তিস্তার পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে
গত
কয়েক দিন টানা ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতি আরও
অবনতি হয়েছে। তিস্তার পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর
দিয়ে। ওদিকে টানা বৃষ্টির কারণে আড়িয়াল খাঁ নদের পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে
দেখা দিয়েছে মাদারীপুরে তীব্র ভাঙন। বিস্তারিত মানবজমিন প্রতিনিধিদের পাঠানো
প্রতিবেদনে-
ডিমলা (নীলফামারী) ও গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি জানান, ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। শনিবার ও ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার সকালে এখানে পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিপদসীমা (৫২ দশমিক ৪০) সেন্টিমিটার। বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে। এদিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধির কারণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইস গেট খুলে রাখা হয়েছে বলে জানান, তিস্তা ব্যারাজের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুরুজ্জামান। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে যে ত্রাণ বরাদ্দ দিয়েছেন, তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
এদিকে তিস্তাপাড়ের বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের সূত্র মতে পানি বৃদ্ধির কারণে নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার তিস্তাপারের নিম্নাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া রোববার রাত হতে সোমবার দুপুর পর্যন্ত উজানের পানি প্রবাহের চাপে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সূত্রমতে পাহাড়ি ঢল ও উজানের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে গত ৩ দিন থেকে তিস্তা নদীতে ঢল নেমেছে। এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ী ও জলঢাকা উপজেলার, গোলমুণ্ডা, ডাউয়াবাড়ী, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের গ্রাম ও নদীর চর প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে- ছোটখাতা, পশ্চিম বাইশপুকুর, পূর্ব-বাইশপুকুর, কিসামত ছাতনাই, পূর্বছাতনাই ঝাড়শিঙ্গেরশ্বর, বাঘেরচর, টাবুর চর, ভেন্ডাবাড়ী, ছাতুনামা, হলদিবাড়ী, একতারচর, ভাষানীর চর, কিসামতের চর, ছাতুনামাসহ চরগ্রামগুলো। বন্যার পানিতে রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় পানিবন্দি মানুষগুলো কলাগাছের ভেলা বানিয়ে কোন রকমে চলাচল করছে। তাই দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইস গেট ২৪ ঘণ্টাই খুলে রাখা হচ্ছে।
এদিকে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা পানি গতকাল থেকে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের চরাঞ্চালসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জানা যায়, হঠাৎ করে গতকাল সোমবার সকাল থেকে তিস্তার পানি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তার কূলবর্তী ও চর এলাকায় পাবীত হয়ে প্রায় ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। উপজেলার চরনোহালী বাঘ- ডোহরা, মিনারবাজার, ব্যাংকপাড়া, জেলেপাড়া, জুম্মাপাড়া, চিলাখাল, মটুকপুর, বিনবিনা, বাগেরহাট, শংকরদহ, ইশরকোল, আলালচর, ছালাপাকসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রয়ি ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে শতাধিক পুকুর ও মৎস্য খামারের মাছ। পানিবন্দি পরিবারগুলো তিস্তা বাঁধসহ বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। আলমবিদিতর ইউপি সদস্য আবদুুল মন্নান বলেন, হাজীপাড়া ও পীরপাড়া এলাকার ১৫টি পরিবার অব্যাহত নদীভাঙনে নিঃস্ব হয়েছে এবং ৫শ’ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
সাউদপাড়া এলাকার আসাদুল জানান, যেভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তা দ্রুত নেমে না গেলে পানিবন্দি পরিবারগুলোকে দুর্ভোগে পড়তে হবে।
