মানুষের পেটে পাখির জন্ম!
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চখরিচরন
এলাকায় ৬০ বছর বয়সী শুকুর আলী শেখ নামে এক কৃষক ডাহুক পাখির ডিমে নিজের
পেটের তায় দিয়ে একটি ডাহুক পাখির বাচ্চা জন্ম দিয়েছেন। অথচ মা পাখির তায়ের
মাধ্যমে ডিম ফুটে বাচ্চার জন্ম হওয়াটা প্রাকৃতিক রীতি। মানুষের ক্ষেত্রে তা
রয়েছে ভিন্নতা। ডিম ফুটে ডাহুক পাখির বাচ্চাটি জন্মের পর থেকে বাঁশের
খাঁচায় রেখে পোষ মানাচ্ছেন ও পরিচর্যা করছেন তিনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শুকুর আশপাশের গ্রাম ও হাট-বাজারেও তিনি বাচ্চাটিকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তা দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। বাচ্চাটিকে দেখতে ও ঘটনার রহস্য জানতে প্রতিদিন শ’ শ’ কৌতূহলী মানুষ তার বাড়িতেও যাচ্ছেন দল বেঁধে। তিনি ডাহুকের বাচ্চাটিকে পোকা-মাকড় ধরে এনে খাওয়াচ্ছেন।
শুকুর আলী ও তার পরিবার জানায়, ধান ক্ষেতে দুইটি ডিম দেখতে পান শুকুর আলী। তিনি ডিমগুলো দেখে ডাহুক পাখির মনে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। দু'দিন তিনি গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে খোঁজ করেন দেশি প্রজাতির কোনো মুরগি বাচ্চা ফুটাতে ডিমে তাপ দিচ্ছে কি না? তা না পেয়ে শুকুর নিজেই ইচ্ছা পোষণ করেন ডাহুকের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটাতে তিনি নিজে তাপ দিবেন। কারো কাছে না শুনে তিনি নিজেই পাকা নারিকেলের অর্ধেক মালইতে তুলা ও কিছু গরম কাপড় দিয়ে ডিম দু'টি বসিয়ে দেন। এরপর তিনি নিজের তল পেটে গামছা দিয়ে মালইটি শক্ত করে বেঁধে নেন। একটানা তিনি মালইটি পেটে বেঁধে রাখেন। এজন্য তিনি প্রতিদিন গোসল করতেও পারেনি। খাওয়া-দাওয়া ও ঘুমিয়েছেন তিনি ডিম ভরা মালই পেটে বেঁধেই। ঘটনার ১২ দিন পর তিনি দেখতে গিয়ে দেখেন একটি ডিম ফেটে নষ্ট হয়ে গেছে। সেখান থেকে ডিমটি তিনি ফেলে দেন। হতাশ না হয়ে শুকুর আলী আরেকটি ডিম ঠিকই মালইতে ভরে পেটে বেঁধে রাখেন। ২০ দিন পরে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়ে আসে। বাচ্চাটিকে তিনি পরিচর্যা শুরু করেন। কয়েকদিনের মধ্যেই এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে প্রতিদিন পাখির বাচ্চাটিকে দেখতে আসছেন শ’ শ’ উৎসুক মানুষ।
স্থানীয় চক মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন জানান, মানুষ পারে না এমন কোনো কাজ নেই, শুকুর তা আবারো প্রমাণ করলেন। এ রকম ধৈর্য ও চিন্তাশীল ব্যক্তি এই ইউনিয়নের বাসিন্দা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শুকুর আশপাশের গ্রাম ও হাট-বাজারেও তিনি বাচ্চাটিকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তা দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। বাচ্চাটিকে দেখতে ও ঘটনার রহস্য জানতে প্রতিদিন শ’ শ’ কৌতূহলী মানুষ তার বাড়িতেও যাচ্ছেন দল বেঁধে। তিনি ডাহুকের বাচ্চাটিকে পোকা-মাকড় ধরে এনে খাওয়াচ্ছেন।
শুকুর আলী ও তার পরিবার জানায়, ধান ক্ষেতে দুইটি ডিম দেখতে পান শুকুর আলী। তিনি ডিমগুলো দেখে ডাহুক পাখির মনে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। দু'দিন তিনি গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে খোঁজ করেন দেশি প্রজাতির কোনো মুরগি বাচ্চা ফুটাতে ডিমে তাপ দিচ্ছে কি না? তা না পেয়ে শুকুর নিজেই ইচ্ছা পোষণ করেন ডাহুকের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটাতে তিনি নিজে তাপ দিবেন। কারো কাছে না শুনে তিনি নিজেই পাকা নারিকেলের অর্ধেক মালইতে তুলা ও কিছু গরম কাপড় দিয়ে ডিম দু'টি বসিয়ে দেন। এরপর তিনি নিজের তল পেটে গামছা দিয়ে মালইটি শক্ত করে বেঁধে নেন। একটানা তিনি মালইটি পেটে বেঁধে রাখেন। এজন্য তিনি প্রতিদিন গোসল করতেও পারেনি। খাওয়া-দাওয়া ও ঘুমিয়েছেন তিনি ডিম ভরা মালই পেটে বেঁধেই। ঘটনার ১২ দিন পর তিনি দেখতে গিয়ে দেখেন একটি ডিম ফেটে নষ্ট হয়ে গেছে। সেখান থেকে ডিমটি তিনি ফেলে দেন। হতাশ না হয়ে শুকুর আলী আরেকটি ডিম ঠিকই মালইতে ভরে পেটে বেঁধে রাখেন। ২০ দিন পরে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়ে আসে। বাচ্চাটিকে তিনি পরিচর্যা শুরু করেন। কয়েকদিনের মধ্যেই এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে প্রতিদিন পাখির বাচ্চাটিকে দেখতে আসছেন শ’ শ’ উৎসুক মানুষ।
স্থানীয় চক মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন জানান, মানুষ পারে না এমন কোনো কাজ নেই, শুকুর তা আবারো প্রমাণ করলেন। এ রকম ধৈর্য ও চিন্তাশীল ব্যক্তি এই ইউনিয়নের বাসিন্দা।
No comments