একের পর এক ‘বোমা’ ফাটাচ্ছেন ললিত মোদি
একের পর এক বোমা ফাটিয়ে যাচ্ছেন ভারতের ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লীগ (আইপিএল)-এর সাবেক কমিশনার ললিত মোদি। বিচারের মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে লন্ডনে অবস্থানরত ললিতকে পাসপোর্ট নবায়নে সহযোগিতা করার কথা স্বীকার করে বেশ বড় ধরনের চাপে রয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এ নিয়ে বিরোধী দল কংগ্রেস বেশ ভালোভাবে চেপে ধরেছে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে। কিন্তু ললিত মোদি খুব দ্রুতই বিরোধী দল কংগ্রেসকেও বিপাকে ফেলে দেন এই বলে যে, তার সঙ্গে লন্ডনে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর দেখা হয়েছে। এখন নতুন করে তিনি দাবি করছেন, বিজেপির এমপি বরুণ গান্ধী কয়েক বছর আগে লন্ডনে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছেন। শুধু তা-ই নয়। তার দাবি, বরুণ গান্ধী তার চাচী কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সব বিরোধ মিটিয়ে ফেলার প্রস্তাব দেন। এর জন্য সোনিয়া গান্ধী ৬ কোটি ডলার চেয়েছিলেন। এ খবর দিয়েছে ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া। প্রসঙ্গত, বরুণ গান্ধী বিজেপির রাজনীতি করলেও তিনি গান্ধী পরিবারেরই সন্তান। সোনিয়া গান্ধী তার আপন চাচী। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে বেশকিছু টুইট বার্তায় ললিত বলেন, বরুণ কয়েক বছর আগে লন্ডনে আমার বাড়িতে এসে দেখা করে। সে জানায় সে আমার সঙ্গে কংগ্রেস ও তার চাচীর সব বিরোধ মিটিয়ে দিতে পারবে। সে চেয়েছিল, আমি যাতে তার চাচীর বোনের সঙ্গে ইতালিতে গিয়ে দেখা করি। ওই চাচী সবকিছুর জন্য ৬ কোটি ডলার চান। কিন্তু আমি তাতে রাজি হই নি। তবে এ সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বরুণ গান্ধী। বরুণ বলেন, মোদি মূলত নজরটা তার দিক থেকে সরিয়ে নিতে চাইছেন। এদিকে ললিত মোদিকে নিয়ে বিজেপি-দলীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়ছে না। এনডিটিভির এক খবরে বলা হয়েছে, সুষমার স্বামী স্বরাজ কাউশালকে নিজের একটি কোমপানির বিকল্প পরিচালক হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মোদি। সে ক্ষেত্রে কোমপানির বোর্ড মিটিং-এ মোদির বিকল্প হিসেবে কাউশালই হাজির থাকতেন। কিন্তু কাউশাল ওই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। গত এপ্রিলে মোদির পাঠানো এ সংক্রান্ত একটি ই-মেইল হাতে এসেছে এনডিটিভির। প্রসঙ্গত, কাউশাল ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ললিত মোদির অন্যতম আইনজীবী। কাউশাল বলেন, আমি বহুদিন ধরেই ললিত মোদির আইনজীবী। আমাকে তিনি ইন্ডোফিল বোর্ডের বিকল্প পরিচালক হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি রাজি হই নি। একে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে কংগ্রেস বলছে, মোদির এ প্রস্তাবই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার অনুচিত ঘনিষ্ঠতার ইঙ্গিত দেয়। বিরোধী দল কংগ্রেসের টম ভারাক্কান বলেন, আমি মনে করি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এখন জাতীয় সংগীত গেয়ে পদত্যাগ করা উচিত। অপরদিকে বিজেপির মুখপাত্র জিভিএল নরসিমা রাও বলেন, যখন কাউশাল প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন, তখন সমস্যা কি থাকে আর? স্বরাজ কাউশাল তো ললিত মোদির সঙ্গে তার পেশাদারী সমপর্ক কখনও লুকান নি।
প্রসঙ্গত, ভারতে আইপিএল নিয়ে দুর্নীতি মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ললিত মোদি বহুদিন ধরেই লন্ডনে থাকছেন। এ মাসের শুরুর দিকে, এ খবর প্রকাশ হয় যে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তাদের কাছে ললিত মোদিকে পর্তুগালে নিজ স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দিতে সুপারিশ করেছিলেন। আর তাতেই তোড়পাড় শুরু হয় ভারতের রাজনৈতিক মহলে। বিরোধী দল কংগ্রেসের দাবি, নিজের স্বামীর মক্কেলকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ একটি বড় ধরনের স্বার্থের দ্বন্দ্ব। আবার মন্ত্রী এমন এক লোককে সহায়তা করলেন যিনি কিনা ফেরারি আসামি। বিচারের মুখোমুখি হতে ভারতে ফিরতে রাজি নন, এমন এক ব্যক্তিকে কি করে রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহায়তা করতে পারেন! তবে সুষমার যুক্তি, তিনি মানবিক কারণে মোদিকে সহায়তা করেছেন। কিন্তু সুষমার সঙ্গে ললিত মোদির পূর্ব ঘনিষ্ঠতা সামনে নিয়ে এসেছে কংগ্রেস। ওদিকে নতুন খবর বের হয়, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে যুক্তরাজ্যে মোদির অভিবাসন আপিলে তার পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন। ললিত আবার এমন একটি কোমপানির শেয়ার করেছেন, যার অন্যতম মালিক আবার বসুন্ধরা রাজের ছেলে। এখানেও স্বার্থের দ্বন্দ্ব! এ বিষয়গুলোকে তুলে ধরে সুষমা স্বরাজ ও বসুন্ধরা রাজের পদত্যাগ চায় কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, ভারতে আইপিএল নিয়ে দুর্নীতি মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ললিত মোদি বহুদিন ধরেই লন্ডনে থাকছেন। এ মাসের শুরুর দিকে, এ খবর প্রকাশ হয় যে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তাদের কাছে ললিত মোদিকে পর্তুগালে নিজ স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দিতে সুপারিশ করেছিলেন। আর তাতেই তোড়পাড় শুরু হয় ভারতের রাজনৈতিক মহলে। বিরোধী দল কংগ্রেসের দাবি, নিজের স্বামীর মক্কেলকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ একটি বড় ধরনের স্বার্থের দ্বন্দ্ব। আবার মন্ত্রী এমন এক লোককে সহায়তা করলেন যিনি কিনা ফেরারি আসামি। বিচারের মুখোমুখি হতে ভারতে ফিরতে রাজি নন, এমন এক ব্যক্তিকে কি করে রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহায়তা করতে পারেন! তবে সুষমার যুক্তি, তিনি মানবিক কারণে মোদিকে সহায়তা করেছেন। কিন্তু সুষমার সঙ্গে ললিত মোদির পূর্ব ঘনিষ্ঠতা সামনে নিয়ে এসেছে কংগ্রেস। ওদিকে নতুন খবর বের হয়, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে যুক্তরাজ্যে মোদির অভিবাসন আপিলে তার পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন। ললিত আবার এমন একটি কোমপানির শেয়ার করেছেন, যার অন্যতম মালিক আবার বসুন্ধরা রাজের ছেলে। এখানেও স্বার্থের দ্বন্দ্ব! এ বিষয়গুলোকে তুলে ধরে সুষমা স্বরাজ ও বসুন্ধরা রাজের পদত্যাগ চায় কংগ্রেস।
No comments