মাদারীপুর প্রতিনিধি জানান, গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টির কারণে আড়িয়াল খাঁ নদের পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাদারীপুরে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত দুই মাসে সদর উপজেলার একটি ও শিবচর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে নদে। এছাড়া বিলীন হয়ে গেছে প্রায় ৫০ একর ফসলি জমি। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, আড়িয়াল খাঁর করাল গ্রাসে মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়ন ও শিবচরের বহেরতলা, সন্ন্যাসীরচর ও দত্তপাড়া ইউনিয়ন এখন নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। প্রতিদিনই গৃহহীন হচ্ছে নতুন নতুন পরিবার। ইতিমধ্যে ৫০ একর ফসলি জমি হারিয়ে পথে বসেছেন অনেক কৃষক। একদিকে প্রতিমুহূর্তে ভাঙন আতঙ্ক, অন্যদিকে অর্থাভাবে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন গ্রামের মানুষ। এছাড়া ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে ওইসব এলাকার কয়েক শ’ পরিবার।
সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের ঘুনসী গ্রামের ঘরবাড়ি হারানো ক্ষতিগ্রস্ত আবদুুর রউফ বলেন, ‘ভাঙন রোধে কর্তৃপক্ষের নজরদারি নেই। তাছাড়া এখন পর্যন্ত কোন সহায়তাও দেয়া হয়নি। ঘরবাড়ি হারিয়ে পরিবার নিয়ে অন্যের জায়গায় স্থান নিয়েছি।’
একই এলাকার বাসিন্দা রমজান ফকির বলেন, ‘আমার প্রায় পাঁচ একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ঘুনসী গ্রামে আমার একটা মাছের আড়ত ছিল সেটাও নদীগর্ভে চলে গেছে। এখন ঘরবাড়ি, ব্যবসা বাণিজ্য কিছুই নেই। পরিবার নিয়ে এক প্রকারের অসহায় হয়ে পড়েছি।’
শিবচরের বহেরতলার বাসিন্দা মাজেদ মিয়া বলেন, ‘নদীতে বাড়ির জায়গা-জমি হারিয়েছি। সরকার সহযোগিতা না করলে বেঁচে থাকার কোন অবলম্বন নেই।’
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাদারীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান জানান, শিবচরের বহেরতলা ইউনিয়নের ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন কবলিত এলাকায় কাজ শুরু হলেও বাকি এলাকাগুলোতে সরকারি বরাদ্দ না থাকায় ভাঙন রোধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না।’
এদিকে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক জিএসএম জাফরউল্লাহ জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা করে আর্থিক সাহায্যসহ তাদের পুনর্বাসন করা হবে।
ডিমলা (নীলফামারী) ও গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি জানান, ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। শনিবার ও ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার সকালে এখানে পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিপদসীমা (৫২ দশমিক ৪০) সেন্টিমিটার। বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে। এদিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধির কারণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইস গেট খুলে রাখা হয়েছে বলে জানান, তিস্তা ব্যারাজের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুরুজ্জামান। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে যে ত্রাণ বরাদ্দ দিয়েছেন, তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
এদিকে তিস্তাপাড়ের বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের সূত্র মতে পানি বৃদ্ধির কারণে নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার তিস্তাপারের নিম্নাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া রোববার রাত হতে সোমবার দুপুর পর্যন্ত উজানের পানি প্রবাহের চাপে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সূত্রমতে পাহাড়ি ঢল ও উজানের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে গত ৩ দিন থেকে তিস্তা নদীতে ঢল নেমেছে। এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ী ও জলঢাকা উপজেলার, গোলমুণ্ডা, ডাউয়াবাড়ী, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের গ্রাম ও নদীর চর প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে- ছোটখাতা, পশ্চিম বাইশপুকুর, পূর্ব-বাইশপুকুর, কিসামত ছাতনাই, পূর্বছাতনাই ঝাড়শিঙ্গেরশ্বর, বাঘেরচর, টাবুর চর, ভেন্ডাবাড়ী, ছাতুনামা, হলদিবাড়ী, একতারচর, ভাষানীর চর, কিসামতের চর, ছাতুনামাসহ চরগ্রামগুলো। বন্যার পানিতে রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় পানিবন্দি মানুষগুলো কলাগাছের ভেলা বানিয়ে কোন রকমে চলাচল করছে। তাই দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইস গেট ২৪ ঘণ্টাই খুলে রাখা হচ্ছে।
