ঘুষ কেলেঙ্কারি-সেই পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত
কনস্টেবল
থেকে নায়েক, হাবিলদার এবং এএসআই পদের পদোন্নতির জন্য ঘুষ গ্রহণ করায়
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) সেই উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) জিল্লুর
রহমানকে সাময়কি বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের প্রতিবেদনের
পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত একটি
আদেশ জারি করা হয়েছে। অভিযুক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জিল্লুর রহমানকে সিলেট
রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে বিএমপির তিন এএসআই ও ৭
কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম
শহীদুল হক বলেছেন, অপরাধীর বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’। কেউ
কোন ফৌজদারি অপরাধ বা দুর্নীতি করলে সে পুলিশ হিসেবে গণ্য হবে না। তাকে
অপরাধী হিসেবে গণ্য করে আইনের আওতায় আনা হবে। জিল্লুরের ঘুষ কেলেঙ্কারির
কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধরনের অপরাধীকে কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।
ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। যারা শৃঙ্খলাভঙ্গ বা অসদাচরণ করবে তাদের
বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয় সূত্র জানায়, গত বছরের নভেম্বর মাসে বিএমপিতে কর্মরত কনস্টেবল থেকে এএসআই পর্যন্ত প্রায় ৮০০ পুলিশ সদস্য পদোন্নতি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে ৩৩২ জন পদোন্নতি পায়। যার মধ্যেই ২৩০ জনই কনস্টেবল। পদোন্নতি পেলেও তাদের পদায়নের কোন জায়গা ছিল না। তাই পুলিশ সদর দপ্তরে প্রস্তাব আকারে পড়ে থাকা বিএমপির জনবল কাঠামো পাশের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ে তদবির করার জন্য বরখাস্তকৃত পুলিশ সদস্যরা ঘুষের তহবিল গঠনে বরিশাল নগরীর সদর রোডস্থ ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে একটি হিসাব নম্বর খোলেন। এরপর আদায়কৃত ঘুষের টাকা ওই হিসাব নম্বরে জমা রাখে। বিষয়টি জানাজানি হলে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়। এরপর বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তরে অবিহিত করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ড ও ইন্টারনাল ইনভেস্টিগেশন শাখা তদন্তে ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তাসহ ৩ এএসআই ও ৭ পুলিশ কনস্টেবলের সম্পৃক্তার প্রমাণ পায়। পরে গত ২৯শে জুন প্রাথমিকভাবে ৩ এএসআই ও ৭ পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তকৃতরা হলো এএসআই আনিসুজ্জমান, মনির হোসেন ও আবু হানিফ, নায়েক কবির হোসেন, কনস্টেবল শহীদুল ইসলাম, বাবুল হালদার, আব্বাস উদ্দিন, আরিফুর রহমান, তাপস কুমার মণ্ডল ও দোলন বড়াল। এদের মধ্যে এএসআই আনিসুজ্জামান, নায়েক কবির হোসেন ও কনস্টেবল বাবুল হালদারের নামে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বরিশাল শাখার হিসাব নম্বরে ঘুষের ১৭ লাখ টাকা জমা রয়েছে। পদোন্নতিতে আগ্রহী ২৩০ সদস্যের মধ্যে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে ইতিমধ্যে ৭৭ লাখ আদায় করা হয়েছে বলে অভিযুক্তরা পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্ত কমিটির কাছে স্বীকার করেছে। বাকি ৬০ লাখ টাকা বিএনপির উপকমিশনার (উত্তর) জিল্লুর রহমানের কাছে রাখা হয়েছিল। পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তিনি বিষয়টি স্বীকারও করেছেন। তবে ‘ওরা রেখে গেছে, কেন রেখেছে তিনি জানেন না’ বলে নিজের দোষ এড়ানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্তে জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রাথমিক অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার অধিকতর তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ তদন্তে আরও কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান মেট্রো পুলিশের উপকমিশনার (সদর) শোয়েব আহাম্মদ। তিনি জানান, এ বিষয় তাদের জিরো