নতুন বৈশ্বিক উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দরকার নতুন নীতি প্রণয়ন কৌশল: জাতিসংঘে দেবপ্রিয়
নতুন
বৈশ্বিক উন্নয়ন কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন জাতীয় নীতি
কাঠামোর ভেতরে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত বিষয়গুলোর যথাযথ
অন্তর্ভুক্তীকরণ। একই সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার
(এসডিজিস-সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস) অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে
বৈশ্বিক শাসন কাঠামোকে আরও সমন্বিত করা।
মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরামের (এইচএলপিএফ-হাই লেভেল পলিটিক্যাল ফোরাম) একটি সেশন সঞ্চালনকালে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এ মন্তব্য করেন। সেশনের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল ‘নতুন ধারার নীতি প্রণয়ন কৌশলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ভূমিকা’। উল্লেখ্য, ড. দেবপ্রিয় এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার ৪৯টি থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সমন্বয়ে গঠিত নেটওয়ার্ক সাউদার্ন ভয়েস অন পোস্ট-এমডিজিস-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি-মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস) উত্তরসূরী হিসেবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের জন্য সার্বিক দিকনির্দেশনা দেয়ার লক্ষ্যে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (ঊঈঙঝঙঈ) এর আওতায় এ উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরামটি (এইচএলপিএফ) গঠিত হয়েছে। এ ফোরামের মূল দায়িত্ব হবে আগামী ১৫ বছর ধরে এসডিজি অর্জনের অগ্রগতি নিরীক্ষণ করা এবং এ লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে জবাবদিহি নিশ্চিত করা। মনে করা হয়, এসডিজিগুলো একটি সার্বজনীন কর্মসূচির মাধ্যমে রূপান্তরমুখী এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকে বেগবান করবে।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, এ ধরনের একটি কর্মসূচির সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হবে যথাযথ রাষ্ট্রীয় নীতি প্রণয়ন এবং জনগণের সামষ্টিক উদ্যোগ। আগামীতে নতুন উন্নয়ন এজেন্ডা অর্জন করতে হলে পূর্বের মতো বিচ্ছিন্নভাবে লক্ষ্যভিত্তিক কৌশল নির্ধারণ যথেষ্ট হবে না, বরং পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহকে অর্জনের লক্ষ্যে সমন্বিত কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। এর ফলে বিভিন্ন লক্ষ্যের পারস্পরিক মিথষ্ক্রিয়ার মাধ্যমে ইতিবাচক ফলাফল অর্জনের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং নেতিবাচক অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এগুলোর পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং নতুন আইনী উদ্যোগ নেয়ারও প্রয়োজন পড়বে।
এক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হবে জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে যথাযথ পরিবীক্ষণ ও পর্যালোচনা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা যা নতুন উন্নয়ন কর্মসূচির কার্যকারিতার ব্যাপারে প্রমাণ-ভিত্তিক মূল্যায়ন প্রদান করবে।
উচ্চ পর্যায়ের রাজনীতিক ফোরামের সেশনটিতে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্রোয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্লাদিমির ড্রবনাক। তিনি বলেন, নতুন ধারার নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়াটি বহুপর্যায়ভিত্তিক, যাতে স্থানীয় সরকার থেকে শুরু করে জাতিসংঘ পর্যন্ত সব পর্যায়ের সংশ্লিষ্টতা থাকতে হবে।
সেশনের প্যানেলিস্টদের আলোচকদের মধ্যে ছিলেন নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ক্যারেল ভ্যান অস্টেরুম, উগান্ডার জাতীয় পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষের পরিচালক ড. প্যাট্রিক বিরুঙ্গি, চেক প্রজাতন্ত্রের সংসদের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়ারোস্লাভা ইয়ার্মানোভা। ইন্দোনেশিয়ার গ্লোবাল কম্প্যাক্ট নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট ইয়াইয়া জুনার্দি এবং আদিবাসী জনগণের অংশী গ্রুপের পক্ষ থেকে গালিনা আঙ্গারোভা মূল আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
এ ছাড়া সেশনে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ ও অন্যান্য অংশী গ্রুপের প্রতিনিধিবর্গ। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী উপ-প্রতিনিধি সাদিয়া ফাইজুন্নেসা বলেন, ক্রমবিকাশমান নীতি চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সক্ষমতা সৃষ্টি করতে হবে। এ লক্ষ্যে সম্পদ সমাবেশের দিকে নজর দিতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরামের (এইচএলপিএফ-হাই লেভেল পলিটিক্যাল ফোরাম) একটি সেশন সঞ্চালনকালে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এ মন্তব্য করেন। সেশনের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল ‘নতুন ধারার নীতি প্রণয়ন কৌশলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ভূমিকা’। উল্লেখ্য, ড. দেবপ্রিয় এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার ৪৯টি থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সমন্বয়ে গঠিত নেটওয়ার্ক সাউদার্ন ভয়েস অন পোস্ট-এমডিজিস-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি-মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস) উত্তরসূরী হিসেবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের জন্য সার্বিক দিকনির্দেশনা দেয়ার লক্ষ্যে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (ঊঈঙঝঙঈ) এর আওতায় এ উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরামটি (এইচএলপিএফ) গঠিত হয়েছে। এ ফোরামের মূল দায়িত্ব হবে আগামী ১৫ বছর ধরে এসডিজি অর্জনের অগ্রগতি নিরীক্ষণ করা এবং এ লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে জবাবদিহি নিশ্চিত করা। মনে করা হয়, এসডিজিগুলো একটি সার্বজনীন কর্মসূচির মাধ্যমে রূপান্তরমুখী এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকে বেগবান করবে।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, এ ধরনের একটি কর্মসূচির সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হবে যথাযথ রাষ্ট্রীয় নীতি প্রণয়ন এবং জনগণের সামষ্টিক উদ্যোগ। আগামীতে নতুন উন্নয়ন এজেন্ডা অর্জন করতে হলে পূর্বের মতো বিচ্ছিন্নভাবে লক্ষ্যভিত্তিক কৌশল নির্ধারণ যথেষ্ট হবে না, বরং পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহকে অর্জনের লক্ষ্যে সমন্বিত কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। এর ফলে বিভিন্ন লক্ষ্যের পারস্পরিক মিথষ্ক্রিয়ার মাধ্যমে ইতিবাচক ফলাফল অর্জনের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং নেতিবাচক অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এগুলোর পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং নতুন আইনী উদ্যোগ নেয়ারও প্রয়োজন পড়বে।
এক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হবে জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে যথাযথ পরিবীক্ষণ ও পর্যালোচনা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা যা নতুন উন্নয়ন কর্মসূচির কার্যকারিতার ব্যাপারে প্রমাণ-ভিত্তিক মূল্যায়ন প্রদান করবে।
উচ্চ পর্যায়ের রাজনীতিক ফোরামের সেশনটিতে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্রোয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্লাদিমির ড্রবনাক। তিনি বলেন, নতুন ধারার নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়াটি বহুপর্যায়ভিত্তিক, যাতে স্থানীয় সরকার থেকে শুরু করে জাতিসংঘ পর্যন্ত সব পর্যায়ের সংশ্লিষ্টতা থাকতে হবে।
সেশনের প্যানেলিস্টদের আলোচকদের মধ্যে ছিলেন নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ক্যারেল ভ্যান অস্টেরুম, উগান্ডার জাতীয় পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষের পরিচালক ড. প্যাট্রিক বিরুঙ্গি, চেক প্রজাতন্ত্রের সংসদের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়ারোস্লাভা ইয়ার্মানোভা। ইন্দোনেশিয়ার গ্লোবাল কম্প্যাক্ট নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট ইয়াইয়া জুনার্দি এবং আদিবাসী জনগণের অংশী গ্রুপের পক্ষ থেকে গালিনা আঙ্গারোভা মূল আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
এ ছাড়া সেশনে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ ও অন্যান্য অংশী গ্রুপের প্রতিনিধিবর্গ। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী উপ-প্রতিনিধি সাদিয়া ফাইজুন্নেসা বলেন, ক্রমবিকাশমান নীতি চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সক্ষমতা সৃষ্টি করতে হবে। এ লক্ষ্যে সম্পদ সমাবেশের দিকে নজর দিতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
No comments