এদিকে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা পানি গতকাল থেকে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের চরাঞ্চালসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জানা যায়, হঠাৎ করে গতকাল সোমবার সকাল থেকে তিস্তার পানি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তার কূলবর্তী ও চর এলাকায় পাবীত হয়ে প্রায় ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। উপজেলার চরনোহালী বাঘ- ডোহরা, মিনারবাজার, ব্যাংকপাড়া, জেলেপাড়া, জুম্মাপাড়া, চিলাখাল, মটুকপুর, বিনবিনা, বাগেরহাট, শংকরদহ, ইশরকোল, আলালচর, ছালাপাকসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রয়ি ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে শতাধিক পুকুর ও মৎস্য খামারের মাছ। পানিবন্দি পরিবারগুলো তিস্তা বাঁধসহ বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। আলমবিদিতর ইউপি সদস্য আবদুুল মন্নান বলেন, হাজীপাড়া ও পীরপাড়া এলাকার ১৫টি পরিবার অব্যাহত নদীভাঙনে নিঃস্ব হয়েছে এবং ৫শ’ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
সাউদপাড়া এলাকার আসাদুল জানান, যেভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তা দ্রুত নেমে না গেলে পানিবন্দি পরিবারগুলোকে দুর্ভোগে পড়তে হবে।
মাদারীপুর প্রতিনিধি জানান, গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টির কারণে আড়িয়াল খাঁ নদের পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাদারীপুরে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত দুই মাসে সদর উপজেলার একটি ও শিবচর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে নদে। এছাড়া বিলীন হয়ে গেছে প্রায় ৫০ একর ফসলি জমি। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, আড়িয়াল খাঁর করাল গ্রাসে মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়ন ও শিবচরের বহেরতলা, সন্ন্যাসীরচর ও দত্তপাড়া ইউনিয়ন এখন নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। প্রতিদিনই গৃহহীন হচ্ছে নতুন নতুন পরিবার। ইতিমধ্যে ৫০ একর ফসলি জমি হারিয়ে পথে বসেছেন অনেক কৃষক। একদিকে প্রতিমুহূর্তে ভাঙন আতঙ্ক, অন্যদিকে অর্থাভাবে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন গ্রামের মানুষ। এছাড়া ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে ওইসব এলাকার কয়েক শ’ পরিবার।
সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের ঘুনসী গ্রামের ঘরবাড়ি হারানো ক্ষতিগ্রস্ত আবদুুর রউফ বলেন, ‘ভাঙন রোধে কর্তৃপক্ষের নজরদারি নেই। তাছাড়া এখন পর্যন্ত কোন সহায়তাও দেয়া হয়নি। ঘরবাড়ি হারিয়ে পরিবার নিয়ে অন্যের জায়গায় স্থান নিয়েছি।’
একই এলাকার বাসিন্দা রমজান ফকির বলেন, ‘আমার প্রায় পাঁচ একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ঘুনসী গ্রামে আমার একটা মাছের আড়ত ছিল সেটাও নদীগর্ভে চলে গেছে। এখন ঘরবাড়ি, ব্যবসা বাণিজ্য কিছুই নেই। পরিবার নিয়ে এক প্রকারের অসহায় হয়ে পড়েছি।’
শিবচরের বহেরতলার বাসিন্দা মাজেদ মিয়া বলেন, ‘নদীতে বাড়ির জায়গা-জমি হারিয়েছি। সরকার সহযোগিতা না করলে বেঁচে থাকার কোন অবলম্বন নেই।’
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাদারীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান জানান, শিবচরের বহেরতলা ইউনিয়নের ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন কবলিত এলাকায় কাজ শুরু হলেও বাকি এলাকাগুলোতে সরকারি বরাদ্দ না থাকায় ভাঙন রোধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না।’
এদিকে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক জিএসএম জাফরউল্লাহ জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা করে আর্থিক সাহায্যসহ তাদের পুনর্বাসন করা হবে।
No comments