টলারেন্স। পুলিশ সদর দপ্তর আদায় করা টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শৈবালকান্তি জানান, সাময়িক বরখাস্তকৃতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তা ছাড়া এ ঘটনার সঙ্গে পুলিশের অন্য কোন সদস্য জড়িত আছে কিনা তা বের করতে কমিটি খতিয়ে দেখছে। পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, উত্তেলিত টাকার বাকি ৬০ লাখ টাকা উপ-পুলিশ কমিশনার জিল্লুর রহমানের কাছে ছিল। এটা জানতে পেরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ফ্যাক্সবার্তা আসায় সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেন তিনি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয় সূত্র জানায়, গত বছরের নভেম্বর মাসে বিএমপিতে কর্মরত কনস্টেবল থেকে এএসআই পর্যন্ত প্রায় ৮০০ পুলিশ সদস্য পদোন্নতি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে ৩৩২ জন পদোন্নতি পায়। যার মধ্যেই ২৩০ জনই কনস্টেবল। পদোন্নতি পেলেও তাদের পদায়নের কোন জায়গা ছিল না। তাই পুলিশ সদর দপ্তরে প্রস্তাব আকারে পড়ে থাকা বিএমপির জনবল কাঠামো পাশের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ে তদবির করার জন্য বরখাস্তকৃত পুলিশ সদস্যরা ঘুষের তহবিল গঠনে বরিশাল নগরীর সদর রোডস্থ ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে একটি হিসাব নম্বর খোলেন। এরপর আদায়কৃত ঘুষের টাকা ওই হিসাব নম্বরে জমা রাখে। বিষয়টি জানাজানি হলে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়। এরপর বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তরে অবিহিত করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ড ও ইন্টারনাল ইনভেস্টিগেশন শাখা তদন্তে ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তাসহ ৩ এএসআই ও ৭ পুলিশ কনস্টেবলের সম্পৃক্তার প্রমাণ পায়। পরে গত ২৯শে জুন প্রাথমিকভাবে ৩ এএসআই ও ৭ পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তকৃতরা হলো এএসআই আনিসুজ্জমান, মনির হোসেন ও আবু হানিফ, নায়েক কবির হোসেন, কনস্টেবল শহীদুল ইসলাম, বাবুল হালদার, আব্বাস উদ্দিন, আরিফুর রহমান, তাপস কুমার মণ্ডল ও দোলন বড়াল। এদের মধ্যে এএসআই আনিসুজ্জামান, নায়েক কবির হোসেন ও কনস্টেবল বাবুল হালদারের নামে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বরিশাল শাখার হিসাব নম্বরে ঘুষের ১৭ লাখ টাকা জমা রয়েছে। পদোন্নতিতে আগ্রহী ২৩০ সদস্যের মধ্যে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে ইতিমধ্যে ৭৭ লাখ আদায় করা হয়েছে বলে অভিযুক্তরা পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্ত কমিটির কাছে স্বীকার করেছে। বাকি ৬০ লাখ টাকা বিএনপির উপকমিশনার (উত্তর) জিল্লুর রহমানের কাছে রাখা হয়েছিল। পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তিনি বিষয়টি স্বীকারও করেছেন। তবে ‘ওরা রেখে গেছে, কেন রেখেছে তিনি জানেন না’ বলে নিজের দোষ এড়ানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্তে জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রাথমিক অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার অধিকতর তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ তদন্তে আরও কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান মেট্রো পুলিশের উপকমিশনার (সদর) শোয়েব আহাম্মদ। তিনি জানান, এ বিষয় তাদের জিরো টলারেন্স। পুলিশ সদর দপ্তর আদায় করা টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শৈবালকান্তি জানান, সাময়িক বরখাস্তকৃতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তা ছাড়া এ ঘটনার সঙ্গে পুলিশের অন্য কোন সদস্য জড়িত আছে কিনা তা বের করতে কমিটি খতিয়ে দেখছে। পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, উত্তেলিত টাকার বাকি ৬০ লাখ টাকা উপ-পুলিশ কমিশনার জিল্লুর রহমানের কাছে ছিল। এটা জানতে পেরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ফ্যাক্সবার্তা আসায় সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেন তিনি।
No comments