আন্তর্জাতিক : মিয়ানমার-গণতন্ত্রের পথে বন্ধুর অভাব ইেন by শ্রাবণ সরকার

বেসামরিকীকরণের পথে কি সত্যিই হাঁটছে মিয়ানমার? গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় উত্তরণের প্রচেষ্টা কি লক্ষ করা যাচ্ছে অং সান সু চির দেশে? টানা পাঁচ দশকের সামরিক শাসনের অন্ধকার ফুঁড়ে কি গণতান্ত্রিক আলো ফুটে উঠছে বিশ্ব থেকে কার্যত একঘরে হয়ে পড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশটিতে? এসব গুরুতর ও আগ্রহ-জাগানিয়া প্রশ্নের এক কথায় সহজ-সরল উত্তর 'হ্যাঁ' বলা যেতেই পারে। এর স্বপক্ষে তথাকথিত নির্বাচিত বর্তমান বেসামরিক সরকারের বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ উল্লেখ করা যায়, যা গণতন্ত্রায়নের সুস্পষ্ট লক্ষণ।


সাবেক জান্তা সরকারের সময় বিলুপ্ত হওয়া সু চির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) আবারও রাজনীতিতে ফেরার পথ উন্মুক্ত হওয়া, সরকারের সঙ্গে সু চির দফায় দফায় বৈঠক অনুষ্ঠান, আসন্ন উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় সু চির সম্মত হওয়া, প্রথমবারের মতো শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-সমাবেশের সুযোগ রেখে আইন প্রণয়ন, সরকার ও দেশটির প্রধান উপজাতি গেরিলা দলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি, বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি পাওয়া ইত্যাদি।

মার্কিন-ছোঁয়া!
এ কথা স্বীকার করতেই হবে, মিয়ানমার সরকারের গণতন্ত্রমুখীন কর্মসূচির ব্যাপারে বিশ্ব-মনোযোগ বেশি মাত্রায় প্রগাঢ় হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সফরের মধ্য দিয়ে। সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারে কয়েকটি কূটনৈতিক সফর বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসে, তৈরি হয় চাঞ্চল্য। তবে হিলারির মতো এত মনোযোগ কোনো সফরকারীর ভাগ্যে কখনো জোটেনি। অর্ধ শতকেরও বেশি সময় পরে মার্কিন এই উচ্চপদস্থ প্রতিনিধির মিয়ানমার সফরের দিকে ছিল সবার নজর, বন্ধু-শত্রু নির্বিশেষে। শেষবার ১৯৫৫ সালে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন ফস্টার ডালেস মিয়ানমার সফর করেছিলেন। হিলারির আগে দেশটিতে ঘুরে গেছেন বেলারুশের প্রধানমন্ত্রী। আর শেষতক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের 'পোশাকসর্বস্ব' গণতান্ত্রিক সরকারের আতিথ্য গ্রহণ করলেন। সব মিলিয়ে 'নিভৃতচারী' মিয়ানমারের ওপর এখন ফ্ল্যাশ-লাইট! তবে এর রকমফেরে ভিন্নতা রয়েছে।

