জনসংখ্যা-প্রজননস্বাস্থ্যের প্রতি কেন এই অবহেলা by ফরিদা আখতার
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ছিল ১১ জুলাই। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো দিবসটি পালন করেছে নিয়মানুযায়ী। কিন্তু একটু অবাক হলাম, জাতিসংঘের দেওয়া প্রতিপাদ্য ইউনিভার্সেল অ্যাকসেস টু রিপ্রোডাকটিভ হেলথ সার্ভিসেস বা সর্বজনীন প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা নিয়ে যেন কারও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
১১ তারিখের পত্রিকা খুললে দেখা যাবে, সেদিন বাংলাদেশে জনসংখ্যা কত, কোন জেলায় জন্মহার বেশি বা কম, আদমশুমারির ফলাফল কী ইত্যাদি তথ্য দিয়ে ভরা। আরও লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, এই দিনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো ক্রোড়পত্রও ছিল না।
এত দিন বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে কথা বলার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞরাই সোচ্চার ছিলেন। কিন্তু এখন হঠাৎ দেখছি কথা বলছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। শ্রমিকের অধিকার হরণের আরেকটি নতুন মাত্রা তারা যোগ করেছে! সে প্রসঙ্গে কথা বলাই আমার মূল উদ্দেশ্য। তবে তার আগে দেখা যাক ১১ জুলাই কীভাবে পালিত হলো।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এই দিন প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার প্রতি গুরুত্ব দিতে গিয়ে প্রতিটি জন্ম যেন নিরাপদ হয় এবং প্রতিটি গর্ভধারণ যেন কাঙ্ক্ষিত হয়, তার প্রতি জোর দিয়েছে। প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা মানে শুধু জন্মহার রোধ করাই নয়, বরং জন্মদানও নিরাপদ করতে হবে। দিবসটি পালন করতে গিয়েও প্রজননস্বাস্থ্যের প্রতি চরম অবহেলা লক্ষ করা গেছে। ‘সর্বজনীন প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা’ টি-শার্ট সবাই পরে শোভাযাত্রা করেছেন, কিন্তু মুখে বলছেন অন্য কথা। মাতৃস্বাস্থ্য নিরাপদ করার জন্য কোনো উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা সেখানে ছিল না। প্রতিদিনের পত্রিকায় নারী নির্যাতন, যৌতুক ইত্যাদির খবর এখন যেন সবার গা সওয়া ব্যাপার হয়ে গেছে। ১২ জুলাইয়ের দৈনিকে আছে অনেক নারীর নির্যাতন ও যৌতুক-যন্ত্রণার কাহিনি। কে দিচ্ছে তাঁদের নিশ্চয়তা! চীনে এক সন্তান কর্মসূচি নিয়ে ব্যাপকভাবে নারীর ভ্রূণ হত্যার পর এখন তারা নীতি বদলেছে। অথচ নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং তাঁদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা দেশে একটি পরিকল্পিত জনসংখ্যানীতি তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে।
আর এটাও বুঝতে হবে, প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা মানে শুধু কিছু জন্মনিয়েন্ত্রণ পদ্ধতি ধরিয়ে দেওয়া নয়। শুধু দুটি বা একটি সন্তানও যদি হয়, তাহলে যে সন্তানটি জন্মাবে, সেটা যেন মা ও শিশু উভয়ের জন্য নিরাপদ হয়, তার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব সরকারের। যদি সরকার নিয়ম বেঁধে দেয় যে দুটির বেশি হতে পারবে না, তাহলে তা নিরাপদ করার দায়িত্ব সরকারের। মাতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়টিও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার অধিকার হিসেবেই এত দিন