নরসিংদীর ঘোড়াশাল-পলাশ সড়ক: তিন কিলোমিটারে গর্ত ও খানাখন্দ, ভোগান্তি by মনিরুজ্জামান
নরসিংদীর
শিল্পাঞ্চল উপজেলা হচ্ছে পলাশ। এখানে যোগাযোগের প্রধান পথ হচ্ছে
ঘোড়াশাল-পলাশ সড়ক। এটির অবস্থা এখন বেহাল। খানাখন্দ আর গর্তে সড়কটি যান
চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।
এক বছর সড়কটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দুই দফায় পরিবর্তন করা হয়েছে। এ কারণে সড়কটির সংস্কার থেমে আছে বলে জানা গেছে। গত রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ঘোড়াশাল বাসস্ট্যান্ড থেকে বাগপাড়া প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তার পুরোটা জুড়ে পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সব গর্তে জমেছে বৃষ্টির পানি। এ কারণে গর্তের আকার বোঝা যায় না। এতে যান চলাচল তো দূরের কথা, হেঁটে চলাও দুষ্কর।
সড়কটির দৈর্ঘ্য আট কিলোমিটার। এই আট কিলোমিটারজুড়ে রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাস প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, জনতা পাটকল, পূবালী পাটকল, ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানা, পলাশ ইউরিয়া সার কারখানাসহ আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। এ কারণে প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে কয়েক হাজার যান চলাচল করে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কটির প্রায় সব অংশের পিচ উঠে গেছে। এরপর সওজ থেকে সড়ক সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয় ঘোড়াশাল পৌরসভা। কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার আট মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো সংস্কারকাজ হয়নি। পরে আবার দায়িত্ব প্রত্যাহার করে নেয় সওজ। এ দায়িত্ব বদলাবদলির কারণে সড়কটির সংস্কার হচ্ছে না। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও শিল্পকারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের।
কাভার্ড ভ্যানচালক সুলতান মিয়া বলেন, ‘এই রাস্তা দিইয়্যা প্রত্যেক দিন শত শত কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাক যাওয়া-আসা করে। কিন্তু রাস্তা ভাঙাচোরা হওয়ায় প্রত্যেক দিন কোনো না কোনো এক্সিডেন্ট হইতাছে, গাড়ি নষ্ট হইতাছে। আমাগোর কষ্টের সীমা নাই।’
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বাগপাড়া প্রজেক্টের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. ফজলে রাব্বি জানান, এ সড়কে প্রতিদিন তাঁদের কোম্পানির নিজস্ব কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক চলাচল করে পাঁচ শতাধিক। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে প্রতিদিন ২০-২৫টি গাড়ি গ্যারেজে পাঠাতে হচ্ছে।
জানতে চাইলে ঘোড়াশাল পৌর মেয়র শরীফুল হক বলেন, ‘সওজ আমাদের শুধু সংস্কারের দায়িত্ব দিয়েছে। কিন্তু কোনো সুবিধা ভোগ করা যাবে না। নিজের খেয়ে পরের মোষ তাড়ানোর কথা বললে কে রাজি হবে, বলেন? তারপরও আমরা প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির লোকজনের সঙ্গে কথা বলছি। দেখি কী করা যায়।’
নরসিংদী সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সড়কটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছিল ঘোড়াশাল পৌরসভা। পরবর্তী সময়ে কোনো কাজ না করায় সেটি পুনরায় আমাদের তত্ত্বাবধানে আনার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। আপাতত ঈদের আগে সড়কটি সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করব।’
এক বছর সড়কটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দুই দফায় পরিবর্তন করা হয়েছে। এ কারণে সড়কটির সংস্কার থেমে আছে বলে জানা গেছে। গত রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ঘোড়াশাল বাসস্ট্যান্ড থেকে বাগপাড়া প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তার পুরোটা জুড়ে পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সব গর্তে জমেছে বৃষ্টির পানি। এ কারণে গর্তের আকার বোঝা যায় না। এতে যান চলাচল তো দূরের কথা, হেঁটে চলাও দুষ্কর।
সড়কটির দৈর্ঘ্য আট কিলোমিটার। এই আট কিলোমিটারজুড়ে রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাস প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, জনতা পাটকল, পূবালী পাটকল, ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানা, পলাশ ইউরিয়া সার কারখানাসহ আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। এ কারণে প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে কয়েক হাজার যান চলাচল করে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কটির প্রায় সব অংশের পিচ উঠে গেছে। এরপর সওজ থেকে সড়ক সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয় ঘোড়াশাল পৌরসভা। কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার আট মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো সংস্কারকাজ হয়নি। পরে আবার দায়িত্ব প্রত্যাহার করে নেয় সওজ। এ দায়িত্ব বদলাবদলির কারণে সড়কটির সংস্কার হচ্ছে না। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও শিল্পকারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের।
কাভার্ড ভ্যানচালক সুলতান মিয়া বলেন, ‘এই রাস্তা দিইয়্যা প্রত্যেক দিন শত শত কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাক যাওয়া-আসা করে। কিন্তু রাস্তা ভাঙাচোরা হওয়ায় প্রত্যেক দিন কোনো না কোনো এক্সিডেন্ট হইতাছে, গাড়ি নষ্ট হইতাছে। আমাগোর কষ্টের সীমা নাই।’
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বাগপাড়া প্রজেক্টের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. ফজলে রাব্বি জানান, এ সড়কে প্রতিদিন তাঁদের কোম্পানির নিজস্ব কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক চলাচল করে পাঁচ শতাধিক। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে প্রতিদিন ২০-২৫টি গাড়ি গ্যারেজে পাঠাতে হচ্ছে।
জানতে চাইলে ঘোড়াশাল পৌর মেয়র শরীফুল হক বলেন, ‘সওজ আমাদের শুধু সংস্কারের দায়িত্ব দিয়েছে। কিন্তু কোনো সুবিধা ভোগ করা যাবে না। নিজের খেয়ে পরের মোষ তাড়ানোর কথা বললে কে রাজি হবে, বলেন? তারপরও আমরা প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির লোকজনের সঙ্গে কথা বলছি। দেখি কী করা যায়।’
নরসিংদী সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সড়কটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছিল ঘোড়াশাল পৌরসভা। পরবর্তী সময়ে কোনো কাজ না করায় সেটি পুনরায় আমাদের তত্ত্বাবধানে আনার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। আপাতত ঈদের আগে সড়কটি সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করব।’
No comments