শুধুই পোশাক বদল!
গত বছরের নভেম্বরে বিতর্কিত পার্লামেন্ট নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তথাকথিত বেসামরিক সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় মিয়ানমারে। সাবেক জেনারেল থেইন সেইনের বর্তমান সরকারকে এখনো গণতান্ত্রিক বাতাবরণে 'উর্দি-আশ্রিত' সরকার বলেই ভাবা হয়। সেনাকর্মকর্তাদের পোশাকের বদল ঘটেছে, খাকি ছেড়ে মিয়ানমারের পুরুষদের জন্য ঐতিহ্যবাহী লুঙ্গি পরা শুরু করেছেন তাঁরা।
দেশটির দিকে এই সন্দেহের শর নিক্ষেপের অসংখ্য কারণও বর্তমান। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী পৃথিবীর অন্যতম দীর্ঘমেয়াদি সামরিক শাসন চালিয়ে আসছে সেখানে। ১৯৬২ সালে দেশটির শাসনক্ষমতা কুক্ষিগত করার পর তা টিকিয়ে রাখতে হেন কোনো নৃশংস ও মানবতাবিরোধী পদক্ষেপ নেই, যা তারা নেয়নি! অং সান সু চির নিশ্চিত বিজয় তথা গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা কায়েম নস্যাৎ করে তাঁকে নানা ছলছুতোয় দেড় দশক গৃহবন্দি করে রাখেন সামরিক কর্তাব্যক্তিরা। ১৯৯০ সালে সু চির এলডিপি বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিল। সরকারের বিরুদ্ধে যাঁরাই যখনই টুঁ শব্দটি করেছেন, গণতন্ত্রের দাবিতে মুখ খুলেছেন, তাঁদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। হাজার হাজার গণতন্ত্রপন্থীকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে কারা প্রকোষ্ঠের অন্ধকারে। জাতিগত দমন-পীড়নেও সামরিক জান্তা সরকার ছিল কঠোর হস্ত।

হিসাব-নিকাশের খতিয়ান
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরকে মিয়ানমার সরকারের গৃহীত গণতান্ত্রিক কর্মসূচির স্বীকৃতিই বলে জ্ঞান করা হচ্ছে। তবে পুরো বিষয়টিকে এত সরলীকরণ করা যাচ্ছে না। কারণ কৌশলগত কারণে বিশ্বের দুই 'প্রতিযোগী' পরাশক্তি_যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কাছে মিয়ানমারের গুরুত্ব বিবিধ কারণেই অনেক। পাশাপাশি বিশ্বভূমে ক্রমেই মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা 'জ্বালানি-খাদক' ভারতও তার নাকের ডগায় থাকা প্রতিবেশী দেশটির ওপর নিজের আধিপত্য বিস্তৃত করতে চায়, অন্তত গ্যাস পাওয়ার স্বার্থে। চীন ও ভারতের মধ্যে মিয়ানমার বাফার স্টেট।

ভারত-চীন বৈরিতা
ভারত ও চীনের মধ্যে রয়েছে বড় ধরনের ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক বিরোধ। সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের কাজিয়া আজও অমীমাংসিত। অন্যদিকে চীন সরকারের 'পরম-শত্রু' তিব্বতের আধ্যা@ি@@@ক নেতা দালাইলামা ও তাঁর অনুসারীদের আশ্রয় দিয়ে বরাবরই বেইজিংয়ের বিরাগভাজন হয়ে আছে ভারত। তাই বর্তমান বিশ্বের রাজনীতি ও অর্থনীতির চালকের আসনে বসা এই দুই গুরুত্বপূর্ণ চালক-রাষ্ট্রকে অনেক বিশেষজ্ঞ একসঙ্গে 'চিনডিয়া' বললেও কার্যত তাদের ঐক্যের জায়গা খুবই কম। তাই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক আধিপত্যবাদের পথেই তাদের পথচলা। তাই মিয়ানমারের 'দখল' নিতে কেউ কাউকে ছাড় দেবে বা সমঝোতার পথে হাঁটবে বলে মনে হয় না।

চিরদিনের চীনা খাতির
ঐতিহ্যগতভাবেই মিয়ানমারের সামরিক-বেসামরিক নির্বিশেষে সব আমলের প্রধান সমর্থক ও সহযোগী চীন। দেশটির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদ ছাড়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এত দিন ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে থাকতে পারত না বলেই বেশির ভাগ বিশ্লেষক মনে করেন। চীন চায় মিয়ানমারের উপকূলে বঙ্গোপসাগরে একটি নৌবন্দর। মালাক্কা প্রণালি দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যসহ আফ্রিকার জ্বালানি আমদানি করা তাহলে তাদের জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে। বিপরীতে ভারতও এখন মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে তাদের দহরম-মহরম অনেকটাই বাড়িয়েছে। ক্রমবিস্তৃত অর্থনীতির এই দেশটির লক্ষ্য মিয়ানমারের প্রাকৃতিক গ্যাসের খরিদ্দার হওয়া। বাংলাদেশ থেকেও গ্যাস পাওয়ার তাদের খায়েশ ছিল। তবে তা পূরণ না হওয়ায় তারা মিয়ানমারের দিকে ঝুঁকেছে। ভারত চায়, এ গ্যাস আমদানিতে বাংলাদেশের বুকের ওপর দিয়ে পাইপ বসাতে। মিয়ানমার প্রশ্নে চীন ও ভারতের অবস্থান না হয় বোঝা গেল, কিন্তু পশ্চিমপারের আমেরিকা কেন?

