ইয়াবা আসক্তদের শরীর ও মুখের সমস্যা
নেশার উপকরণ ইয়াবার মূল উপাদান মিথঅ্যামফিটামিন এবং ক্যাফেইন। ইয়াবাতে ২৫ থেকে ৩৫ মিলিগ্রাম মিথঅ্যামফিটামিন এবং ৪৫ থেকে ৬৫ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন বিদ্যমান থাকে। এছাড়া ইয়াবাতে ব্যবহৃত উপাদানগুলোর মধ্যে লবণ, গৃহ কাজে ব্যবহৃত পরিষ্কার করার পদার্থ এবং ক্যামেরা ব্যাটারি থেকে প্রাপ্ত লিথিয়াম উল্লেখযোগ্য।
ইয়াবাকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। ক্রেজি মিডিসিন, হিটলারস্ ড্রাগ, সাবু, বুলবুলিয়া নামগুলো উল্লেখযোগ্য। ইয়াবা থাইল্যান্ডে ক্রেজি মেডিসিন হিসেবে পরিচিত। ইয়াবাকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন ইয়াবা ভয়ঙ্কর একটি নেশা যা পুরো যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিতে পারে। ইয়াবা সেবনে প্রাথমিক অবস্থায় যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় আর পাশাপাশি ঘুম ও ক্ষুধা কম হয়। এজন্যই তরুণ তরুণীরা ইয়াবা সেবনে উৎসাহিত হয়ে থাকে। ইয়াবা সেবনে সৃষ্ট যৌন উত্তেজনা সীমিত সময়ের জন্য অনুভূত হয়ে তাকে। এক থেকে দুই বছরের মধ্যে ইয়াবা সেবনকারীদের যৌন উত্তেজনা চিরতরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। চিকিৎসা করার পরেও অনেক সময় অবস্থার উন্নতি হয় না।
ইয়াবা সেবনে যৌবন ও জীবনীশক্তি হ্রাস পেতে থাকে। ইয়াবা সেবনকারীদের দাম্পত্য জীবন চিরতরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। ইয়াবা সেবনকারীদের নার্ভ বা স্নায়ুগুলো দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে অচল হয়ে যায়। যেহেতু ইয়াবা সেবনকারীরা শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়ে, স্বাভাবিকভাবেই তারা মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। অস্থিরতার কারণে তারা যে কোন অঘটন ঘটাতে পারে। মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তার কারণে মুখের অভ্যন্তরে সাধারণত অ্যাপথাস আলসার থেকে শুরু করে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে। এদের ক্ষেত্রে র্যামপ্যান্ট ক্যারিজ বা দন্তক্ষয় দেখা দিতে পারে। ইয়াবার মূল উপাদান অ্যামফিটামিন শুষ্ক মুখের সৃষ্টি করে। শুষ্ক মুখের কারণে দন্তক্ষয় থেকে শুরু করে মুখে ছত্রাক সংক্রমণ ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। ইয়াবার প্রতিরোধে সমাজের সচেতন সবার এগিয়ে আসতে হবে। অভিভাবকদের উচিত তাদের সন্তানদের প্রতি যতœবান হওয়া। টাকা চাওয়া মাত্রই সন্তানকে টাকা না দিয়ে তাকে সময় দিন। বন্ধুর মতো সপ্তাহে একদিন হলেও সময় দিন। মনে রাখতে হবে আপনার সন্তান যদি দীর্ঘদিন ইয়াবা আসক্ত হয়ে যায় তবে প্রচুর টাকা খরচ করেও তার স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। হয়ত আংশিক সুস্থ করা যাবে কিন্তু কোন ক্ষেত্রে আপনার সন্তান থাকবে জীবন্ত একটি লাশের মতো। আপনার হয়ত তখন কিছুই করার থাকবে না। তাই এখনই সময় আমাদের সবার সচেতন হয়ে ইয়াবার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলে আমাদের দেশের যুব সমাজকে রক্ষা করা।
ডা. মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্ত রোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল : ০১৮১৭৫২৪৮৯৭
ইয়াবা সেবনে যৌবন ও জীবনীশক্তি হ্রাস পেতে থাকে। ইয়াবা সেবনকারীদের দাম্পত্য জীবন চিরতরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। ইয়াবা সেবনকারীদের নার্ভ বা স্নায়ুগুলো দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে অচল হয়ে যায়। যেহেতু ইয়াবা সেবনকারীরা শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়ে, স্বাভাবিকভাবেই তারা মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। অস্থিরতার কারণে তারা যে কোন অঘটন ঘটাতে পারে। মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তার কারণে মুখের অভ্যন্তরে সাধারণত অ্যাপথাস আলসার থেকে শুরু করে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে। এদের ক্ষেত্রে র্যামপ্যান্ট ক্যারিজ বা দন্তক্ষয় দেখা দিতে পারে। ইয়াবার মূল উপাদান অ্যামফিটামিন শুষ্ক মুখের সৃষ্টি করে। শুষ্ক মুখের কারণে দন্তক্ষয় থেকে শুরু করে মুখে ছত্রাক সংক্রমণ ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। ইয়াবার প্রতিরোধে সমাজের সচেতন সবার এগিয়ে আসতে হবে। অভিভাবকদের উচিত তাদের সন্তানদের প্রতি যতœবান হওয়া। টাকা চাওয়া মাত্রই সন্তানকে টাকা না দিয়ে তাকে সময় দিন। বন্ধুর মতো সপ্তাহে একদিন হলেও সময় দিন। মনে রাখতে হবে আপনার সন্তান যদি দীর্ঘদিন ইয়াবা আসক্ত হয়ে যায় তবে প্রচুর টাকা খরচ করেও তার স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। হয়ত আংশিক সুস্থ করা যাবে কিন্তু কোন ক্ষেত্রে আপনার সন্তান থাকবে জীবন্ত একটি লাশের মতো। আপনার হয়ত তখন কিছুই করার থাকবে না। তাই এখনই সময় আমাদের সবার সচেতন হয়ে ইয়াবার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলে আমাদের দেশের যুব সমাজকে রক্ষা করা।
ডা. মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্ত রোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল : ০১৮১৭৫২৪৮৯৭
No comments