নবম ওয়েজ বোর্ড হবে, সাংবাদিকদের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
বুধবার প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশ ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা |
সাংবাদিকদের
জন্য নবম ওয়েজ বোর্ড করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের
(বিএফইউজে) একাংশ ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ আয়োজিত ইফতার
মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। খবর বাসসের। উল্লেখ্য, সাংবাদিকেরা
বর্তমানে অষ্টম ওয়েজবোর্ডের অধীনে বেতন-ভাতা ও সুবিধা পাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক ও বিশ্বমানের প্রেসক্লাব গড়তে সহযোগিতার
আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘আপনারা জাতীয় প্রেসক্লাবকে দৃষ্টি নন্দন, আধুনিক ও
বিশ্বমানের করে গড়ে তুলুন। আমাদের পক্ষেÿথেকে যা যা সহযোগিতা করা দরকার তা
করা হবে। ভবিষ্যতে নবম ওয়েজ বোর্ড করা হবে।’
জঙ্গিবাদ, মাদক, সন্ত্রাস, চোরাচালানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, চোরাচালান ও মাদকের বিরুদ্ধে লেখনীর মাধ্যমে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে আমরা চলতে চাই না। বাংলাদেশের সম্মানে আঘাত করে কেউ কিছু বললে আমার সহ্য হয় না। দেশে মানুষ হত্যার রাজনীতি যারা করতে চায়, তাদের আর এসব করতে দেওয়া যাবে না। মানুষ পুড়িয়ে কেউ কোনো দিনই ক্ষমতায় আসতে পারবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই দেশের সংবাদমাধ্যম আরও শক্তিশালী হোক। এর জন্য অনলাইন গণমাধ্যমগুলোর জন্য নীতিমালা প্রয়োজন। কিন্তু এর মধ্য দিয়ে আমরা সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাই না। কোনো কিছু করতে গেলে নীতিমালা প্রয়োজন। শৃঙ্খলার জন্যই নীতিমালা। আমি চাই নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে দেশের সব সংবাদমাধ্যম।’
আবাসন সুবিধা এবং কল্যাণ ট্রাস্টে অর্থ বাড়ানোর বিষয়ে সাংবাদিকদের দাবির জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে দাবি করার প্রয়োজন হয় না। কল্যাণ ট্রাস্টের চিন্তা করতে হয়নি, আমি নিজস্ব চিন্তা থেকেই করে দিয়েছি। আওয়ামী লীগ সব সময় সাংবাদিকদের কথা চিন্তা করে, আর সাংবাদিকেরা বেশি করে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে। অবশ্য সমালোচনা ভালো এটা আমাদের দৃষ্টিকে প্রসারিত করে।’
এ সময় দেশের উন্নয়নে সরকারের ভূমিকার তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতার উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করাই এ সরকারের লক্ষ্য। মূল লক্ষ্যই বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করা। আমরা যখনই ক্ষমতায় এসেছি তখনই আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি করা হয়েছে। আমরা দারিদ্র্য কমিয়ে ২২ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। অতি দারিদ্র্য মানুষের হার ৭ দশমিক ৯ শতাংশে নামিয়ে এনেছি।’
সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় উপস্থিত অতিথিদের সঙ্গে কথা হয় প্রধানমন্ত্রীর। ইফতারের আগে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি এহসানুল হক।
বিএফইউজে একাংশের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুলের সভাপতিত্বে ইফতার পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, বিএফইউজের মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আলতাফ মাহমুদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ। জাতীয় প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী।
জঙ্গিবাদ, মাদক, সন্ত্রাস, চোরাচালানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, চোরাচালান ও মাদকের বিরুদ্ধে লেখনীর মাধ্যমে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে আমরা চলতে চাই না। বাংলাদেশের সম্মানে আঘাত করে কেউ কিছু বললে আমার সহ্য হয় না। দেশে মানুষ হত্যার রাজনীতি যারা করতে চায়, তাদের আর এসব করতে দেওয়া যাবে না। মানুষ পুড়িয়ে কেউ কোনো দিনই ক্ষমতায় আসতে পারবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই দেশের সংবাদমাধ্যম আরও শক্তিশালী হোক। এর জন্য অনলাইন গণমাধ্যমগুলোর জন্য নীতিমালা প্রয়োজন। কিন্তু এর মধ্য দিয়ে আমরা সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাই না। কোনো কিছু করতে গেলে নীতিমালা প্রয়োজন। শৃঙ্খলার জন্যই নীতিমালা। আমি চাই নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে দেশের সব সংবাদমাধ্যম।’
আবাসন সুবিধা এবং কল্যাণ ট্রাস্টে অর্থ বাড়ানোর বিষয়ে সাংবাদিকদের দাবির জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে দাবি করার প্রয়োজন হয় না। কল্যাণ ট্রাস্টের চিন্তা করতে হয়নি, আমি নিজস্ব চিন্তা থেকেই করে দিয়েছি। আওয়ামী লীগ সব সময় সাংবাদিকদের কথা চিন্তা করে, আর সাংবাদিকেরা বেশি করে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে। অবশ্য সমালোচনা ভালো এটা আমাদের দৃষ্টিকে প্রসারিত করে।’
এ সময় দেশের উন্নয়নে সরকারের ভূমিকার তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতার উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করাই এ সরকারের লক্ষ্য। মূল লক্ষ্যই বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করা। আমরা যখনই ক্ষমতায় এসেছি তখনই আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি করা হয়েছে। আমরা দারিদ্র্য কমিয়ে ২২ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। অতি দারিদ্র্য মানুষের হার ৭ দশমিক ৯ শতাংশে নামিয়ে এনেছি।’
সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় উপস্থিত অতিথিদের সঙ্গে কথা হয় প্রধানমন্ত্রীর। ইফতারের আগে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি এহসানুল হক।
বিএফইউজে একাংশের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুলের সভাপতিত্বে ইফতার পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, বিএফইউজের মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আলতাফ মাহমুদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ। জাতীয় প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী।
No comments