রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়-পদ্মা সেতুর টাকা তোলার দ্বন্দ্বে ছাত্রলীগ কর্মী খুন!
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে সংগঠনের কর্মী আবদুল্লাহ আল হাসান (সোহেল রানা) মারা গেছেন। রোববার রাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গতকাল সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। তিনি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।
পদ্মা সেতুর জন্য টাকা তোলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে আবদুল্লাহর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান। তবে সাধারণ সম্পাদক আবু হুসাইন তাঁর দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। সংঘর্ষ ও গুলিবিনিময়ের ঘটনায় ছাত্রলীগের আট নেতা-কর্মীকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আহমেদ আলী মাদার বক্স হলে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু হুসাইন পাশের সোহরাওয়ার্দী হলে থাকেন। রোববার রাত নয়টার দিকে হুসাইনের সমর্থক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি আখেরুজ্জামান তাকিম ও আহমেদের সমর্থক সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদ আল তুহিনের মধ্যে বাগিবতণ্ডা হয়। এ সময় আহমেদের কক্ষ লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন তাকিম।
এর জের ধরে রাতেই তাকিমের নেতৃত্বে আশিষ, দেব দত্ত সরকার, আল-আমীন, সৌরভ, সারওয়ার জুয়েল, আবদুল্লাহ আল-হাসান, মশিউর রহমানসহ ১০-১২ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে ও তুহিনের নেতৃত্বে ফিরোজ আলী, আইনুল হক, মনিরুল ইসলাম, নাসিম আল হাসান, আবদুল্লাহসহ ছাত্রলীগের ১৫-২০ জনের দল মাদার বখশ হলের সামনে রড, রামদা, হাঁসুয়া ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেন। রাত ১১টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় সহসভাপতি তাকিম পিস্তল থেকে গুলি করতে শুরু করলে সভাপতির সমর্থকেরাও পাল্টা গুলি ছোড়েন। তাঁদের মধ্যে ১০-১২টি গুলিবিনিময় হয়। একপর্যায়ে আবদুল্লাহ আল-হাসানের কপালের বাঁ-দিকে গুলি লাগে। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বরাত দিয়ে জানান, গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আবদুল্লাহকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। চিকিৎসকেরা তাঁর এক্স-রে করাতে পাঠান। এরপর তাঁকে ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
আবদুল্লাহর সঙ্গে আসা কয়েকজন তরুণ প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ তোলেন, চিকিৎসায় অবহেলা ছিল। তাঁকে প্রায় ২০ মিনিট ফেলে রাখা হয়।
তবে ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা বলেছেন, রোগী আসার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। এরপর চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেন।
পরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ গ্রহণ করেন আবদুল্লাহর চাচাতো ভাই শিবলি। বিকেল চারটার দিকে আরেকটি অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়।
যে কারণে এই দ্বন্দ্ব: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী জানান, গত ২৬ জুন ১৫২ সদস্যবিশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটিতে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে অনেক অছাত্র ও বিবাহিতদের রাখা হয়। তা ছাড়া টেন্ডার ও চাঁদাবাজি, টাকা-পয়সার ভাগ-বাটোয়ারার ঘটনাসহ বিভিন্ন কারণে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক-সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।
তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ১২ জুলাই থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থ সংগ্রহ শুরু করেন। ‘আমরাই নির্মাণ করব পদ্মা সেতু’ এই স্লোগান নিয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ তোলার উদ্যোগ নেন তাঁরা। ওই দিন দুপুরে ৫০০ টাকা দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য এম আবদুস সোবহান। এরপর তিন দিন ধরে বাক্সে টাকা জমা পড়ে। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, নেতা-কর্মীদের সবাই বাক্সে টাকা রাখছিলেন না। এই টাকা সংরক্ষণের জের ধরে রোববার বিকেলে ছাত্রলীগের নেতা আখেরুজ্জামান তাকিম ও তৌহিদ আল তুহিনের মধ্যে বাগিবতণ্ডা হয়। এ থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হুসাইন বলেন, ‘এই ঘটনা সত্য নয়, আমরা স্বেচ্ছায় পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য চাঁদা তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তবে ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘পদ্মা সেতুর জন্য টাকা তোলা নিয়েই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়।’
অন্যদিকে ছাত্রলীগের সভাপতি আহমেদ আলী মনে করেন, পূর্বপরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
আটজনকে বহিষ্কারের সুপারিশ: রোববার রাতের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগের আটজন নেতা-কর্মীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করতে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করেছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তাঁরা হলেন সহসভাপতি আখেরুজ্জামান ওরফে তাকিম ও তাজমহল হিরো, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদ আল তুহিন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আনজির লিটন, উপদপ্তর সম্পাদক আতিকুর রহমান ও নাজিম হোসেন এবং কর্মী কৌশিক হোসেন ও তানিম আহমেদ।
পুলিশের ব্যর্থ চেষ্টা: গোলাগুলির পর রাত আড়াইটা থেকে ভোর পর্যন্ত মাদার বখশ ও সোহরাওয়ার্দী হলে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তারা বেশ কিছু লোহার রড উদ্ধার করে। তবে কোনো অস্ত্র উদ্ধার বা কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
