আদমশুমারির চূড়ান্ত ফল-জনসংখ্যা ১৫২৫১৮০১৫
গতকাল ১৬ জুলাই পর্যন্ত দেশের জনসংখ্যা ১৫ কোটি ২৫ লাখ ১৮ হাজার ১৫। এর মধ্যে নারী সাত কোটি ৬১ লাখ ৬৭ হাজার ৪৯৭ এবং পুরুষ সাত কোটি ৬৩ লাখ ৫০ হাজার ৫১৮। গত বছর ১৫ মার্চ সম্পন্ন আদমশুমারির তথ্য অনুপাতে বর্তমান জনসংখ্যা নির্ধারণ করে গতকাল সোমবার চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
দেশের পঞ্চম আদমশুমারির প্রাথমিক ফল প্রকাশের ঠিক এক বছরের মাথায় গতকাল চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়।
রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিকভাবে আদমশুমারির প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
প্রতিবেদনে গত বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত দেশের জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৪ উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী সাত কোটি ৪৭ লাখ ৯১ হাজার ৯৭৮ এবং পুরুষ সাত কোটি ৪৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৮৬। এই সংখ্যা শুমারিতে প্রাপ্ত জনসংখ্যার সঙ্গে যাচাই জরিপের (পিইসি) ফল সমন্বয় করে পাওয়া গেছে। যাচাই জরিপে গণনা করা জনসংখ্যার সঙ্গে আরো ৪ শতাংশ যোগ করার সুপারিশ করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, সারা দেশে গড়ে ৩ দশমিক ৯৭১ শতাংশ জনসংখ্যা গণনা থেকে বাদ পড়েছে।
চূড়ান্ত এই প্রতিবেদন অনুসারে গত ১০ বছরে দেশের ছয়টি জেলায় জনসংখ্যা না বেড়ে বরং কমেছে। জেলাগুলো হচ্ছে বাগেরহাট, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, ঝালকাঠি, খুলনা ও পিরোজপুর। জনসংখ্যা বেশি বেড়েছে ঢাকা ও গাজীপুর জেলায়। ৩৯টি জেলায় নারীর সংখ্যা পুরুষের চেয়ে বেশি।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৭। প্রতি ১০৩ জন পুরুষ জনসংখ্যার বিপরীতে নারীর সংখ্যা ১০০। জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে এক হাজার ১৫ জন। মোট খানার সংখ্যা তিন কোটি ২১ লাখ ৭৩ হাজার ৬৩০টি। শিক্ষার হার ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ। এর মধ্যে নারী ৪৯ দশমিক ৪ শতাংশ ও পুরুষ ৫৪ দশমিক ১ শতাংশ। দেশের নৃতাত্তি্বক জনসংখ্যা ১৫ লাখ ৮৬ হাজার ১৪১ জন, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ১ দশমিক ১০ শতাংশ। এই নৃতাত্তি্বক জনসংখ্যার মধ্যে নারী সাত লাখ ৯৭ হাজার ৪৭৭ জন এবং পুরুষ সাত লাখ ৮৮ হাজার ৬৬৪ জন।
গত বছরের ১৬ জুলাই পরিসংখ্যান ব্যুরো দেশের পঞ্চম ও সর্বশেষ আদমশুমারির প্রাথমিক ফল প্রকাশ করে। সে অনুসারে গত বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত দেশের জনসংখ্যা নির্ধারিত হয় ১৪ কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ সাত কোটি ১২ লাখ ৫৫ হাজার এবং নারী সাত কোটি ১০ লাখ ৬৪ হাজার। প্রতি ১০০ জন নারীর বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা ১০০ দশমিক ৩ জন। জনসংখ্যার বার্ষিক গড় বৃদ্ধি ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। খানার সংখ্যা তিন কোটি ২০ লাখ ৬৭ হাজার ৭০০। খানার গড় সদস্যসংখ্যা ৪ দশমিক ৪ জন। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৯৬৪ জন।
