আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের প্রথম নারী প্রধান দ্লামিনি-* শীর্ষ এই পদে নির্বাচিত প্রথম নারী হলেন দ্লামিনি * তিনি জঁ পিংয়ের স্থলাভিষিক্ত হবেন
তিন দফা ভোটাভুটির পর অবশেষে আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) প্রশাসনিক বিভাগ আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নকোসাজানা দ্লামিনি জুমা। এর মধ্য দিয়ে কমিশনে ছয় মাস ধরে চলা অচলাবস্থার অবসান হলো। শীর্ষ এই পদে নির্বাচিত প্রথম নারী হলেন দ্লামিনি।
এইউ কমিশনের প্রধান পদের নির্বাচন নিয়ে সম্প্রতি আফ্রিকার ফরাসি ভাষাভাষী দেশগুলোর সঙ্গে অন্যান্য ভাষাভাষী দেশের বিরোধ দেখা দেয়। ফলে আফ্রিকান ইউনিয়নে বিভাজনের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি ব্যাপক আকার ধারণ করলে জোট হিসেবে এইউ দুর্বল হয়ে পড়ত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। নির্বাচনে ফরাসি ভাষাভাষী দেশগুলো কমিশনের বিদায়ী প্রধান গ্যাবনের নাগরিক জঁ পিংয়ের পক্ষ নিয়েছিল। কমিশনের প্রধান নির্বাচনের লক্ষ্যে গত জানুয়ারিতে প্রথম দফা ভোটাভুটি হয়। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে কেউই দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় বিষয়টির সুরাহা হয়নি। ফলে বিদায়ী প্রধান পিংয়ের মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়ানো হয়। এর পর থেকেই এক রকম অচলাবস্থা বিরাজ করছিল কমিশনে।
ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় ৫৪ সদস্য রাষ্ট্রের সংস্থাটির সদর দপ্তরে এক সম্মেলন শেষে গত রবিবার চূড়ান্ত ভোটাভুটি হয়। এতে দ্লামিনি ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর পক্ষে ৩৭টি ভোট পড়ে। তিনি পিংয়ের স্থলাভিষিক্ত হবেন। ৬৩ বছর বয়সী দ্লামিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার সাবেক স্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের আগে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এইউ কমিশনের প্রধান হিসেবে তাঁকে মালি সংকট, গিনি-বিসাউয়ে সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানচেষ্টা এবং সুদান ও দক্ষিণ সুদানের সীমান্ত বিরোধের মতো সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।
ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় ৫৪ সদস্য রাষ্ট্রের সংস্থাটির সদর দপ্তরে এক সম্মেলন শেষে গত রবিবার চূড়ান্ত ভোটাভুটি হয়। এতে দ্লামিনি ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর পক্ষে ৩৭টি ভোট পড়ে। তিনি পিংয়ের স্থলাভিষিক্ত হবেন। ৬৩ বছর বয়সী দ্লামিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার সাবেক স্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের আগে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এইউ কমিশনের প্রধান হিসেবে তাঁকে মালি সংকট, গিনি-বিসাউয়ে সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানচেষ্টা এবং সুদান ও দক্ষিণ সুদানের সীমান্ত বিরোধের মতো সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।
No comments