ঈর্ষা থাকুক দূরে by সুগত সরকার
মাকড়সার কঙ্কাল তার শরীরের বাইরে থাকে। কথাটা সবাই জানো। কিন্তু কেন কখনও তা ভেবে দেখেছে? তার মহোত করে কখনও ভেবে দেখেছ ঈর্ষা নামের অশুভ এক দানবের কথা, যা বাইরে থেকে এসে আমাদের মস্তিষ্কে দানা বেঁধে সব সৃজনশীলতাকে হাঙরের মতো কচকচ করে কামড়ে খাচ্ছে? ভাবনার আয়নায় কখনও দাঁড় করিয়েছে এই অশুভ দানবটাকে?
তুমি যতই আধুনিক হও, যতই মেধাবী হও আর যতই আত্মা-সচেতন হও না কেন, ঈর্ষাকে যদি মাকড়াসার কঙ্কালের মতো শরীর থেকে আলাদা করতে না পারো, তাহলে তোমার আবেগ, মনের চূড়ান্ত ইচ্ছাশক্তি-সবই বৃথা যাবে।
ঈর্ষাকে শরীর থেকে বের না করে অতি যতনে তা পুষে রাখো, তাদের ভেতর আরেকটা জিনিস আস্তে আস্তে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তা হচ্ছে, পরশ্রীকাতরতা। মানে, তারা কোনোভাবেই অন্যের ভালোটা মেনে নিতে পারে না। কেউ ভালো কিছু করলে তাদের মুখ দিয়ে বাহবা শব্দটা বের হয় না হতে চায় না। যাকে আড্ডার ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয় এভাবে, বোমা মারলেও তার মুখ দিয়ে কারও প্রশংসা বের হয় না। বরং সে উল্টো চোখে পাওয়ারির চশমা লাগিয়ে অন্যের ঘরে উঁকিঝুঁকি দিয়ে যায় প্রতিনিয়ত। অন্যকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে করতে নিজের কথাই ভুলে যায়। কষ্ট দিতে থাকে নিজের সত্তাকে।
বলি, অন্যের ঘর বাড়ি থেকে কষ্টদের তোষামোদ করে এভাবে আয়-আয় বলে নিজের ঘাড়ে এনে বসানোর কোনো মানে হয়? আর কত? বিদায় করো না এই পরশ্রীকাতরতাকে। নিজেকে ভালোবাসতে শেখো। নিজে কেমন আছ, সেটা ভাবো। অন্যের চেয়ে কখনও নিজেকে কম ভেব না। তোমার নিজের যা কিছু আছে, তাতেই সন্তুষ্ট থাকো। অন্যের সঙ্গে ভুলেও নিজের পরিস্থিতির তুলনা করতে যেও না।
হাঙরের পড়ে যাওয়া দাঁত এক সপ্তাহে নতুন করে গজায়। পরের ঘরে আড়ি পেতে ঈর্ষা নামের বিশাল দাঁত যদি তড়িঘড়ি করে উঠিয়ে দাও মনে, তাহলে নিজের ক্ষতি ছাড়া কিছুই ধরা দেবে না ভাগ্যের ধারাপাতে। অতএব, অন্যের সাফল্যে ভেতরে ভেতরে জ্বলে পুড়ে না মারে ঈর্ষা নামের দানবটাকে ঝেড়ে বিদায় করে নিজেকে সময় দাও, নিজের জন্য নিজের একান্ত সময়গুলো ব্যয় করো।
অন্যকে সংবেদনশীল চোখে দেখতে শেখো। পারলে কোনো সৃজনশীল কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখ। গান গাইতে পারলে সময় করে গান নিয়ে মেতে ওঠো। কবিতা বা গদ্যো হাত থাকলে সেখানে মাথা খাটাও। ছবি আঁকতে পারলে ক্যানভাসে হারিয়ে যাও। রান্না করতে পারলে সেখানেও সময় ব্যয় করতে পার। করতে পার অন্য কিছুও। নিজের শখ পুরনে কিছু সময় টাকালে দেখবে ঈর্ষা বা পরশ্রীকাতরতা নামের দানবীর বাতিকটা মন থেকে মাকড়াসার কঙ্কালের মতো তিরতির করে বেরিয়ে আসছে। তখন তুমি অনেক সুন্দর করে দেখতে পারবে পৃথিবিটা।
জানো তো, অন্যের প্রশংসা করলে নিজেও প্রশংসা পেতে থাকবে। চারপাশের চেনা জগতটাকেও আরও চেনা মনে হবে। কাছের মানুষটাকে আরও কাছের, আপন মানুষটাকে আরও আপন করে নিতে পারবে তুমি। তাছাড়া কাজে ব্যস্ত থাকলেও মন মানসিকতা ও অনেক ফুরফুরে থাকে।
তোমরা যারা চকোলেটপ্রিয় মানুষ, দেদার চকোলেট খেলেও তাদের তেমন ক্ষতি হয় না বললেই চলে। কিন্তু এ চকোলেট আবার প্রিয় পোষা কুকুরটাকে খাওয়াতে যেও না। এতে তার মৃত্যুও হতে পারে। কারণ, চকোলেট মানুষের ভেতর বড় ধরনের ক্ষতিরক কিছু করতে না পারলেও ঠিক-ঠিক কুকুরের হাট এবং নার্ভাস সিস্টেম আক্রমণ করে তাকে বিকল করে দিতে পারে। তেমনি ঈর্ষা নামের দানবটা অন্যের ক্ষতি করতে না পারলেও দেখবে তোমার সুন্দর পৃথিবীটা ধ্বংস করে দিয়ে যাচ্ছে খুব দক্ষতার সঙ্গে। চিড় ধরিয়ে দিচ্ছে তোমার সব ভালো সম্পর্কে। তা কেন পুষে যাবে এই আত্মঘাতী বাতিক?