প্রাথমিক ফলে সেদিন জানানো হয়, ১০ বছরে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি এক কোটি ৭৯ লাখ ৬৪ হাজার। বরিশালে জনসংখ্যা বাড়েনি। ২০০১ সালে এ বিভাগে মানুষ ছিল ৮১ লাখ ৭৪ হাজার। এখনো তাই। জনঘনত্ব সবচেয়ে বেশি ঢাকা জেলায়। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঢাকা জেলার জনসংখ্যা এক কোটি ২৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ উল্লেখ করা হয়েছে। ২০০১ সালে এ জেলার জনসংখ্যা ছিল ৯০ লাখ ৩৬ হাজার ৬৪৭। তখন ঢাকা জেলায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে পাঁচ হাজার ৮৩১ জনের বসবাস ছিল। বর্তমানে এ জেলায় জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে আট হাজার ২২৯ জন।
কোন জেলার জনসংখ্যা কত কমেছে : ২০০১ ও ২০১১ সালের দুটি আদমশুমারির মধ্যে সময়ের ব্যবধান ১০ বছর। আগের শুমারিতে বাগেরহাট জেলার জনসংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ২০ হাজার ২৮১, ২০১১ সালের ১৫ মার্চে তা ৮৬ হাজার ২৬৯ জন কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ১২। বরিশাল জেলার জনসংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩২। ১০ বছরের ব্যবধানে এ জেলার জনসংখ্যা ৫০ হাজার ৯০২ জন কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ ১৪ হাজার ৭৩০। গোপালগঞ্জ জেলার জনসংখ্যা ছিল ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৮। ১০ বছরের ব্যবধানে এ জেলার জনসংখ্যা ৩৭৯ জন কমে দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ১৮ হাজার ৩১৯। ঝালকাঠি জেলার জনসংখ্যা ছিল সাত লাখ ২৬ হাজার ৫৮৬। ১৬ হাজার ৬৭১ জন কমে এখন দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৯ হাজার ৯১৫। খুলনা জেলার জনসংখ্যা ছিল ২৫ লাখ আট হাজার ৭৪৯ জন। ১০ বছরের ব্যবধানে এ জেলার জনসংখ্যা এক লাখ এক হাজার ৬৯ জন কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ সাত হাজার ৬৮০। পিরোজপুর জেলার জনসংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৬১ হাজার ৯৩৮ জন। নতুন শুমারিতে চার হাজার ৭২৩ জন কমে দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৫৭ হাজার ২১৫।
রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিকভাবে আদমশুমারির প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
প্রতিবেদনে গত বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত দেশের জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৪ উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী সাত কোটি ৪৭ লাখ ৯১ হাজার ৯৭৮ এবং পুরুষ সাত কোটি ৪৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৮৬। এই সংখ্যা শুমারিতে প্রাপ্ত জনসংখ্যার সঙ্গে যাচাই জরিপের (পিইসি) ফল সমন্বয় করে পাওয়া গেছে। যাচাই জরিপে গণনা করা জনসংখ্যার সঙ্গে আরো ৪ শতাংশ যোগ করার সুপারিশ করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, সারা দেশে গড়ে ৩ দশমিক ৯৭১ শতাংশ জনসংখ্যা গণনা থেকে বাদ পড়েছে।
চূড়ান্ত এই প্রতিবেদন অনুসারে গত ১০ বছরে দেশের ছয়টি জেলায় জনসংখ্যা না বেড়ে বরং কমেছে। জেলাগুলো হচ্ছে বাগেরহাট, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, ঝালকাঠি, খুলনা ও পিরোজপুর। জনসংখ্যা বেশি বেড়েছে ঢাকা ও গাজীপুর জেলায়। ৩৯টি জেলায় নারীর সংখ্যা পুরুষের চেয়ে বেশি।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৭। প্রতি ১০৩ জন পুরুষ জনসংখ্যার বিপরীতে নারীর সংখ্যা ১০০। জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে এক হাজার ১৫ জন। মোট খানার সংখ্যা তিন কোটি ২১ লাখ ৭৩ হাজার ৬৩০টি। শিক্ষার হার ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ। এর মধ্যে নারী ৪৯ দশমিক ৪ শতাংশ ও পুরুষ ৫৪ দশমিক ১ শতাংশ। দেশের নৃতাত্তি্বক জনসংখ্যা ১৫ লাখ ৮৬ হাজার ১৪১ জন, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ১ দশমিক ১০ শতাংশ। এই নৃতাত্তি্বক জনসংখ্যার মধ্যে নারী সাত লাখ ৯৭ হাজার ৪৭৭ জন এবং পুরুষ সাত লাখ ৮৮ হাজার ৬৬৪ জন।