তদন্ত কমিটি: গতকাল সন্ধ্যার পর জরুরি বৈঠকে বসেন সিন্ডিকেটের সদস্যরা। বৈঠক শেষে রাত নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এম এ বারী সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনা তদন্তে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গোলাম কবিরকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। তাদের ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিভিন্ন সংগঠনের নিন্দা: গোলাগুলিতে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন, সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গতকাল পৃথক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁরা অবিলম্বে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আহমেদ আলী মাদার বক্স হলে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু হুসাইন পাশের সোহরাওয়ার্দী হলে থাকেন। রোববার রাত নয়টার দিকে হুসাইনের সমর্থক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি আখেরুজ্জামান তাকিম ও আহমেদের সমর্থক সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদ আল তুহিনের মধ্যে বাগিবতণ্ডা হয়। এ সময় আহমেদের কক্ষ লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন তাকিম।
এর জের ধরে রাতেই তাকিমের নেতৃত্বে আশিষ, দেব দত্ত সরকার, আল-আমীন, সৌরভ, সারওয়ার জুয়েল, আবদুল্লাহ আল-হাসান, মশিউর রহমানসহ ১০-১২ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে ও তুহিনের নেতৃত্বে ফিরোজ আলী, আইনুল হক, মনিরুল ইসলাম, নাসিম আল হাসান, আবদুল্লাহসহ ছাত্রলীগের ১৫-২০ জনের দল মাদার বখশ হলের সামনে রড, রামদা, হাঁসুয়া ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেন। রাত ১১টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় সহসভাপতি তাকিম পিস্তল থেকে গুলি করতে শুরু করলে সভাপতির সমর্থকেরাও পাল্টা গুলি ছোড়েন। তাঁদের মধ্যে ১০-১২টি গুলিবিনিময় হয়। একপর্যায়ে আবদুল্লাহ আল-হাসানের কপালের বাঁ-দিকে গুলি লাগে। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বরাত দিয়ে জানান, গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আবদুল্লাহকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। চিকিৎসকেরা তাঁর এক্স-রে করাতে পাঠান। এরপর তাঁকে ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
আবদুল্লাহর সঙ্গে আসা কয়েকজন তরুণ প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ তোলেন, চিকিৎসায় অবহেলা ছিল। তাঁকে প্রায় ২০ মিনিট ফেলে রাখা হয়।
তবে ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা বলেছেন, রোগী আসার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। এরপর চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেন।
পরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ গ্রহণ করেন আবদুল্লাহর চাচাতো ভাই শিবলি। বিকেল চারটার দিকে আরেকটি অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়।
যে কারণে এই দ্বন্দ্ব: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী জানান, গত ২৬ জুন ১৫২ সদস্যবিশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটিতে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে অনেক অছাত্র ও বিবাহিতদের রাখা হয়। তা ছাড়া টেন্ডার ও চাঁদাবাজি, টাকা-পয়সার ভাগ-বাটোয়ারার ঘটনাসহ বিভিন্ন কারণে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক-সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।
তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ১২ জুলাই থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থ সংগ্রহ শুরু করেন। ‘আমরাই নির্মাণ করব পদ্মা সেতু’ এই স্লোগান নিয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ তোলার উদ্যোগ নেন তাঁরা। ওই দিন দুপুরে ৫০০ টাকা দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য এম আবদুস সোবহান। এরপর তিন দিন ধরে বাক্সে টাকা জমা পড়ে। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, নেতা-কর্মীদের সবাই বাক্সে টাকা রাখছিলেন না। এই টাকা সংরক্ষণের জের ধরে রোববার বিকেলে ছাত্রলীগের নেতা আখেরুজ্জামান তাকিম ও তৌহিদ আল তুহিনের মধ্যে বাগিবতণ্ডা হয়। এ থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হুসাইন বলেন, ‘এই ঘটনা সত্য নয়, আমরা স্বেচ্ছায় পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য চাঁদা তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তবে ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘পদ্মা সেতুর জন্য টাকা তোলা নিয়েই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়।’
অন্যদিকে ছাত্রলীগের সভাপতি আহমেদ আলী মনে করেন, পূর্বপরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
আটজনকে বহিষ্কারের সুপারিশ: রোববার রাতের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগের আটজন নেতা-কর্মীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করতে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করেছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তাঁরা হলেন সহসভাপতি আখেরুজ্জামান ওরফে তাকিম ও তাজমহল হিরো, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদ আল তুহিন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আনজির লিটন, উপদপ্তর সম্পাদক আতিকুর রহমান ও নাজিম হোসেন এবং কর্মী কৌশিক হোসেন ও তানিম আহমেদ।
পুলিশের ব্যর্থ চেষ্টা: গোলাগুলির পর রাত আড়াইটা থেকে ভোর পর্যন্ত মাদার বখশ ও সোহরাওয়ার্দী হলে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তারা বেশ কিছু লোহার রড উদ্ধার করে। তবে কোনো অস্ত্র উদ্ধার বা কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
তদন্ত কমিটি: গতকাল সন্ধ্যার পর জরুরি বৈঠকে বসেন সিন্ডিকেটের সদস্যরা। বৈঠক শেষে রাত নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এম এ বারী সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনা তদন্তে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গোলাম কবিরকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। তাদের ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিভিন্ন সংগঠনের নিন্দা: গোলাগুলিতে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন, সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গতকাল পৃথক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁরা অবিলম্বে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
No comments