উত্তর কোরিয়ার সেনাপ্রধানকে অপসারণ
উত্তর কোরিয়ার সেনাপ্রধান রি ইয়ং-হোকে সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, 'শারীরিক অসুস্থতার জন্য' তাঁকে সরানো হয়েছে। তবে দেশটির নতুন নেতা কিম জং-উনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ইয়ং-হোর অপসারণে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনাকে 'অত্যন্ত অস্বাভাবিক' বলে মন্তব্য করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
সেনাপ্রধানের পাশাপাশি ইয়ং হো প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের (সিএমসি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির উচ্চ পর্যায়েরও নেতা ছিলেন তিনি। এসব পদ থেকেও তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
কেসিএনএ গতকাল সোমবার জানিয়েছে, আগের দিন রবিবার ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় কমিটি পলিট ব্যুরোর বৈঠকে ইয়ং-হোকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে তাঁর উত্তরসূরি কে হবেন, সে ব্যাপারে অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
৬৯ বছর বয়সী ইয়ং হো ২০০৯ সাল থেকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সাম্প্রতিককালে রাষ্ট্রীয় সব বড় অনুষ্ঠানে তাঁকে কিম জং-উনের পাশে দেখা গেছে। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে মারা যান কিমের বাবা কিম জং-ইল। প্রয়াত এ নেতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতার সময়ও কিমের পাশে যে সাত প্রভাবশালী কর্মকর্তাকে দেখা গেছে, ইয়ং হো ছিলেন তাঁদের অন্যতম।
এ অবস্থায় ইয়ং-হোর অপসারণে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্লেষকদের অনেকে বয়সে তরুণ কিম জং-উনের রাষ্ট্র পরিচালনায় অনভিজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবেও দেখছেন এ ঘটনাকে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পুনরেকর্ত্রীকরণবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কিম হুয়াং-সাক গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, 'গতকাল কোনো একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, আর পরদিন সকালে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হলো_উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে এমন ঘটনা খুবই বিরল। আমরা নিজেদের স্বার্থেই ঘটনার ওপর নজর রাখছি।' এর বাইরে আর কিছু বলেননি তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রবার্ট কেলি বলেন, সেনাবাহিনী ও ওয়ার্কার্স পার্টি_এরাই কিম পরিবারের শাসনক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করেছে। ঐতিহ্যগতভাবে এ দুটি প্রতিষ্ঠানই উত্তর কোরিয়ার নেতৃত্বের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা রাখে। কিম জং উন এ দুটির কোনোটার সঙ্গেই জড়িত ছিলেন না। তাই তাঁর অভিজ্ঞতা কম। কেলির মতে, 'কিম জং উনের অবস্থান খুবই নড়বড়ে।' প্রসঙ্গত, উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ বৃহত্তম। এর সদস্য সংখ্যা ১২ লাখ। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
কেসিএনএ গতকাল সোমবার জানিয়েছে, আগের দিন রবিবার ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় কমিটি পলিট ব্যুরোর বৈঠকে ইয়ং-হোকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে তাঁর উত্তরসূরি কে হবেন, সে ব্যাপারে অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
৬৯ বছর বয়সী ইয়ং হো ২০০৯ সাল থেকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সাম্প্রতিককালে রাষ্ট্রীয় সব বড় অনুষ্ঠানে তাঁকে কিম জং-উনের পাশে দেখা গেছে। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে মারা যান কিমের বাবা কিম জং-ইল। প্রয়াত এ নেতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতার সময়ও কিমের পাশে যে সাত প্রভাবশালী কর্মকর্তাকে দেখা গেছে, ইয়ং হো ছিলেন তাঁদের অন্যতম।
এ অবস্থায় ইয়ং-হোর অপসারণে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্লেষকদের অনেকে বয়সে তরুণ কিম জং-উনের রাষ্ট্র পরিচালনায় অনভিজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবেও দেখছেন এ ঘটনাকে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পুনরেকর্ত্রীকরণবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কিম হুয়াং-সাক গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, 'গতকাল কোনো একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, আর পরদিন সকালে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হলো_উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে এমন ঘটনা খুবই বিরল। আমরা নিজেদের স্বার্থেই ঘটনার ওপর নজর রাখছি।' এর বাইরে আর কিছু বলেননি তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রবার্ট কেলি বলেন, সেনাবাহিনী ও ওয়ার্কার্স পার্টি_এরাই কিম পরিবারের শাসনক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করেছে। ঐতিহ্যগতভাবে এ দুটি প্রতিষ্ঠানই উত্তর কোরিয়ার নেতৃত্বের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা রাখে। কিম জং উন এ দুটির কোনোটার সঙ্গেই জড়িত ছিলেন না। তাই তাঁর অভিজ্ঞতা কম। কেলির মতে, 'কিম জং উনের অবস্থান খুবই নড়বড়ে।' প্রসঙ্গত, উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ বৃহত্তম। এর সদস্য সংখ্যা ১২ লাখ। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments