ঝুঁকি নিয়েই বসবাস করছে হতদরিদ্র ২০,০০০ পরিবার by সরওয়ার আলম শাহীন
অবিরাম
বর্ষণ চললেও পাহাড়ে বসবাস করা মানুষের সংখ্যা কমেনি। বরং বেড়েছে। উখিয়া
উপজেলার বিভিন্ন বনভূমির পাহাড়ের ওপরে, ঢালুতে ও নিচে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস
করছে প্রায় ২০ হাজার হতদরিদ্র পরিবার। বিগত সময়ে পাহাড় ধসে প্রায় ১৫ নারী,
পুরুষ, শিশু প্রাণ হারালেও টনক নড়েনি উপজেলার কর্তা ব্যক্তিদের। পাহাড়ে
বসবাসরত পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ না করায়
প্রতি বর্ষা মওসুমে অকাল মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। বর্ষার শুরুতে বন বিভাগ
শুধুমাত্র পাহাড়ে বসবাসরত পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য
মাইকিং করে দায়সারা প্রচারণার মাধ্যমে তাদের দায়িত্ব শেষ করতে দেখা গেছে।
উখিয়া ও ইনানী বন রেঞ্জের আওতায় মনখালী, ছেপটখালী, জুম্মাপাড়া, মো. শফির
বিল, ইনানী জুমের ছড়া, সোনাইছড়ি, পাইন্যাশিয়া, তুতুরবিল, হরিণমারা,
তেলখোলা, মোছারখোলা, হাতির ঘোনা, মধুর ছড়া, মাছকারিয়া, দোছড়ি, থিমছড়ি,
তুলাতলী, সোনার ঘোনা, ডেইল পাড়া, ভালুকিয়া, তুলাতলী, চিকনঝিরি ও পাগলির
বিলসহ প্রায় ২৮টি ছোট-ছোট পাহাড় দখল করে মাটি কেটে শ্রেণী পরিবর্তনের
ধারাবাহিকতায় পাহাড়ের ওপরে, ঢালুতে ও নিচে অবৈধভাবে বসবাস করছে প্রায় ২০
হাজার পরিবার। ২০১০ সালের ১৫ই জুন প্রবল বর্ষণ পরবর্তী সৃষ্ট বন্যায়
পালংখালী ইউনিয়নে থাইংখালী গ্রামে একই পরিবারের ৩ জন, রাজাপালং ইউনিয়নের
সাদৃকাটা গ্রামে একজন ও ছেপটখালী গ্রামে একজনসহ ৫ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক
নারী, পুরুষ ও শিশু পাহাড় ধসে ঘরচাপা পড়ে আহত হয়েছিল। ২০১১ সালে জুন মাসে
জালিয়া পালং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি গ্রামে পাহাড় ধসের ঘটনায় এলাকার জনমনে
আতঙ্কের সৃষ্টি হলেও দরিদ্রতার অশ্বপৃষ্টে বাধা এসব পরিবারগুলো স্থান
পরিবর্তন করতে পারেনি। এমতাবস্থায়, ভালুকিয়ার থিমছড়ি এলাকায় একই পরিবারের ৩
জনসহ ৭ জন নিহত হয়েছে। এ সময় শ’ শ’ ঘরবাড়ি পাহাড়ের নিচে চাপা পড়লেও
দরিদ্রতার অভাবে এসব মানুষগুলো এখনও অজানা আতঙ্ক নিয়ে একই এলাকায় বসবাস
করছে।
হলদিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মিন্টু জানান, এসব পরিবার নিঃস্ব, তাদের নিজস্ব কোন পৈতৃক সহায় সম্পত্তি না থাকার কারণে বন বিভাগের জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। রত্নাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল কবির চৌধুরী জানান, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় মানুষ তাদের পরিবাবপরিজন নিয়ে আশ্রয়ের আশা করে ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে। এভাবে পরবর্তীকালে পাহাড় কেটে বসতি স্থাপনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে মৃত্যুর মিছিলে আরও অসংখ্য মানুষ যোগ হতে পারে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করে এসব ছিন্নমূল পরিবারগুলোর স্থায়ী পুনর্বাসনের দাবি জানান। উখিয়া ও ইনানীর রেঞ্জ কর্মকর্তা মির আহমদ জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।
হলদিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মিন্টু জানান, এসব পরিবার নিঃস্ব, তাদের নিজস্ব কোন পৈতৃক সহায় সম্পত্তি না থাকার কারণে বন বিভাগের জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। রত্নাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল কবির চৌধুরী জানান, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় মানুষ তাদের পরিবাবপরিজন নিয়ে আশ্রয়ের আশা করে ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে। এভাবে পরবর্তীকালে পাহাড় কেটে বসতি স্থাপনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে মৃত্যুর মিছিলে আরও অসংখ্য মানুষ যোগ হতে পারে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করে এসব ছিন্নমূল পরিবারগুলোর স্থায়ী পুনর্বাসনের দাবি জানান। উখিয়া ও ইনানীর রেঞ্জ কর্মকর্তা মির আহমদ জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।
No comments