তাকে বিদায় করে হাঁফ ছেড়ে বাঁচো না বাবা! হেসে ওঠো নিজের সঙ্গে। মেতে ওঠো আনন্দে।
ঈর্ষাকে শরীর থেকে বের না করে অতি যতনে তা পুষে রাখো, তাদের ভেতর আরেকটা জিনিস আস্তে আস্তে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তা হচ্ছে, পরশ্রীকাতরতা। মানে, তারা কোনোভাবেই অন্যের ভালোটা মেনে নিতে পারে না। কেউ ভালো কিছু করলে তাদের মুখ দিয়ে বাহবা শব্দটা বের হয় না হতে চায় না। যাকে আড্ডার ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয় এভাবে, বোমা মারলেও তার মুখ দিয়ে কারও প্রশংসা বের হয় না। বরং সে উল্টো চোখে পাওয়ারির চশমা লাগিয়ে অন্যের ঘরে উঁকিঝুঁকি দিয়ে যায় প্রতিনিয়ত। অন্যকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে করতে নিজের কথাই ভুলে যায়। কষ্ট দিতে থাকে নিজের সত্তাকে।
বলি, অন্যের ঘর বাড়ি থেকে কষ্টদের তোষামোদ করে এভাবে আয়-আয় বলে নিজের ঘাড়ে এনে বসানোর কোনো মানে হয়? আর কত? বিদায় করো না এই পরশ্রীকাতরতাকে। নিজেকে ভালোবাসতে শেখো। নিজে কেমন আছ, সেটা ভাবো। অন্যের চেয়ে কখনও নিজেকে কম ভেব না। তোমার নিজের যা কিছু আছে, তাতেই সন্তুষ্ট থাকো। অন্যের সঙ্গে ভুলেও নিজের পরিস্থিতির তুলনা করতে যেও না।
হাঙরের পড়ে যাওয়া দাঁত এক সপ্তাহে নতুন করে গজায়। পরের ঘরে আড়ি পেতে ঈর্ষা নামের বিশাল দাঁত যদি তড়িঘড়ি করে উঠিয়ে দাও মনে, তাহলে নিজের ক্ষতি ছাড়া কিছুই ধরা দেবে না ভাগ্যের ধারাপাতে। অতএব, অন্যের সাফল্যে ভেতরে ভেতরে জ্বলে পুড়ে না মারে ঈর্ষা নামের দানবটাকে ঝেড়ে বিদায় করে নিজেকে সময় দাও, নিজের জন্য নিজের একান্ত সময়গুলো ব্যয় করো।
অন্যকে সংবেদনশীল চোখে দেখতে শেখো। পারলে কোনো সৃজনশীল কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখ। গান গাইতে পারলে সময় করে গান নিয়ে মেতে ওঠো। কবিতা বা গদ্যো হাত থাকলে সেখানে মাথা খাটাও। ছবি আঁকতে পারলে ক্যানভাসে হারিয়ে যাও। রান্না করতে পারলে সেখানেও সময় ব্যয় করতে পার। করতে পার অন্য কিছুও। নিজের শখ পুরনে কিছু সময় টাকালে দেখবে ঈর্ষা বা পরশ্রীকাতরতা নামের দানবীর বাতিকটা মন থেকে মাকড়াসার কঙ্কালের মতো তিরতির করে বেরিয়ে আসছে। তখন তুমি অনেক সুন্দর করে দেখতে পারবে পৃথিবিটা।
জানো তো, অন্যের প্রশংসা করলে নিজেও প্রশংসা পেতে থাকবে। চারপাশের চেনা জগতটাকেও আরও চেনা মনে হবে। কাছের মানুষটাকে আরও কাছের, আপন মানুষটাকে আরও আপন করে নিতে পারবে তুমি। তাছাড়া কাজে ব্যস্ত থাকলেও মন মানসিকতা ও অনেক ফুরফুরে থাকে।
তোমরা যারা চকোলেটপ্রিয় মানুষ, দেদার চকোলেট খেলেও তাদের তেমন ক্ষতি হয় না বললেই চলে। কিন্তু এ চকোলেট আবার প্রিয় পোষা কুকুরটাকে খাওয়াতে যেও না। এতে তার মৃত্যুও হতে পারে। কারণ, চকোলেট মানুষের ভেতর বড় ধরনের ক্ষতিরক কিছু করতে না পারলেও ঠিক-ঠিক কুকুরের হাট এবং নার্ভাস সিস্টেম আক্রমণ করে তাকে বিকল করে দিতে পারে। তেমনি ঈর্ষা নামের দানবটা অন্যের ক্ষতি করতে না পারলেও দেখবে তোমার সুন্দর পৃথিবীটা ধ্বংস করে দিয়ে যাচ্ছে খুব দক্ষতার সঙ্গে। চিড় ধরিয়ে দিচ্ছে তোমার সব ভালো সম্পর্কে। তা কেন পুষে যাবে এই আত্মঘাতী বাতিক?
তাকে বিদায় করে হাঁফ ছেড়ে বাঁচো না বাবা! হেসে ওঠো নিজের সঙ্গে। মেতে ওঠো আনন্দে।
No comments