গুলশান অফিস গুটিয়ে নিতে হবে খালেদার by পীর হাবিবুর রহমান
বিএনপি
চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় গুটিয়ে নিতে হবে। সরকারের
উপর মহলে এ নিয়ে প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার
রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে সরকারকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। গোয়েন্দা
সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে বারিধারা ও গুলশানের কূটনৈতিক পল্লীর পাশে
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয় নিরাপত্তার জন্য
হুমকিস্বরূপ। এমনকি বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই কার্যালয়ে রাতে এলে
নেতা-কর্মীদেরও ঢল নামে। যে কোনো কর্মসূচি ঘিরে তিনি অবস্থান নিলে
ভেতরে-বাইরে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সংবাদকর্মীরাও হুমড়ি খেয়ে পড়েন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার জন্য ব্যাপক হারে অবস্থান
নিলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র হয়ে ওঠে। এতে বিভিন্ন দেশের
কূটনৈতিক মিশনের সদস্যরা অস্থির ও বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছর পূর্তি ঘিরে বিগত ৫ জানুয়ারি বিক্ষোভ সমাবেশ করতে না পারায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া গুলশানের দলীয় কার্যালয়ে তিন মাস অবস্থান করেন। এখান থেকে টানা তিন মাস চলে হরতাল-অবরোধের রাজনীতি। পেট্রলবোমার সহিংসতায় মারা যায় শতাধিক মানুষ। সূত্র জানায়, এ ছাড়াও এই কার্যালয় থেকে বেরোবার পথে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমানের গাড়িতে গুলি বর্ষণ হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল সাবিহ উদ্দীন আহমেদের গাড়ি। এতে করে নানা ঘটনা প্রবাহে সৃষ্ট উত্তেজনার কারণে বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়। তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। বিভিন্ন সময়ে এই কার্যালয় ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা দেয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নানা ধরনের নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়তে হয়। এতে করে পর্যাপ্ত পুলিশ যেমন মোতায়েন করতে হয়, তেমনি কূটনীতিকদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। সব মিলিয়ে স্পর্শকাতর এলাকায় রাজনৈতিক অফিস না রাখার সুপারিশ করে রিপোর্ট দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা।
সূত্র জানায়, সরকার খুব শিগগির বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে তার কার্যালয় এখান থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য চিঠি দেবে। তবে এক্ষেত্রে তাকে দুই-তিন মাস সময় দেয়া হতে পারে। উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার এই কার্যালয়ের আশপাশে অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশের মিশন রয়েছে। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে বনানীতে বিএনপি চেয়ারপার্সন তার রাজনৈতিক কার্যালয় করেছিলেন। তার ক্ষমতাকালীন ওই ভবন বিতর্কেরই জন্ম দেয়নি; কার্যত সরকার ও দলের জন্য অভিশাপ বয়ে এনেছিল। ১/১১ এর পরও খালেদা জিয়া দু’-একদিন এই কার্যালয়ে এসেছিলেন। সেই সময়ে তিনি ও তার পুত্ররা গ্রেফতার হন। ছেলেদের নির্বাসিত হতে হয় ও তাকে সংসদ ভবন এলাকার বিশেষ কারাগারে এক বছরেরও বেশি সময় বন্দি জীবন কাটাতে হয়। সেখান থেকে বের হওয়ার পর ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় গুলশানের ৮৬ নম্বর রোডের ৬ নম্বর দুই তলা বাড়িটি তার রাজনৈতিক কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার শুরু করেন। দীর্ঘদিন ধরে গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির রাজনীতিকে বন্দি করার অভিযোগে দলের অভ্যন্তরেও নানা প্রশ্নের ঝড় ওঠে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছর পূর্তি ঘিরে বিগত ৫ জানুয়ারি বিক্ষোভ সমাবেশ করতে না পারায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া গুলশানের দলীয় কার্যালয়ে তিন মাস অবস্থান করেন। এখান থেকে টানা তিন মাস চলে হরতাল-অবরোধের রাজনীতি। পেট্রলবোমার সহিংসতায় মারা যায় শতাধিক মানুষ। সূত্র জানায়, এ ছাড়াও এই কার্যালয় থেকে বেরোবার পথে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমানের গাড়িতে গুলি বর্ষণ হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল সাবিহ উদ্দীন আহমেদের গাড়ি। এতে করে নানা ঘটনা প্রবাহে সৃষ্ট উত্তেজনার কারণে বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়। তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। বিভিন্ন সময়ে এই কার্যালয় ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা দেয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নানা ধরনের নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়তে হয়। এতে করে পর্যাপ্ত পুলিশ যেমন মোতায়েন করতে হয়, তেমনি কূটনীতিকদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। সব মিলিয়ে স্পর্শকাতর এলাকায় রাজনৈতিক অফিস না রাখার সুপারিশ করে রিপোর্ট দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা।
সূত্র জানায়, সরকার খুব শিগগির বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে তার কার্যালয় এখান থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য চিঠি দেবে। তবে এক্ষেত্রে তাকে দুই-তিন মাস সময় দেয়া হতে পারে। উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার এই কার্যালয়ের আশপাশে অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশের মিশন রয়েছে। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে বনানীতে বিএনপি চেয়ারপার্সন তার রাজনৈতিক কার্যালয় করেছিলেন। তার ক্ষমতাকালীন ওই ভবন বিতর্কেরই জন্ম দেয়নি; কার্যত সরকার ও দলের জন্য অভিশাপ বয়ে এনেছিল। ১/১১ এর পরও খালেদা জিয়া দু’-একদিন এই কার্যালয়ে এসেছিলেন। সেই সময়ে তিনি ও তার পুত্ররা গ্রেফতার হন। ছেলেদের নির্বাসিত হতে হয় ও তাকে সংসদ ভবন এলাকার বিশেষ কারাগারে এক বছরেরও বেশি সময় বন্দি জীবন কাটাতে হয়। সেখান থেকে বের হওয়ার পর ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় গুলশানের ৮৬ নম্বর রোডের ৬ নম্বর দুই তলা বাড়িটি তার রাজনৈতিক কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার শুরু করেন। দীর্ঘদিন ধরে গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির রাজনীতিকে বন্দি করার অভিযোগে দলের অভ্যন্তরেও নানা প্রশ্নের ঝড় ওঠে।
No comments