নারী-আন্দোলন দাবি করে এসেছে। কিন্তু বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের ঠিক এক দিন আগে (১০ জুলাই) প্রথম আলোর একটি খবরে চোখ আটকে গেল। খবরটির শিরোনাম ‘মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়লে জন্মহারও বাড়বে! মনে করে বিজিএমইএ’। এমন একটি শিরোনাম দেখে অনেকটা আঁতকে উঠেই পড়ে ফেললাম এবং বিস্মিত হলাম। বিজিএমইএ একটি রপ্তানিমুখী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, তারা কবে থেকে জনসংখ্যাতত্ত্ব নিয়ে বিশেষজ্ঞ হয়েছে, তা আমাদের জানা ছিল না। তবে হ্যাঁ, স্বার্থ বুঝে সবাই একটি অবস্থান নিতেই পারে এবং বিজিএমইএ আরও একবার প্রমাণ করল, তারা শুধু শ্রমিকবিরোধী নয়, ঘোরতর নারীবিরোধী।
প্রথম আলোর প্রতিবেদক মানসুরা হোসাইনের এই প্রতিবেদন যাঁরা পড়েননি, তাঁদের একটু ধরিয়ে দেওয়ার জন্য বলছি, বিজিএমইএ মাতৃত্বকালীন ছুটিসংক্রান্ত বিষয়ে মতামত দিয়েছে। তারা বলেছে, মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস করা হলে তা জন্মহার বাড়ায় উৎসাহিত করবে। সুবিধা পাওয়ার পর কর্মীদের চাকরিতে ফিরে না আসার প্রবণতাও বাড়বে। দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে শ্রমিকের দক্ষতা হ্রাস পাবে।
এখন যখন বিশ্বব্যাপী মাতৃত্বকালীন ছুটি ১৬ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ২৪ সপ্তাহ বা ছয় মাস করা হচ্ছে এবং বাংলাদেশে এই আইন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, তখন বিজিএমইএর এই বক্তব্য শুধু হাস্যকর নয়, চরম অজ্ঞতারও শামিল। তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য এতখানি অমানবিক ও অশালীন আচরণ করবে, তা শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি অমান্য করার মধ্য দিয়েই পরিষ্কারভাবে ফুটে ওঠে। তাই আমি খুব আবাক হইনি, অবাক হয়েছি তাদের ভাষার ব্যবহার দেখে। বিজিএমইএর হাস্যকর ও বুদ্ধিবিবেচনাহীন বক্তব্য প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে পাঠকদের কাছে আবারও তুলে ধরছি। তারা বলছে, ‘পোশাকশিল্পে ৮০ শতাংশ নারী শ্রমিক কর্মরত, যেখানে কোনো শ্রমিক কোনো পোশাক এককভাবে তৈরি করেন না। শার্ট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানে একটি লাইনের মধ্যে একজন বডি সেলাই, একজন কলার, একজন কাফ, একজন পকেট তৈরিসহ একেকটি কাজ করেন। একটি লাইনের মধ্যে একজন দক্ষ শ্রমিক অনুপস্থিত থাকলে উৎপাদনের মাত্রা অনেক কমে যাবে ইত্যাদি, ইত্যাদি।’ একজন শ্রমিকের মাতৃত্বকালীন ছুটি নেওয়ার কারণে কোথায় কোন উৎপাদন ঠেকে গেছে, তার কোনো উদাহরণ খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আমার জানা নেই। জানতে চাই, মাতৃত্বকালীন ছুটি কি একসঙ্গে ৮০ শতাংশ নারী শ্রমিক নিয়ে থাকেন? কতজন নারী শ্রমিক মাতৃত্বকালীন ছুটি নেওয়ার কারণে কতসংখ্যক শার্টের কাফ বা কলার লাগানো যায়নি? এই হিসাব বিজিএমইএ কি কখনো করেছে, নাকি যা মনে এল তা-ই বলে বসছে!
পোশাকশ্রমিকেরা আছেন বলেই আজ এই শিল্প টিকে আছে। হাজার-কোটি ডলারের বিদেশি মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে। এখন দেখছি বিদেশি মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি তাঁদের ওপর বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের! তাই তাঁদের মাতৃত্বকালীন ছুটির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে!