প্রশান্ত নাকি অশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চল!
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জবানিতে, চলতি শতকের বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু পশ্চিম থেকে ক্রমে পুব অভিমুখে সরছে। সুতরাং বরাবরের মতো বিশ্বের আনাচ-কানাচে নাক গলানোর মতো আমেরিকাও এ অঞ্চলে তাদের জোরদার উপস্থিতি জারি রাখতে চায়। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় অনেকটা কাবু যুক্তরাষ্ট্র সামরিক খাতে তাদের অর্থ বরাদ্দ কমাতে বাধ্য হলেও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাদের সামরিক শক্তি কমাবে না। বরং দিনদিন জোরদার করারই ঘোষণা দিয়েছে তারা। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সফরে ওবামা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের 'আগাম গুরুত্ব' তুলে ধরে অস্ট্রেলিয়ায় আড়াই হাজার পর্যন্ত মেরিন সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেন।

মার্কিন-চীন রেষারেষি...
বলাই বাহুল্য, অস্ট্রেলিয়ায় মার্কিন সেনা মোতায়েনের উদ্যোগকে ভালো চোখে দেখছে না চীন। যুদ্ধংদেহী প্রতিক্রিয়া না জানালেও এ অঞ্চলে ক্রমেই বলবান ও প্রভাব বিস্তারকারী চীন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি ঠিক হচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়ায় ওবামার সফর শেষ হতে না হতেই মিয়ানমারে হিলারির সফরের ঘোষণা আসায় চীন পড়ে যায় ফাঁপরে! যদিও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় উত্তরণের লক্ষ্যে মিয়ানমার সরকারের সংস্কার কর্মসূচিকে উৎসাহিত করাই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের উদ্দেশ্য। কিন্তু চীন অন্য গন্ধ পায়! বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, হিলারির এ সফরের উদ্দেশ্য কেবল গণতন্ত্রের পথে জান্তা-সমর্থিত সরকারের সংস্কারের হালহকিকত খতিয়ে দেখা বা উৎসাহ দেওয়া নয়, বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব-আধিপত্য বিস্তারের লড়াইকেও বেগবান করা। চীনের দোরগোড়ায় থাকা মিয়ানমার কৌশলগত কারণে ওয়াশিংটনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়ায় মার্কিন সেনা মোতায়েনের উদ্যোগকে যেমন চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছেন বিশেষজ্ঞরা, মিয়ানমার সফরকেও তারই 'বর্ধিত' অংশ হিসেবে মনে করেন তাঁরা।

চীনা চেষ্টা!
মিয়ানমারের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের এই মনোযোগী হয়ে ওঠার প্রেক্ষাপটেই হিলারির সফরের দিন কয়েক আগে নেপিডোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের ঘোষণা দেয় চীন। হিলারির সফর শুরুর দিনও (১ ডিসেম্বর) চীন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে, পশ্চিমাদের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্ক স্থাপনে তাদের আপত্তির কিছু নেই। মিয়ানমার চাইলে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে উষ্ণতা বাড়াতে পারে। তবে তাদের দীর্ঘদিনের বন্ধুরাষ্ট্র মিয়ানমারের স্বার্থহানি তারা মেনে নেবে না।

