কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষীকে জেরা
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক গতকাল সোমবার আসামিপক্ষের জেরায় বলেছেন, জনশ্রুতি ছিল, কামারুজ্জামান বৃহত্তর ময়মনসিংহে আলবদর বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী কফিল উদ্দিন চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে হামিদুল এ কথা বলেন। বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ গতকাল তাঁকে দ্বিতীয় দিনের মতো জেরা করা হয়।
আসামির কাঠগড়ায় কামারুজ্জামানের উপস্থিতিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী সাক্ষীর কাছে জানতে চান, ২০০৯ সালে মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর: কথোপকথন বইটি সাক্ষী পড়েছেন কি না? হামিদুল বলেন, পড়েননি। পরে এই বই থেকে আইনজীবী কয়েকটি প্রশ্ন করলে ট্রাইব্যুনাল বলেন, সাক্ষী বলেছেন, তিনি বইটি পড়েননি। তার পরও কেন এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে। আইনজীবী বলেন, তিনি মত (সাজেশন) দিচ্ছেন। ট্রাইব্যুনাল আইনজীবীকে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করতে বলেন।
ময়মনসিংহে রফিক হাসনাতের বাসা থেকে সাক্ষী ও আরেক মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁরা কী করেছিলেন—এ প্রশ্নের জবাবে হামিদুল বলেন, তাঁরা পালানোর চেষ্টা করেননি, বাধাও দেননি। তবে চিৎকার করেছিলেন। জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে স্থাপিত আলবদর ক্যাম্পে কয়জন থাকত—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই ক্যাম্পে কখনো ২০-৩০ বা ৪০ জন থাকত, কখনো এর বেশি থাকত।
১৯৯২ সালে গঠিত গণ-আদালতে কোনো অভিযোগ করেছিলেন কি না—এ প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী বলেন, সে সময় লিখিত কোনো অভিযোগ করেননি। তবে আহমদ শরীফকে কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করেছিলেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মত দেন, পাকিস্তানি সেনা বা আলবদরের হাতে আটক হওয়া, জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে বন্দী থাকা এবং সেখান থেকে সাক্ষীর পালিয়ে যাওয়া—নিছক একটি গল্প। এ সময় সাক্ষী বলেন, এটা সত্য নয়।
জেরা অসমাপ্ত অবস্থায় এই মামলার কার্যক্রম ১৯ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
কাদের মোল্লার দুই আবেদন খারিজ: একই ট্রাইব্যুনাল গতকাল জামায়াতের অপর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার দুটি আবেদন শুনানি শেষে খারিজ করেন। আবেদন দুটি হলো: ক্যামেরা কার্যক্রমের অনুমতি পাওয়া রাষ্ট্রপক্ষের দুই নারী সাক্ষীর মধ্যে একজনের সাক্ষ্য স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা ও রাষ্ট্রপক্ষের দ্বিতীয় সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শহীদুল হক ওরফে মামাকে আবার জেরার আবেদন।
আবেদনের শুনানিতে আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের যে দুই নারী সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ক্যামেরা কার্যক্রমের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তাঁদের একজন হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির (ভিকটিম) আত্মীয় নন। তাই তাঁর সাক্ষ্য স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা হোক। শহীদুলকে আবার জেরার আবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসামিপক্ষ সাক্ষীকে একটি ভিডিও ফুটেজ দেখাতে এবং জবানবন্দির আরও কয়েকটি বিষয়ে জেরা করতে চায়।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোহাম্মদ আলী বলেন, যে নারী সাক্ষীর কথা আসামিপক্ষ বলছে, নিহত ব্যক্তি তাঁর স্বামী। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি কারও সঙ্গে কথা বলেন না, জনসম্মুখে আসতে চান না। সাক্ষী শহীদুল হক সুইডেনে ফিরে গেছেন। তিনি অসুস্থ। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল আদেশ দেন। আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের তৃতীয় সাক্ষী হিসেবে একজন নারী ক্যামেরা কার্যক্রমের মাধ্যমে সাক্ষ্য দেবেন।
আসামির কাঠগড়ায় কামারুজ্জামানের উপস্থিতিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী সাক্ষীর কাছে জানতে চান, ২০০৯ সালে মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর: কথোপকথন বইটি সাক্ষী পড়েছেন কি না? হামিদুল বলেন, পড়েননি। পরে এই বই থেকে আইনজীবী কয়েকটি প্রশ্ন করলে ট্রাইব্যুনাল বলেন, সাক্ষী বলেছেন, তিনি বইটি পড়েননি। তার পরও কেন এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে। আইনজীবী বলেন, তিনি মত (সাজেশন) দিচ্ছেন। ট্রাইব্যুনাল আইনজীবীকে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করতে বলেন।
ময়মনসিংহে রফিক হাসনাতের বাসা থেকে সাক্ষী ও আরেক মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁরা কী করেছিলেন—এ প্রশ্নের জবাবে হামিদুল বলেন, তাঁরা পালানোর চেষ্টা করেননি, বাধাও দেননি। তবে চিৎকার করেছিলেন। জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে স্থাপিত আলবদর ক্যাম্পে কয়জন থাকত—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই ক্যাম্পে কখনো ২০-৩০ বা ৪০ জন থাকত, কখনো এর বেশি থাকত।
১৯৯২ সালে গঠিত গণ-আদালতে কোনো অভিযোগ করেছিলেন কি না—এ প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী বলেন, সে সময় লিখিত কোনো অভিযোগ করেননি। তবে আহমদ শরীফকে কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করেছিলেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মত দেন, পাকিস্তানি সেনা বা আলবদরের হাতে আটক হওয়া, জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে বন্দী থাকা এবং সেখান থেকে সাক্ষীর পালিয়ে যাওয়া—নিছক একটি গল্প। এ সময় সাক্ষী বলেন, এটা সত্য নয়।
জেরা অসমাপ্ত অবস্থায় এই মামলার কার্যক্রম ১৯ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
কাদের মোল্লার দুই আবেদন খারিজ: একই ট্রাইব্যুনাল গতকাল জামায়াতের অপর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার দুটি আবেদন শুনানি শেষে খারিজ করেন। আবেদন দুটি হলো: ক্যামেরা কার্যক্রমের অনুমতি পাওয়া রাষ্ট্রপক্ষের দুই নারী সাক্ষীর মধ্যে একজনের সাক্ষ্য স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা ও রাষ্ট্রপক্ষের দ্বিতীয় সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শহীদুল হক ওরফে মামাকে আবার জেরার আবেদন।
আবেদনের শুনানিতে আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের যে দুই নারী সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ক্যামেরা কার্যক্রমের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তাঁদের একজন হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির (ভিকটিম) আত্মীয় নন। তাই তাঁর সাক্ষ্য স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা হোক। শহীদুলকে আবার জেরার আবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসামিপক্ষ সাক্ষীকে একটি ভিডিও ফুটেজ দেখাতে এবং জবানবন্দির আরও কয়েকটি বিষয়ে জেরা করতে চায়।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোহাম্মদ আলী বলেন, যে নারী সাক্ষীর কথা আসামিপক্ষ বলছে, নিহত ব্যক্তি তাঁর স্বামী। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি কারও সঙ্গে কথা বলেন না, জনসম্মুখে আসতে চান না। সাক্ষী শহীদুল হক সুইডেনে ফিরে গেছেন। তিনি অসুস্থ। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল আদেশ দেন। আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের তৃতীয় সাক্ষী হিসেবে একজন নারী ক্যামেরা কার্যক্রমের মাধ্যমে সাক্ষ্য দেবেন।
No comments