবল মোঃ সোহেলকে লৌহজং ও আক্তার হোসেনকে শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর স্বাস্থ্য কেন্দ্র চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিষন্ত্রণে আনতে পুলিশ তাৎক্ষণিক ৩ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। পুলিশের এ্যাকশনে ইজারাদার গ্রুপের লোকজন দুই জায়গায় দেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের শক্তি জোরদার করতে থাকে।
ইজারাদার হামিদুলের লোকজন মাওয়া মৎস্য আড়তের কাছে ও আশরাফের লোকজন বিআইডব্লিউটিএর সির্বোট ঘাটের কাছে অবস্থান নেয়। ট্রলার ভরে পদ্মা দিয়ে কয়েক শ’ লোক এসে আশরাফের পক্ষে শক্তি বৃদ্ধি করে। অপরদিকে মাইকিং করে হামিদুলও তার লোকজন জড়ো করে।
এ সময় কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রশাসন পার্শ্ববর্তী শ্রীনগর, সিরাজদিখানসহ মুন্সীগঞ্জ পুলিশ লাইন থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের তলব করে শক্তি জোরদার করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার উপক্রম হলে স্থানীয় এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ সাগুফতা ইয়াসমিনের হস্তক্ষেপে উভয় ইজারাদার মাওয়া পদ্মা সেতু রেস্ট হাউসে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হয়।
বৈঠক শেষে লৌহজং থানার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে মাওয়াঘাটের সকল কার্যক্রম চলবে। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সোমবার হতে মাওয়াঘাটের জেলা পরিষদের ইজারাদার ও বিআইডব্লিউটিএ’র সির্বোট ঘাট ইজারাদারের টোল আদায় তাদের সঙ্গে আলোচনার করে বন্ধ রাখা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় হুইপ সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলির বাসায় উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসার কথা জানান তিনি। বৈঠকে ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘাটে টোল আদায় করতে যাবে না।
মাওয়া নৌবন্দরের সহকারী বন্দর কর্মকর্তা বদরুল আলম জানিয়েছেন ইজারাদারের টোল আদায় বন্ধ থাকলেও বিআডব্লিউটিএ’র লঞ্চঘাটে ২ টাকা হারে টোল আদায় নিজস্ব লোকজনের মাধ্যমে অব্যাহত রাখা হয়েছে।
No comments