পরিচয় খুঁজে ফিরছেন স্যাম

স্যাম
৫০ এর মতো বয়স। সবাই ডাকে স্যাম নামে। কিন্তু আসলেই তাঁর নাম কী কেউ জানে না। জানেন না নিজেও। কারণ কিছুই মনে পড়ছে না তাঁর।
চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চল থেকে এই নারীকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ধারণা করা হচ্ছে তিনি অস্ট্রেলীয়। পরিচয় খুঁজে পেতে এরই মধ্যে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন স্যাম। সেখানে তিনি লিখেছেন চিকিৎসকেরা তাঁকে বলছেন শরীরে বড় ধরনের টিউমার থাকায় তাঁর স্মৃতিশক্তি হারিয়ে গেছে।
এরই মধ্যে ইন্টারপোল নিখোঁজ ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক তালিকায় তাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই নারী ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ ভাষায় কথা বলতে পারেন। এফবিআইও স্যামের বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
এনবিসি ৭ নামের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গতকাল মঙ্গলবার স্যাম বলেন, তিনি কে, কোথা থেকে এসেছেন কিছুই মনে পড়ছে না তাঁর। বলেন, ‘আমি কিছু মনে করতে পারছি না। আমি এখানে কেমন করে এলাম। আমার কাছে কোনো কিছু নেই। না গয়না, না পার্স না অন্য কিছু। আমার স্মৃতি জুড়ে শুধু কুয়াশা। এর মধ্য দিয়ে আমি কিছু দেখতে পাই না।’
তবে স্যাম তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থে, কেইরনস, বিরন বে এবং হাওয়াই সমুদ্রে সাঁতার কাটার স্বপ্নের কথা তিনি মনে করতে পারেন। তিনি তাঁর পরিচয় খুঁজে পেতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে বেছে নিয়েছেন এই আশায় যে পরিবার বা বন্ধুদের নজরে যদি পড়েন।
এনবিসি ৭ জানায় গত ফেব্রুয়ারিতে ক্যালিফোর্নিয়ার সমুদ্রতীরবর্তী রিসোর্ট কার্লসবাদ থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় সামান্যই তাঁর চেতনা ছিল।
স্যাম সাংবাদিকদের বলেছেন, কর্তৃপক্ষ তাঁকে দেখার পর তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। তখন তাঁর ডিম্বাশয়ে ক্যানসার ধরা পড়ে। চিকিৎসকেরা ভলিবল আকৃতির একটি টিউমার অস্ত্রোপচার করে অপসারণ করেছে বলে দাবি তাঁর।
চিকিৎসকেরা তাঁকে বলেছেন তিনি পেছনের সব স্মৃতি হারিয়েছেন। স্যামের উচ্চারণ অনেকটা অস্ট্রেলিয়ানদের মতো। তিনি ভয় পাচ্ছেন হয়তো পরিবারের খোঁজ পাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হবে।

No comments

Powered by Blogger.