তিন মাসেও অধরা জহির, আতঙ্কে শীতাংশু by কমল জোহা খান
জহির আহমেদ |
কৃষ্ণা কাবেরী বিশ্বাস |
‘তিন
মাস চলে গেছে একমাত্র আসামি জহির গ্রেপ্তার হয়নি। তাই আতঙ্কের মধ্যেই অফিস
করছি। ঘরে ফিরলেও এই আতঙ্ক কাটে না।’ তেজগাঁওয়ের এলেনবাড়ীতে নিজ কার্যালয়ে
গত মঙ্গলবার কথাগুলো বলছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ)
উপপরিচালক শীতাংশু শেখর বিশ্বাস। যদিও ঘটনার পর মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি)
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, শিগগির জহিরকে ধরা সম্ভব হবে।
মোহাম্মদপুরের নিজ ফ্ল্যাটে গত ৩০ মার্চ রাতে শীতাংশু শেখরের স্ত্রী কলেজ শিক্ষিকা কৃষ্ণা কাবেরী বিশ্বাস (৩৫) খুন হন। হত্যাকারীর হামলায় শীতাংশু ও তাঁর দুই মেয়ে শ্রোভনা বিশ্বাস (১৫) ও অদিতিয়া বিশ্বাস (৮) মারাত্মক আহত হন। তিনজনকে প্রায় এক মাস হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়। এই ঘটনায় প্রধান ও একমাত্র অভিযুক্ত জহির আহমেদ। কিন্তু জহির এ ঘটনা কেন ঘটালেন তা এখনো বুঝতে পারছেন না শীতাংশু। জহির আহমেদ কাজ করতেন হাজি আহমেদ অ্যান্ড ব্রাদার্স সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জের গুলশান শাখায়। কিন্তু ঘটনার পর থেকে হত্যাকাণ্ডের পর থেকে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ নেই। এই গুলশান শাখাটি বন্ধ রয়েছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনার কিছুদিন পরও জহির বিভিন্ন নম্বর দিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলতেন। কিন্তু এখন সেসব নম্বর বন্ধ।’ তবে জহির দেশেই আছেন বলে দেলোয়ার মনে করেন।
এদিকে মেসার্স হাজি আহমেদ ব্রাদার্সের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাঁদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিষ্ঠানটির বনানী শাখার ব্যবস্থাপক শামসুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কাজের সুবিধার জন্য গুলশান শাখা বন্ধ করে মহাখালীতে নতুন অফিস করা হয়েছে। হত্যার ঘটনার পর থেকে জহির পলাতক আছেন। তাঁর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ নেই।’
জহির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে শামসুল ইসলাম মেসার্স হাজি আহমেদ ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আয়েশা দাদার সঙ্গে কথা বলতে বলেন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আয়েশা দাদার দেশের বাইরে আছেন।
এদিকে শীতাংশু জানিয়েছিলেন, জমানো কিছু টাকা দিয়ে আইডিএলসি সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ নামে একটি ব্রোকারেজ হাউসে স্ত্রী ও তাঁর নামে দুটি বিও অ্যাকাউন্ট খোলেন তিনি। আইডিএলসিতে জহির কাজ করতেন। সেখানে তাঁর নয় লাখ টাকা বিনিয়োগ করা ছিল। এই দুটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে শেয়ার কেনাবেচা করতেন জহির আহমেদ। পরে হাজি আহমেদ ব্রাদার্সে ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগ দেন জহির। লেনদেনের সুবিধার জন্য বিও অ্যাকাউন্ট দুটি ওই প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরের কথা শীতাংশুকে জানান জহির। এ সংক্রান্ত কাগজ নিয়ে ঘটনার দিন রাতে এসেছিলেন জহির।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তাঁর পুঁজি বাজারের ব্যবসা সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্যের ব্যাপারে শীতাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, ‘আমি বুয়েট থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছি। ফিন্যান্সে এমবিএ করেছি। ২৫ বছর ধরে চাকরি করছি। পৈত্রিক সম্পত্তি আছে গ্রামের বাড়িতে। আমি নয় লাখ জোগাড় করতে পারি না? অথচ লেখা হয়েছে আমার নাকি ১৫ কোটি টাকা পুঁজিবাজারে খাটছে।’
মোহাম্মদপুরের নিজ ফ্ল্যাটে গত ৩০ মার্চ রাতে শীতাংশু শেখরের স্ত্রী কলেজ শিক্ষিকা কৃষ্ণা কাবেরী বিশ্বাস (৩৫) খুন হন। হত্যাকারীর হামলায় শীতাংশু ও তাঁর দুই মেয়ে শ্রোভনা বিশ্বাস (১৫) ও অদিতিয়া বিশ্বাস (৮) মারাত্মক আহত হন। তিনজনকে প্রায় এক মাস হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়। এই ঘটনায় প্রধান ও একমাত্র অভিযুক্ত জহির আহমেদ। কিন্তু জহির এ ঘটনা কেন ঘটালেন তা এখনো বুঝতে পারছেন না শীতাংশু। জহির আহমেদ কাজ করতেন হাজি আহমেদ অ্যান্ড ব্রাদার্স সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জের গুলশান শাখায়। কিন্তু ঘটনার পর থেকে হত্যাকাণ্ডের পর থেকে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ নেই। এই গুলশান শাখাটি বন্ধ রয়েছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনার কিছুদিন পরও জহির বিভিন্ন নম্বর দিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলতেন। কিন্তু এখন সেসব নম্বর বন্ধ।’ তবে জহির দেশেই আছেন বলে দেলোয়ার মনে করেন।
এদিকে মেসার্স হাজি আহমেদ ব্রাদার্সের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাঁদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিষ্ঠানটির বনানী শাখার ব্যবস্থাপক শামসুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কাজের সুবিধার জন্য গুলশান শাখা বন্ধ করে মহাখালীতে নতুন অফিস করা হয়েছে। হত্যার ঘটনার পর থেকে জহির পলাতক আছেন। তাঁর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ নেই।’
জহির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে শামসুল ইসলাম মেসার্স হাজি আহমেদ ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আয়েশা দাদার সঙ্গে কথা বলতে বলেন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আয়েশা দাদার দেশের বাইরে আছেন।
এদিকে শীতাংশু জানিয়েছিলেন, জমানো কিছু টাকা দিয়ে আইডিএলসি সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ নামে একটি ব্রোকারেজ হাউসে স্ত্রী ও তাঁর নামে দুটি বিও অ্যাকাউন্ট খোলেন তিনি। আইডিএলসিতে জহির কাজ করতেন। সেখানে তাঁর নয় লাখ টাকা বিনিয়োগ করা ছিল। এই দুটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে শেয়ার কেনাবেচা করতেন জহির আহমেদ। পরে হাজি আহমেদ ব্রাদার্সে ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগ দেন জহির। লেনদেনের সুবিধার জন্য বিও অ্যাকাউন্ট দুটি ওই প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরের কথা শীতাংশুকে জানান জহির। এ সংক্রান্ত কাগজ নিয়ে ঘটনার দিন রাতে এসেছিলেন জহির।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তাঁর পুঁজি বাজারের ব্যবসা সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্যের ব্যাপারে শীতাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, ‘আমি বুয়েট থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছি। ফিন্যান্সে এমবিএ করেছি। ২৫ বছর ধরে চাকরি করছি। পৈত্রিক সম্পত্তি আছে গ্রামের বাড়িতে। আমি নয় লাখ জোগাড় করতে পারি না? অথচ লেখা হয়েছে আমার নাকি ১৫ কোটি টাকা পুঁজিবাজারে খাটছে।’
No comments