মিয়ানমার-চীন উষ্ণতা কি কমছে?
গত সেপ্টেম্বরে ইরাবতী নদীতে বাঁধ নির্মাণকাজ বন্ধের নির্দেশ দেয় মিয়ানমার। এতে দুই দেশের সম্পর্ক অপ্রত্যাশিত বাঁকের মুখে পড়ে। বৃহদাকার ওই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অর্থায়ন করছে চীন। পরিবেশবাদীরাসহ সাধারণ মানুষ ওই বাঁধ নির্মাণের বিরোধী। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতিও চোখে পড়ার মতো। সঙ্গে বাড়ছে চীনা অভিবাসন। এসব কারণে চীনের প্রতি বিরূপ মিয়ানমারের জনগণ। বলা হচ্ছে, এই পরিবর্তিত জনমতের চাপেই সরকার বাঁধ নির্মাণ স্থগিত করেছে।

বাণিজ্যই বড় কথা!
রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে মিত্রতা-বৈরিতার একমাত্র নিয়ামক বোধ করি স্বার্থ! মিয়ানমারের সামরিক শাসনে বরাবরই নাখোশ ও ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বব্যাপী 'গণতন্ত্রের ঠিকা' নেওয়া এই দেশটি তাই মিয়ানমারের ওপর অবরোধ আরোপ করে। এখনো তা বলবৎ রয়েছে। অথচ ব্যবসা-বাণিজ্যের যোগাযোগ কিন্তু অক্ষুণ্ন আছে মিয়ানমারের সঙ্গে! প্রাকৃতিক সম্পদে, বিশেষ করে গ্যাস সম্পদে সমৃদ্ধ মিয়ানমারের গ্যাস ক্ষেত্রগুলোর বিরাট অংশে চুটিয়ে ব্যবসা করছে মার্কিন তেল-গ্যাস কম্পানি শেভরন। এর সঙ্গে জড়িত আরেক মার্কিন কম্পানি হ্যালিবার্টন। কাঠ, গাড়ি নির্মাণ ও পর্যটনের মতো বেশ কয়েকটি খাতে ব্রিটিশ কম্পানির ব্যবসা রয়েছে মিয়ানমারে। অস্ত্র বিক্রি তো রয়েছেই। দেশটিতে রয়েছে ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডার একাধিক কম্পানির ব্যবসা। এমনকি ইসরায়েলও এ তালিকায় বাদ নেই।

মিয়ানমার-মার্কিন দূরত্ব
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খুব কমই জানে মার্কিনরা। তাই দেশটির সামরিক সরকারের ব্যাপারে তাদের 'কল্পিত ভয়' রয়েছে। বিপরীতে সম্ভাব্য মার্কিন আগ্রাসনের ব্যাপারে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বরাবরই উদ্বিগ্ন। এ উদ্বেগের বশবর্তী হয়েই ২০০৫ সালে আকস্মিকভাবে ইয়াঙ্গুন থেকে প্রত্যন্ত নেপিডোতে রাজধানী স্থানান্তর করে তারা। এর তিন বছর পর ঘূর্ণিঝড় নার্গিসের আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে দেশটি। প্রাকৃতিক সেই তাণ্ডবে প্রায় এক লাখ ৩৮ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। কিন্তু সেই দুঃসময়েও মার্কিন সহায়তা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে জান্তা সরকার।

কার গলে পরাবে মালা?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগ পর্যন্তও এশিয়াজুড়ে খাদ্যদ্রব্য রপ্তানি করত মিয়ানমার। প্রাকৃতিক গ্যাসসহ বেশ কয়েকটি পণ্যও ছিল তাদের রপ্তানির তালিকায়। সাক্ষরতা ও স্বাস্থ্যখাতেও উল্লেখযোগ্য অবস্থানে ছিল দেশটি। তবে বর্তমানে মানব উন্নয়ন সূচকে বিশ্বের সবচেয়ে নিচের দিকে থাকা দেশের অন্যতম মিয়ানমার। এ পরিস্থিতিতে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণ ঘটাতে সচেষ্ট মিয়ানমার মানবিক পরিস্থিতিসহ সার্বিক উন্নয়ন ঘটাবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
তবে বহির্বিশ্বে মিয়ানমারের 'মিত্ররাষ্ট্রের' তালিকায় কাকে ঠেলে কে জায়গা করে নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

No comments

Powered by Blogger.