মাতৃত্বকালীন ছুটি পাওয়া কোনো মালিকের ইচ্ছা-অনিচ্ছা বা তাঁর বিশেষ অনুগ্রহের বিষয় নয়, এটা প্রতিটি কর্মজীবী নারীর অধিকার। এই অধিকার লঙ্ঘন করার দায়ে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন আছে। আমি নারী সংগঠন ও শ্রমিক সংগঠনের লোকজনকে ধন্যবাদ জানাই, তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আমিও তাঁদের সঙ্গে একমত হয়ে দাবি জানাচ্ছি, এই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
ফরিদা আখতার: নারীনেত্রী, উন্নয়নকর্মী।
এত দিন বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে কথা বলার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞরাই সোচ্চার ছিলেন। কিন্তু এখন হঠাৎ দেখছি কথা বলছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। শ্রমিকের অধিকার হরণের আরেকটি নতুন মাত্রা তারা যোগ করেছে! সে প্রসঙ্গে কথা বলাই আমার মূল উদ্দেশ্য। তবে তার আগে দেখা যাক ১১ জুলাই কীভাবে পালিত হলো।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এই দিন প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার প্রতি গুরুত্ব দিতে গিয়ে প্রতিটি জন্ম যেন নিরাপদ হয় এবং প্রতিটি গর্ভধারণ যেন কাঙ্ক্ষিত হয়, তার প্রতি জোর দিয়েছে। প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা মানে শুধু জন্মহার রোধ করাই নয়, বরং জন্মদানও নিরাপদ করতে হবে। দিবসটি পালন করতে গিয়েও প্রজননস্বাস্থ্যের প্রতি চরম অবহেলা লক্ষ করা গেছে। ‘সর্বজনীন প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা’ টি-শার্ট সবাই পরে শোভাযাত্রা করেছেন, কিন্তু মুখে বলছেন অন্য কথা। মাতৃস্বাস্থ্য নিরাপদ করার জন্য কোনো উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা সেখানে ছিল না। প্রতিদিনের পত্রিকায় নারী নির্যাতন, যৌতুক ইত্যাদির খবর এখন যেন সবার গা সওয়া ব্যাপার হয়ে গেছে। ১২ জুলাইয়ের দৈনিকে আছে অনেক নারীর নির্যাতন ও যৌতুক-যন্ত্রণার কাহিনি। কে দিচ্ছে তাঁদের নিশ্চয়তা! চীনে এক সন্তান কর্মসূচি নিয়ে ব্যাপকভাবে নারীর ভ্রূণ হত্যার পর এখন তারা নীতি বদলেছে। অথচ নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং তাঁদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা দেশে একটি পরিকল্পিত জনসংখ্যানীতি তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে।
আর এটাও বুঝতে হবে, প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা মানে শুধু কিছু জন্মনিয়েন্ত্রণ পদ্ধতি ধরিয়ে দেওয়া নয়। শুধু দুটি বা একটি সন্তানও যদি হয়, তাহলে যে সন্তানটি জন্মাবে, সেটা যেন মা ও শিশু উভয়ের জন্য নিরাপদ হয়, তার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব সরকারের। যদি সরকার নিয়ম বেঁধে দেয় যে দুটির বেশি হতে পারবে না, তাহলে তা নিরাপদ করার দায়িত্ব সরকারের। মাতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়টিও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার অধিকার হিসেবেই এত দিন নারী-আন্দোলন দাবি করে এসেছে। কিন্তু বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের ঠিক এক দিন আগে (১০ জুলাই) প্রথম আলোর একটি খবরে চোখ আটকে গেল। খবরটির শিরোনাম ‘মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়লে জন্মহারও বাড়বে! মনে করে বিজিএমইএ’। এমন একটি শিরোনাম দেখে অনেকটা আঁতকে উঠেই পড়ে ফেললাম এবং বিস্মিত হলাম। বিজিএমইএ একটি রপ্তানিমুখী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, তারা কবে থেকে জনসংখ্যাতত্ত্ব নিয়ে বিশেষজ্ঞ হয়েছে, তা আমাদের জানা ছিল না। তবে হ্যাঁ, স্বার্থ বুঝে সবাই একটি অবস্থান নিতেই পারে এবং বিজিএমইএ আরও একবার প্রমাণ করল, তারা শুধু শ্রমিকবিরোধী নয়, ঘোরতর নারীবিরোধী।
