মহাসড়কে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধে ‘জিরো টলারেন্স’
মহাসড়কে
পুলিশের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আক্তার। গতকাল বুধবার সকালে জেলা
পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ঈদ উপলক্ষে পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের নিয়ে আয়োজিত এক
সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন। সভায় পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, ঈদ এলে
ট্রাফিক পুলিশ প্রকাশ্যে চাঁদা নেয়। অন্য সময়ের চেয়ে ঈদকে সামনে রেখে
পুলিশের চাঁদাবাজি বেড়ে যায়। কোন কারণ ছাড়াই কমিউনিটি পুলিশের মাধ্যমে
চাঁদা আদায় করা হয়। অনেক সময় কাগজপত্র ঠিক নেই দাবি করে চাঁদা আদায় করা হয়।
ট্রাফিক পুলিশরা কোন কিছুরই তোয়াক্কা না করে চলাচলরত গাড়িগুলো যত্রতত্র
দাঁড় করিয়ে চালকদের কাছ থেকে চাঁদা নিতে গেলে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় যাত্রীদের।
এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এ কে এম হাফিজ
আক্তার জানান, নিরাপত্তা, যানজট নিরসন এবং যাত্রীদের দুর্ভোগমুক্ত পরিবেশে
নিরাপদ বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করা হবে। যানজট এবং পুলিশি চাঁদাবাজি ঠেকাতে আজ
(বুধবার) থেকে ঈদ পর্যন্ত গাড়ির কাগজপত্র দেখা বন্ধ রাখা হবে। অবৈধ মালামাল
বহনকারী যানবাহন ছাড়া সব ধরনের তল্লাশি বন্ধ করে দেয়া হবে। সুনির্দিষ্ট
তথ্য ছাড়া কোন গাড়িকে সিগন্যাল দেয়া হবে না। এসপি বলেন, জেলা পুলিশ কিংবা
হাইওয়ে পুলিশের কোন সদস্যের চাঁদাবাজির ঘটনা ধরা পড়লে তার চাকরি থাকবে না। এ
ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে এরই মধ্যে
কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া যানজট নিরসনে ঈদের আগে-পরে তিনদিন
মহাসড়কে জরুরি পণ্য পরিবহন ছাড়া সব ধরনের ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান চলাচলে
নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সভায় পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা জানান, টানা
বৃষ্টির কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক যানচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ৫
দিনের মধ্যে সড়ক সংস্কার করার দাবি জানান তারা। সভায় উপস্থিত সড়ক ও জনপথ
বিভাগের প্রকৌশলী জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘আগামী ৫ দিনের মধ্যে মহাসড়ক মেরামত
করে দেয়া হবে।’ সভায় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর)
মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. শহীদুল্লাহ, অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা)
নাঈমুল হাছান ও পরিহন শ্রমিক ও মালিক সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ
উপস্থিত ছিলেন।
No comments