দৌলতপুরে নিহত দুই শ্রমিকের পরিবারে মাতম, মামলা হয়নি বিড়ি কারখানায় গুলি
১৬ জুলাই ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরিতে আনছার সদস্যদের গুলিতে নিহত দুই শ্রমিকের পরিবারের স্বজনদের মাঝে একদিকে যেমন চলছে কান্নাররোল। অপরদিকে খেটে খাওয়া ওই সকল দিনমজুর শ্রমিককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে নিহতদের সহকর্মী শ্রমিকরাও। এদিকে হত্যাকা-ের এঘটনার ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে রকিবুল ইসলামকে হারিয়ে তার মা সূর্যহারা খাতুন পাগলপ্রায়। ৪ মাসের শিশুকে বুকে নিয়ে নিহত রকিবুলের স্ত্রীও ঘটনার আকস্মিকতায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন। অপরদিকে মিন্টুর পরিবারের কান্না যেন থামছেই না। ৯ মাস বয়সী শিশুকন্যা নিয়ে মিন্টুর স্ত্রী জুঁইও শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। ছেলেকে হারিয়ে মাও যন্ত্রনাকাতর। নিহত দুই শ্রমিকের পরিবারের স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে সেখানকার বাতাস।
পাশাপাশি দুটি কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে বিড়ি শ্রমিক মিন্টু ও রকিবুল ইসলামকে। কষ্টার্জিত ঘাম ঝরানো শ্রমের মূল্য বুলেট দিয়ে নিঃশেষ করা হলেও নিহতদের রক্তের দাগ মুছার আগেই দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে পরিবারের লোকজন ও সহকর্মী শ্রমিকরা। নিহত মিন্টুর ভাই আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমার ভাইকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক। শ্রমিক নেতা নয়ন ঘটনার প্রধান হোতা ফ্যাক্টরির ম্যানেজার খোরশেদ আলমকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি জানান।
তবে দৌলতপুর থানার ওসি শেখ লুৎফর রহমান বলেছেন, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেেেক অভিযোগ দেয়া হলে মামলা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরিতে মালিক ও শ্রমিকপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আনছার সদস্যদের গুলিতে ২ শ্রমিক নিহত হয়। আহত হয় গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন। আহতদের মধ্যে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নজরুল ইসলাম কালার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ফ্যাক্টরি বন্ধ ঘোষণা করে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ফ্যাক্টরির ম্যানেজার খোরশেদ আলম ও ১৩ আনছার সদস্যসহ ১৫ জনকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে রকিবুল ইসলামকে হারিয়ে তার মা সূর্যহারা খাতুন পাগলপ্রায়। ৪ মাসের শিশুকে বুকে নিয়ে নিহত রকিবুলের স্ত্রীও ঘটনার আকস্মিকতায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন। অপরদিকে মিন্টুর পরিবারের কান্না যেন থামছেই না। ৯ মাস বয়সী শিশুকন্যা নিয়ে মিন্টুর স্ত্রী জুঁইও শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। ছেলেকে হারিয়ে মাও যন্ত্রনাকাতর। নিহত দুই শ্রমিকের পরিবারের স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে সেখানকার বাতাস।
পাশাপাশি দুটি কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে বিড়ি শ্রমিক মিন্টু ও রকিবুল ইসলামকে। কষ্টার্জিত ঘাম ঝরানো শ্রমের মূল্য বুলেট দিয়ে নিঃশেষ করা হলেও নিহতদের রক্তের দাগ মুছার আগেই দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে পরিবারের লোকজন ও সহকর্মী শ্রমিকরা। নিহত মিন্টুর ভাই আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমার ভাইকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক। শ্রমিক নেতা নয়ন ঘটনার প্রধান হোতা ফ্যাক্টরির ম্যানেজার খোরশেদ আলমকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি জানান।
তবে দৌলতপুর থানার ওসি শেখ লুৎফর রহমান বলেছেন, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেেেক অভিযোগ দেয়া হলে মামলা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরিতে মালিক ও শ্রমিকপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আনছার সদস্যদের গুলিতে ২ শ্রমিক নিহত হয়। আহত হয় গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন। আহতদের মধ্যে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নজরুল ইসলাম কালার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ফ্যাক্টরি বন্ধ ঘোষণা করে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ফ্যাক্টরির ম্যানেজার খোরশেদ আলম ও ১৩ আনছার সদস্যসহ ১৫ জনকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
No comments