ভিসি, প্রো-ভিসিকে যেতেই হচ্ছে!-শনিবার পর্যন্ত বুয়েট শিক্ষক সমিতির আলটিমেটাম, নইলে গণপদত্যাগ by অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. এস এম নজরুল ইসলাম ও উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক ড. এম হাবিবুর রহমানকে সরিয়ে দিতে সব মহল থেকে প্রচণ্ড চাপ দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এ দুজনকে না সরালে বুয়েটের পরিস্থিতি শান্ত হবে না। ফিরে আসবে না শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশও।
এ রকম পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গতকাল সোমবার বুয়েটের সব ডিন ও বিভাগীয় প্রধান, প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষক ও বিশিষ্ট প্রকৌশলীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেও সবাই একবাক্যে বলেছেন, উত্তাল বুয়েটের পরিস্থিতি শান্ত করতে হলে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে সরাতেই হবে। জানা গেছে, এ পরিস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী বৈঠকেই বলেছেন, সবার কাছ থেকে পাওয়া মতামত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করা হবে এবং তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেই উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে সরানো, না সরানোর বিষয় ঠিক করা হবে। এ নিয়ে গতকাল রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও শিক্ষাসচিবের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। তবে এতে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ অথবা কাল আবার তাঁদের বৈঠক করার কথা রয়েছে।
এদিকে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল দুই ঘণ্টার প্রতীকী অনশন করেছেন বুয়েটের আন্দোলনরত শিক্ষক সমিতির সদস্য ও শিক্ষার্থীরা। পরে সন্ধ্যায় তাঁরা বৈঠকও করেন। বৈঠক শেষে বুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. আশরাফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে জানান, উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অপসারণের জন্য আগামী শনিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তাঁদের অপসারণ করা না হলে শিক্ষকরা গণপদত্যাগ করবেন। তাঁরা পদত্যাগপত্রে সই করে রেখেছেন। এ ছাড়া শিক্ষকরা লাগাতার কর্মসূচির পরিবর্তে আজ মঙ্গলবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া শিক্ষক অধ্যাপক আমিনুল হক বলেন, উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে এ পর্যন্ত আড়াই শর বেশি শিক্ষক পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁরা সবাই সোমবারের শিক্ষক সমিতির সভায় এ সিদ্ধান্তে স্বাক্ষর করেছেন। আগামী শনিবারের মধ্যে উপাচার্য পদত্যাগ না করলে এ সংখ্যা বেড়ে ৩০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, যেহেতু শিক্ষামন্ত্রী সময় চেয়েছেন, তাই এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে যদি আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো ধরনের নিপীড়ন হয়, তা শক্তভাবে মোকাবিলা করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, গতকাল শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বুয়েটের সিনিয়র শিক্ষকদের কাছ থেকে মতামত পাওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও মনে করছেন, বুয়েট পরিস্থিতি শান্ত করতে হলে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে না সরিয়ে উপায় নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেও সেটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেছেন, উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে একসঙ্গে না-ও সরানো হতে পারে। কয়েক দিনের মধ্যেই হয়তো একজনকে সরানো হবে, আর পরবর্তী এক মাসের মধ্যে আরেকজনকে সরানো হবে।
গতকাল দুপুর ১২টায় বুয়েট পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বৈঠকে বসেন। বৈঠকে বুয়েটের সিনিয়র শিক্ষকদের পাশাপাশি সাবেক শিক্ষক ও বিশিষ্ট প্রকৌশলীরা অংশ নেন। আর মন্ত্রণালয়ের পক্ষে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও শিক্ষাসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
বৈঠক শেষে বুয়েটের সাবেক উপাচার্য আবদুল মতিন পাটোয়ারী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সবাই যা বলেছেন তাতে আমিও সম্মতি দিয়েছি।' এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে সরাতেই হবে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া বুয়েটের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে স্বপদে বহাল রেখে বুয়েটের পরিস্থিতি শান্ত করা সম্ভব নয়। এ দুজন বুয়েটের ৫০ বছরের ঐতিহ্য ভাঙার চেষ্টা করছেন। সরকারকে এ বিষয়টি বুঝতে হবে।
