বাড়িভাড়া নির্ধারণে কমিশন গঠনের নির্দেশ
ভাড়াটিয়া মালিকের সমস্যা চিহ্নিতকরণ, এলাকাভেদে সর্বনিম্ন, সর্বোচ্চ ভাড়া নির্ধারণসহ সার্বিক বিষয়ে প্রস্তাবনা তৈরি করার জন্য একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ের কপি পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে সরকারকে এ কমিশন গঠন করতে বলা হয়েছে। আদালত বলেছেন, এ সম্পর্কিত বিদ্যমান আইনগুলো একত্র করে একটি বহুমাত্রিক ব্যাপক বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর করার দাবিতে ২০১০ সালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ এ রিট করে। গতকাল ওই রিটে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ওই কমিশনের চেয়ারম্যান হতে পারেন আইন মন্ত্রণালয়ের মনোনীত একজন আইনজ্ঞ। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহায়ণ ও নগর বিশেষজ্ঞ একজন অধ্যাপক, একজন অর্থনীতিবিদ, সরকারে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের একজন প্রতিনিধি, ভোক্তা অধিকার ও নাগরিক স্বার্থ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ একজন প্রতিনিধি এবং সরকার মনোনীত একজন সিটি করপোরেশন কর্মকর্তা ওই কমিশনের সদস্য হিসেবে থাকবেন। কমিশন ভাড়াটিয়া ও বাড়ির মালিকদের মতামত শুনে, প্রয়োজনে গণশুনানির মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করবে। পাশাপাশি দেশের ভাড়াটিয়া ও মালিকদের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে প্রতিকারের সুপারিশ করবে। এ কমিশনের প্রস্তাব সরকার গ্রহণ করবে বলে হাইকোর্ট প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণে নতুন আইন প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত ১৯৯১ সালের বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী প্রতিটি ওয়ার্ডে বাড়িভাড়া-সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একজন করে নিয়ন্ত্রক, অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রক ও উপনিয়ন্ত্রক নিয়োগের উদ্যোগ নিতে হবে। সরকার আর্থিক সক্ষমতা সাপেক্ষে এ উদ্যোগে নেবে। এ ছাড়া কমিশনের সুপারিশ আইনি কাঠামোতে আসার আগ পর্যন্ত কোন ভাড়াটিয়াকে যাতে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা না হয় এবং কারও কোন অভিযোগ থাকলে তা যেন দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয় তা নিশ্চিত করতে সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। প্রয়োজনে ভাড়াটিয়াদের সুরক্ষা দিতেও বলা হয়েছে।
রিটকারী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ রায়ের পর বলেন, বাড়িভাড়া নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য মানুষ যে অপেক্ষা করছিল সেই পথ খুলে গেল। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিরোধ শতকরা আশি ভাগ কমে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, আদালত এক পর্যাবেক্ষণে বলেছেন, বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণের জন্য আলাদা কর্তৃপক্ষ থাকা প্রয়োজন। ওই কর্তৃপক্ষের অধীনে সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হবে।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের রিট আবেদনে বলা হয়, বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনে ভাড়ার রসিদ, বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেয়াসহ বিভিন্ন বিধান রয়েছে। কিন্তু অনেক বাড়িওয়ালা আইন ভেঙে ইচ্ছামতো ভাড়া বাড়ান, যখন-তখন বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেন। তারা ভাড়াটেদের বাড়িভাড়ার রসিদ দেন না। ওই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে ২০১০ সালের ১৭ই মে বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ-সংক্রান্ত আইন ও বিধিবিধান কার্যকর করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর করার দাবিতে ২০১০ সালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ এ রিট করে। গতকাল ওই রিটে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ওই কমিশনের চেয়ারম্যান হতে পারেন আইন মন্ত্রণালয়ের মনোনীত একজন আইনজ্ঞ। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহায়ণ ও নগর বিশেষজ্ঞ একজন অধ্যাপক, একজন অর্থনীতিবিদ, সরকারে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের একজন প্রতিনিধি, ভোক্তা অধিকার ও নাগরিক স্বার্থ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ একজন প্রতিনিধি এবং সরকার মনোনীত একজন সিটি করপোরেশন কর্মকর্তা ওই কমিশনের সদস্য হিসেবে থাকবেন। কমিশন ভাড়াটিয়া ও বাড়ির মালিকদের মতামত শুনে, প্রয়োজনে গণশুনানির মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করবে। পাশাপাশি দেশের ভাড়াটিয়া ও মালিকদের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে প্রতিকারের সুপারিশ করবে। এ কমিশনের প্রস্তাব সরকার গ্রহণ করবে বলে হাইকোর্ট প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণে নতুন আইন প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত ১৯৯১ সালের বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী প্রতিটি ওয়ার্ডে বাড়িভাড়া-সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একজন করে নিয়ন্ত্রক, অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রক ও উপনিয়ন্ত্রক নিয়োগের উদ্যোগ নিতে হবে। সরকার আর্থিক সক্ষমতা সাপেক্ষে এ উদ্যোগে নেবে। এ ছাড়া কমিশনের সুপারিশ আইনি কাঠামোতে আসার আগ পর্যন্ত কোন ভাড়াটিয়াকে যাতে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা না হয় এবং কারও কোন অভিযোগ থাকলে তা যেন দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয় তা নিশ্চিত করতে সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। প্রয়োজনে ভাড়াটিয়াদের সুরক্ষা দিতেও বলা হয়েছে।
রিটকারী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ রায়ের পর বলেন, বাড়িভাড়া নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য মানুষ যে অপেক্ষা করছিল সেই পথ খুলে গেল। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিরোধ শতকরা আশি ভাগ কমে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, আদালত এক পর্যাবেক্ষণে বলেছেন, বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণের জন্য আলাদা কর্তৃপক্ষ থাকা প্রয়োজন। ওই কর্তৃপক্ষের অধীনে সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হবে।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের রিট আবেদনে বলা হয়, বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনে ভাড়ার রসিদ, বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেয়াসহ বিভিন্ন বিধান রয়েছে। কিন্তু অনেক বাড়িওয়ালা আইন ভেঙে ইচ্ছামতো ভাড়া বাড়ান, যখন-তখন বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেন। তারা ভাড়াটেদের বাড়িভাড়ার রসিদ দেন না। ওই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে ২০১০ সালের ১৭ই মে বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ-সংক্রান্ত আইন ও বিধিবিধান কার্যকর করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
No comments