প্রথম আলোর প্রতিবেদক মানসুরা হোসাইনের এই প্রতিবেদন যাঁরা পড়েননি, তাঁদের একটু ধরিয়ে দেওয়ার জন্য বলছি, বিজিএমইএ মাতৃত্বকালীন ছুটিসংক্রান্ত বিষয়ে মতামত দিয়েছে। তারা বলেছে, মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস করা হলে তা জন্মহার বাড়ায় উৎসাহিত করবে। সুবিধা পাওয়ার পর কর্মীদের চাকরিতে ফিরে না আসার প্রবণতাও বাড়বে। দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে শ্রমিকের দক্ষতা হ্রাস পাবে।
এখন যখন বিশ্বব্যাপী মাতৃত্বকালীন ছুটি ১৬ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ২৪ সপ্তাহ বা ছয় মাস করা হচ্ছে এবং বাংলাদেশে এই আইন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, তখন বিজিএমইএর এই বক্তব্য শুধু হাস্যকর নয়, চরম অজ্ঞতারও শামিল। তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য এতখানি অমানবিক ও অশালীন আচরণ করবে, তা শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি অমান্য করার মধ্য দিয়েই পরিষ্কারভাবে ফুটে ওঠে। তাই আমি খুব আবাক হইনি, অবাক হয়েছি তাদের ভাষার ব্যবহার দেখে। বিজিএমইএর হাস্যকর ও বুদ্ধিবিবেচনাহীন বক্তব্য প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে পাঠকদের কাছে আবারও তুলে ধরছি। তারা বলছে, ‘পোশাকশিল্পে ৮০ শতাংশ নারী শ্রমিক কর্মরত, যেখানে কোনো শ্রমিক কোনো পোশাক এককভাবে তৈরি করেন না। শার্ট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানে একটি লাইনের মধ্যে একজন বডি সেলাই, একজন কলার, একজন কাফ, একজন পকেট তৈরিসহ একেকটি কাজ করেন। একটি লাইনের মধ্যে একজন দক্ষ শ্রমিক অনুপস্থিত থাকলে উৎপাদনের মাত্রা অনেক কমে যাবে ইত্যাদি, ইত্যাদি।’ একজন শ্রমিকের মাতৃত্বকালীন ছুটি নেওয়ার কারণে কোথায় কোন উৎপাদন ঠেকে গেছে, তার কোনো উদাহরণ খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আমার জানা নেই। জানতে চাই, মাতৃত্বকালীন ছুটি কি একসঙ্গে ৮০ শতাংশ নারী শ্রমিক নিয়ে থাকেন? কতজন নারী শ্রমিক মাতৃত্বকালীন ছুটি নেওয়ার কারণে কতসংখ্যক শার্টের কাফ বা কলার লাগানো যায়নি? এই হিসাব বিজিএমইএ কি কখনো করেছে, নাকি যা মনে এল তা-ই বলে বসছে!
পোশাকশ্রমিকেরা আছেন বলেই আজ এই শিল্প টিকে আছে। হাজার-কোটি ডলারের বিদেশি মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে। এখন দেখছি বিদেশি মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি তাঁদের ওপর বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের! তাই তাঁদের মাতৃত্বকালীন ছুটির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে!
মাতৃত্বকালীন ছুটি পাওয়া কোনো মালিকের ইচ্ছা-অনিচ্ছা বা তাঁর বিশেষ অনুগ্রহের বিষয় নয়, এটা প্রতিটি কর্মজীবী নারীর অধিকার। এই অধিকার লঙ্ঘন করার দায়ে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন আছে। আমি নারী সংগঠন ও শ্রমিক সংগঠনের লোকজনকে ধন্যবাদ জানাই, তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আমিও তাঁদের সঙ্গে একমত হয়ে দাবি জানাচ্ছি, এই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
ফরিদা আখতার: নারীনেত্রী, উন্নয়নকর্মী।
No comments