স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, দুই বছর আগে শুধু উপ-উপাচার্য এম হাবিবুর রহমানকে সরিয়ে দিলেই বুয়েট আজ উত্তাল হতো না। এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে শুধু উপ-উপাচার্য নয়, উপাচার্যকেও সরাতে হবে।
রাজউকের চেয়ারম্যান ও ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নুরুল হুদাও বলেছেন, যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে করে ওই দুজনকে সরিয়ে দেওয়া ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা থাকছে না। সাবেক উপাচার্য ড. এম এইচ খান ও ইকবাল মাহমুদও একই ধরনের কথা বলেন।
বুয়েটের খনিজ সম্পদ ও পেট্রোলিয়াম বিভাগের অধ্যাপক ম তামিম কালের কণ্ঠকে বলেছেন, 'বৈঠকে বুয়েটের সর্বশেষ পরিস্থিতি শিক্ষামন্ত্রীকে জানিয়েছি। একই সঙ্গে এ-ও বলেছি, উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে না সরানো পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না এবং এটি খুব দ্রুত করতে হবে।'
এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে জানতে চাওয়া হলে কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, আন্দোলন, হাঙ্গার স্ট্রাইক প্রয়োজন হবে না। বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, 'সিনিয়র শিক্ষকদের সঙ্গে করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করি, দ্রুত সমাধান হবে।'
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'এটি কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সভা ছিল না। সমস্যা সমাধানে আমন্ত্রিতরা তাঁদের মতামত ও পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা সেগুলো নোট করেছি। তাঁদের বক্তব্যের আলোকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।'
কবে নাগাদ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'আমরা কাজের মধ্যেই আছি। এ ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতার প্রশ্ন নেই।'
বৈঠকে অংশ নেওয়া বুয়েটের ডিনদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাকারিয়া, অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, অধ্যাপক ড. মো. মমিনুল হক, অধ্যাপক ড. মো. রেফায়েতুল্লাহ। আর বিভাগীয় প্রধানরা হলেন ড. জেবুন নাসরীন আহমদ, অধ্যাপক ড. রুখসানা হাফিজ, অধ্যাপক ড. উম্মে কুলসুম নাভেরা, অধ্যাপক ড. শাকিলা রহমান, ড. মো. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াছ, অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাক হোসেন, অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহিল আজীম, অধ্যাপক ড. আবু সাইদ মো. লতিফুল হক, অধ্যাপক ড. প্রাণ কানাই সাহা, মো. মুর্শিকুল আলম ও অধ্যাপক ড. মো. মোহর আলী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বলছে, এ বৈঠকের মতামতের ভিত্তিতে গত রাত সাড়ে ৮টায় বুয়েট পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে বৈঠক করতে গেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী ও শিক্ষাসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
এদিকে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল দুই ঘণ্টার প্রতীকী অনশন করেছেন বুয়েটের আন্দোলনরত শিক্ষক সমিতির সদস্য ও শিক্ষার্থীরা। পরে সন্ধ্যায় তাঁরা বৈঠকও করেন। বৈঠক শেষে বুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. আশরাফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে জানান, উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অপসারণের জন্য আগামী শনিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তাঁদের অপসারণ করা না হলে শিক্ষকরা গণপদত্যাগ করবেন। তাঁরা পদত্যাগপত্রে সই করে রেখেছেন। এ ছাড়া শিক্ষকরা লাগাতার কর্মসূচির পরিবর্তে আজ মঙ্গলবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া শিক্ষক অধ্যাপক আমিনুল হক বলেন, উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে এ পর্যন্ত আড়াই শর বেশি শিক্ষক পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁরা সবাই সোমবারের শিক্ষক সমিতির সভায় এ সিদ্ধান্তে স্বাক্ষর করেছেন। আগামী শনিবারের মধ্যে উপাচার্য পদত্যাগ না করলে এ সংখ্যা বেড়ে ৩০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, যেহেতু শিক্ষামন্ত্রী সময় চেয়েছেন, তাই এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে যদি আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো ধরনের নিপীড়ন হয়, তা শক্তভাবে মোকাবিলা করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, গতকাল শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বুয়েটের সিনিয়র শিক্ষকদের কাছ থেকে মতামত পাওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও মনে করছেন, বুয়েট পরিস্থিতি শান্ত করতে হলে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে না সরিয়ে উপায় নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেও সেটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেছেন, উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে একসঙ্গে না-ও সরানো হতে পারে। কয়েক দিনের মধ্যেই হয়তো একজনকে সরানো হবে, আর পরবর্তী এক মাসের মধ্যে আরেকজনকে সরানো হবে।
