চট্টগ্রামে এক ধর্ষকের ৬০ বছরের কারাদণ্ড
ট্টগ্রামে ধর্ষিত মাদ্রাসাছাত্রীর আত্মহননের ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায়ে ধর্ষককে দুটি ধারায় ৬০ বছরের কারাদ- দিয়েছে আদালত। দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ধর্ষকের নাম আহমদ হোসেন। একই আদালত আসামিকে ১ লাখ টাকা জরিমানাও করেছে। চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোঃ রেজাউল করিম সোমবার এ রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২২ মার্চ চন্দনাইশ উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের মোঃ ইউনুসের কন্যা তানিয়া সুলতানা হিরু মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে অপহৃত হয়। সে ছিল ঐ এলাকার সাতবাড়ীয়া শাহ আমানত মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। আহমদ হোসেন ও তার কয়েকজন সহযোগী হিরুকে তুলে নিয়ে আসে চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট এলাকার একটি বাসায়। সেখানে তাকে তিন দিন আটকে রেখে বিয়েতে সম্মত করানোর চেষ্টা করা হয়। এ তিন দিনে মেয়েটি ধর্ষিতও হয়। তিন দিন আটক থাকার পর ২৪ মার্চ সে কৌশলে মুক্ত হতে সক্ষম হয়। ওই বাসা থেকে বেরিয়ে সে এক বৃদ্ধের বাসায় আশ্রয় নেয় তাকে পিতা ডেকে। পরে এ খবর তার পরিবারকে জানানো হলে স্বজনরা ছুটে আসেন। এ ঘটনায় হিরুর মা সখিনা বেগম বাদী হয়ে আহমদ হোসেনসহ চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলো কাদের, ইসমাইল ও জয়নাল। মামলা বিচারাধীন থাকলেও ইজ্জত হারানো এ মেয়েটি ২৪ জুলাই তার বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৭ ও ৯(১) ধারায় আদালতে চার্জশীট দাখিল হয়। আলোচিত এ মামলায় সাক্ষী ছিলেন ১৬ জন। এর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্যে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি আহমদ হোসেনকে ৩০ বছর করে ৬০ বছরের কারাদ- দেয়া হয়। একই আদালত উভয় ধারায় আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে ১ লাখ টাকা জরিমানাও করে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিশেষ পিপি চন্দন তালুকদার জানান, দুটি ধারাতেই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই আদালত এ দণ্ডাদেশ দেয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিশেষ পিপি চন্দন তালুকদার জানান, দুটি ধারাতেই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই আদালত এ দণ্ডাদেশ দেয়।
No comments