গত বছরের ১৬ জুলাই পরিসংখ্যান ব্যুরো দেশের পঞ্চম ও সর্বশেষ আদমশুমারির প্রাথমিক ফল প্রকাশ করে। সে অনুসারে গত বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত দেশের জনসংখ্যা নির্ধারিত হয় ১৪ কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ সাত কোটি ১২ লাখ ৫৫ হাজার এবং নারী সাত কোটি ১০ লাখ ৬৪ হাজার। প্রতি ১০০ জন নারীর বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা ১০০ দশমিক ৩ জন। জনসংখ্যার বার্ষিক গড় বৃদ্ধি ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। খানার সংখ্যা তিন কোটি ২০ লাখ ৬৭ হাজার ৭০০। খানার গড় সদস্যসংখ্যা ৪ দশমিক ৪ জন। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৯৬৪ জন।
প্রাথমিক ফলে সেদিন জানানো হয়, ১০ বছরে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি এক কোটি ৭৯ লাখ ৬৪ হাজার। বরিশালে জনসংখ্যা বাড়েনি। ২০০১ সালে এ বিভাগে মানুষ ছিল ৮১ লাখ ৭৪ হাজার। এখনো তাই। জনঘনত্ব সবচেয়ে বেশি ঢাকা জেলায়। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঢাকা জেলার জনসংখ্যা এক কোটি ২৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ উল্লেখ করা হয়েছে। ২০০১ সালে এ জেলার জনসংখ্যা ছিল ৯০ লাখ ৩৬ হাজার ৬৪৭। তখন ঢাকা জেলায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে পাঁচ হাজার ৮৩১ জনের বসবাস ছিল। বর্তমানে এ জেলায় জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে আট হাজার ২২৯ জন।
কোন জেলার জনসংখ্যা কত কমেছে : ২০০১ ও ২০১১ সালের দুটি আদমশুমারির মধ্যে সময়ের ব্যবধান ১০ বছর। আগের শুমারিতে বাগেরহাট জেলার জনসংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ২০ হাজার ২৮১, ২০১১ সালের ১৫ মার্চে তা ৮৬ হাজার ২৬৯ জন কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ১২। বরিশাল জেলার জনসংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩২। ১০ বছরের ব্যবধানে এ জেলার জনসংখ্যা ৫০ হাজার ৯০২ জন কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ ১৪ হাজার ৭৩০। গোপালগঞ্জ জেলার জনসংখ্যা ছিল ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৮। ১০ বছরের ব্যবধানে এ জেলার জনসংখ্যা ৩৭৯ জন কমে দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ১৮ হাজার ৩১৯। ঝালকাঠি জেলার জনসংখ্যা ছিল সাত লাখ ২৬ হাজার ৫৮৬। ১৬ হাজার ৬৭১ জন কমে এখন দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৯ হাজার ৯১৫। খুলনা জেলার জনসংখ্যা ছিল ২৫ লাখ আট হাজার ৭৪৯ জন। ১০ বছরের ব্যবধানে এ জেলার জনসংখ্যা এক লাখ এক হাজার ৬৯ জন কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ সাত হাজার ৬৮০। পিরোজপুর জেলার জনসংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৬১ হাজার ৯৩৮ জন। নতুন শুমারিতে চার হাজার ৭২৩ জন কমে দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৫৭ হাজার ২১৫।
No comments