গতকাল দুপুর ১২টায় বুয়েট পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বৈঠকে বসেন। বৈঠকে বুয়েটের সিনিয়র শিক্ষকদের পাশাপাশি সাবেক শিক্ষক ও বিশিষ্ট প্রকৌশলীরা অংশ নেন। আর মন্ত্রণালয়ের পক্ষে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও শিক্ষাসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
বৈঠক শেষে বুয়েটের সাবেক উপাচার্য আবদুল মতিন পাটোয়ারী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সবাই যা বলেছেন তাতে আমিও সম্মতি দিয়েছি।' এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে সরাতেই হবে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া বুয়েটের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে স্বপদে বহাল রেখে বুয়েটের পরিস্থিতি শান্ত করা সম্ভব নয়। এ দুজন বুয়েটের ৫০ বছরের ঐতিহ্য ভাঙার চেষ্টা করছেন। সরকারকে এ বিষয়টি বুঝতে হবে।
স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, দুই বছর আগে শুধু উপ-উপাচার্য এম হাবিবুর রহমানকে সরিয়ে দিলেই বুয়েট আজ উত্তাল হতো না। এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে শুধু উপ-উপাচার্য নয়, উপাচার্যকেও সরাতে হবে।
রাজউকের চেয়ারম্যান ও ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নুরুল হুদাও বলেছেন, যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে করে ওই দুজনকে সরিয়ে দেওয়া ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা থাকছে না। সাবেক উপাচার্য ড. এম এইচ খান ও ইকবাল মাহমুদও একই ধরনের কথা বলেন।
বুয়েটের খনিজ সম্পদ ও পেট্রোলিয়াম বিভাগের অধ্যাপক ম তামিম কালের কণ্ঠকে বলেছেন, 'বৈঠকে বুয়েটের সর্বশেষ পরিস্থিতি শিক্ষামন্ত্রীকে জানিয়েছি। একই সঙ্গে এ-ও বলেছি, উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে না সরানো পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না এবং এটি খুব দ্রুত করতে হবে।'
এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে জানতে চাওয়া হলে কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, আন্দোলন, হাঙ্গার স্ট্রাইক প্রয়োজন হবে না। বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, 'সিনিয়র শিক্ষকদের সঙ্গে করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করি, দ্রুত সমাধান হবে।'
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'এটি কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সভা ছিল না। সমস্যা সমাধানে আমন্ত্রিতরা তাঁদের মতামত ও পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা সেগুলো নোট করেছি। তাঁদের বক্তব্যের আলোকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।'
কবে নাগাদ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'আমরা কাজের মধ্যেই আছি। এ ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতার প্রশ্ন নেই।'
বৈঠকে অংশ নেওয়া বুয়েটের ডিনদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাকারিয়া, অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, অধ্যাপক ড. মো. মমিনুল হক, অধ্যাপক ড. মো. রেফায়েতুল্লাহ। আর বিভাগীয় প্রধানরা হলেন ড. জেবুন নাসরীন আহমদ, অধ্যাপক ড. রুখসানা হাফিজ, অধ্যাপক ড. উম্মে কুলসুম নাভেরা, অধ্যাপক ড. শাকিলা রহমান, ড. মো. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াছ, অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাক হোসেন, অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহিল আজীম, অধ্যাপক ড. আবু সাইদ মো. লতিফুল হক, অধ্যাপক ড. প্রাণ কানাই সাহা, মো. মুর্শিকুল আলম ও অধ্যাপক ড. মো. মোহর আলী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বলছে, এ বৈঠকের মতামতের ভিত্তিতে গত রাত সাড়ে ৮টায় বুয়েট পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে বৈঠক করতে গেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী ও শিক্ষাসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
No comments