গম কেলেঙ্কারি- তদন্ত করে যথাযথ পদক্ষেপ নিন
ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ‘নিম্নমানের’ গম পুলিশের সদস্যরা খেতে রাজি নন বলে তা এখন ভুখা-নিঃস্ব জনগোষ্ঠীকে খেতে দেওয়া হবে! খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তের পেছনে কোনো নৈতিক যুক্তি নেই; বরং এর মধ্য দিয়ে গরিব-দুঃখীদের ব্যাপারে নিষ্ঠুর ও বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ ঘটে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৌনঃপুনিক আপত্তির মুখে পুলিশের বদলে গরিব-দুঃখী জনগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচিতে ওই গম বরাদ্দ দেওয়ার মধ্য দিয়ে গম কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দেওয়া যাবে না। এই অনিয়মের আইনি প্রতিকার করতে হবে। সে জন্য সরকারকে আন্তরিকতার সঙ্গে কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রথমত, নির্ণয় করতে হবে, ব্রাজিল থেকে আমদানি করা উল্লিখিত দেড় লাখ টন গম মানুষের খাওয়ার উপযোগী কি না। বিসিএসআইআরের (সায়েন্স ল্যাবরেটরি) পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, এই গম ‘নিম্নমানের’। কিন্তু তা মানুষের খাওয়ার উপযোগী কি না বা তাতে কোনো বিষাক্ত বা ক্ষতিকর পদার্থ মেশানো আছে কি না, তা পরীক্ষা করার প্রযুক্তিগত সুবিধা সায়েন্স ল্যাবরেটরির পরীক্ষাগারে থাকা সত্ত্বেও তেমন কোনো পরীক্ষা করা হয়নি। কেন? কার স্বার্থে এ পরীক্ষা করা হয়নি? গতকাল হাইকোর্ট যেমনটি নির্দেশ দিয়েছেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই পরীক্ষা করে স্পষ্টভাবে জানানো হোক এই গম মানুষের খাওয়ার উপযোগী কি না।
দ্বিতীয়ত, এই গম আমদানি ও বন্দর থেকে খালাস করার প্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখতে হবে। গমের চালান বন্দরে অপেক্ষমাণ অবস্থায় খাদ্য অধিদপ্তর এর মান নিয়ে আপত্তি তুলেছিল; গমের মান সম্পর্কে রপ্তানিকারক দেশ ব্রাজিলের কোনো কর্তৃপক্ষের সনদও ছিল না, যা থাকা বাধ্যতামূলক। এসব সত্ত্বেও খাদ্য অধিদপ্তরের তৎকালীন মহাপরিচালক সারোয়ার খান ওই গম বন্দর থেকে খালাস করার ছাড়পত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কার স্বার্থে?
গম আমদানি নিয়ে এই কেলেঙ্কারির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হয়ে থাকলে তার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৌনঃপুনিক আপত্তির মুখে পুলিশের বদলে গরিব-দুঃখী জনগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচিতে ওই গম বরাদ্দ দেওয়ার মধ্য দিয়ে গম কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দেওয়া যাবে না। এই অনিয়মের আইনি প্রতিকার করতে হবে। সে জন্য সরকারকে আন্তরিকতার সঙ্গে কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রথমত, নির্ণয় করতে হবে, ব্রাজিল থেকে আমদানি করা উল্লিখিত দেড় লাখ টন গম মানুষের খাওয়ার উপযোগী কি না। বিসিএসআইআরের (সায়েন্স ল্যাবরেটরি) পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, এই গম ‘নিম্নমানের’। কিন্তু তা মানুষের খাওয়ার উপযোগী কি না বা তাতে কোনো বিষাক্ত বা ক্ষতিকর পদার্থ মেশানো আছে কি না, তা পরীক্ষা করার প্রযুক্তিগত সুবিধা সায়েন্স ল্যাবরেটরির পরীক্ষাগারে থাকা সত্ত্বেও তেমন কোনো পরীক্ষা করা হয়নি। কেন? কার স্বার্থে এ পরীক্ষা করা হয়নি? গতকাল হাইকোর্ট যেমনটি নির্দেশ দিয়েছেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই পরীক্ষা করে স্পষ্টভাবে জানানো হোক এই গম মানুষের খাওয়ার উপযোগী কি না।
দ্বিতীয়ত, এই গম আমদানি ও বন্দর থেকে খালাস করার প্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখতে হবে। গমের চালান বন্দরে অপেক্ষমাণ অবস্থায় খাদ্য অধিদপ্তর এর মান নিয়ে আপত্তি তুলেছিল; গমের মান সম্পর্কে রপ্তানিকারক দেশ ব্রাজিলের কোনো কর্তৃপক্ষের সনদও ছিল না, যা থাকা বাধ্যতামূলক। এসব সত্ত্বেও খাদ্য অধিদপ্তরের তৎকালীন মহাপরিচালক সারোয়ার খান ওই গম বন্দর থেকে খালাস করার ছাড়পত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কার স্বার্থে?
গম আমদানি নিয়ে এই কেলেঙ্কারির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হয়ে থাকলে তার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি।
No comments