২৬ বছর পর কিউইদের নাটকীয় জয়
ক্রিকেট তাহলে এমনই অনিশ্চয়তার এক খেলা, মুহূর্তের মধ্যে যার রঙ পাল্টে যায়! একের সাম্রাজ্য উল্টে ক্রিকেট গড়ে দেয় আরেকজনের সাম্রাজ্য! হোবার্ট টেস্টের দিকে তাকালে ক্রিকেটকে 'গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা' বলতে আপনিও বাধ্য হবেন। 'গৌরবময় অনিশ্চয়তা'র মোড়কে ক্রিকেটকে যে ভদ্রলোকই বন্দি করে থাকুক না কেন, তিনি যে সার্থক, তা আবারও প্রমাণ করল হোবার্ট টেস্ট। ম্যাচটিতে অনিশ্চয়তার মূল কারিগর ছিলেন তরুণ কিউই পেসার ডগ
ব্রেসওয়েল। মাত্র ১৬.৪ ওভার বল করে অসিদের ছয় ব্যাটসম্যানের প্রাণ সংহার করেন তিনি। চরম নাটকীয় ম্যাচটিতে নিউজিল্যান্ড জিতল ৭ রানে। ২৬ বছর অপেক্ষার পর এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল কিউইরা। আর ২৩ বছর পর যে কোনো ভেন্যুতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই প্রথমবারের মতো টেস্ট জিতল ব্ল্যাক ক্যাপসরা। ২ টেস্টের সিরিজ ড্র ১-১ এ।
হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে নিশ্চিত জয়ের ম্যাচটি হারল অস্ট্রেলিয়া। আর নিউজিল্যান্ড! এই টেস্টটিতে একের পর এক থ্রিলার জন্ম দিল তারা। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫০ রানে অল আউট। জবাবে অস্ট্রেলিয়াকে ১৩৬ রানে বেঁধে ফেলে ১৪ রানের লিড। নাটকীয় কিছুর অপেক্ষা তখনও ছিল। তবে এমন নাটকীয় কিছু হবে, তা বোধহয় কেউ কল্পনাই করতে পারেনি। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে কিউইদের প্রতিরোধ ছিল চোখে পড়ার মতো। অসি পেসারদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে দ্বিতীয় দিন শেষে তিন উইকেটে ১৩৯ রান করে কিউই ব্যাটসম্যানরা দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতারই আভাস দিয়েছিলেন; কিন্তু তৃতীয় দিন সকালে শিশির ভেজা উইকেটে পাকা আমের মতো টপাটপ উইকেট পড়ল নিউজিল্যান্ডের। ফল, ২২৬ রানে অল আউট। জয়ের জন্য ২৪১ রানের লক্ষ্য। দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার আর ফিলিপ হিউজেস মিলে ৭২ রান তুলে জানিয়ে দিলেন, টেস্টটি নিশ্চিতভাবে জিততে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় দিন বিকেলে চা বিরতির সময় বৃষ্টি না এলে হয়তো ম্যাচ শেষ করেই ঘরে ফিরতে পারত স্বাগতিকরা। এ বৃষ্টিই হয়তো কাল হয়েছে অসিদের জন্য। তৃতীয় দিন শেষে জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন, ১৬৯ রান। হাতে ছিল পুরো ১০ উইকেট।
চতুর্থ দিন সকালে হোবার্টের শিশির ভেজা উইকেট যে পেসারদের জন্য কত ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে, তা দেখা গেল কাল। শুরুটা করেছিলেন ক্রিস মার্টিন। কিউই এই পেসারের বলে সিরিজে চতুর্থবারের মতো স্লিপে গাপটিলের হাতে ক্যাচ দিলেন ফিলিপ হিউজেস। আগের দিনের সঙ্গে কোনো রান যোগ না করেই ফিরে গেলেন তিনি। অন্য ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়লেন উসমান খাজা। দলের ১২২ রানে ফিরলেন খাজা (২৩)। এরপর ওয়ার্নারের সঙ্গে ৩৭ রানের জুটি গড়েন রিকি পন্টিং। ১৫৯ রানে এসে তৃতীয় উইকেটের পতন হয় অস্ট্রেলিয়ার। তখনও কেউ ভাবেনি যে, ম্যাচটি হেরে যেতে পারে স্বাগতিকরা। কিন্তু এ এক জায়গায় বসিয়ে পন্টিং, ক্লার্ক এবং মাইক হাসি_ তিন ব্যাটিং স্তম্ভের উইকেট তুলে নেন মাত্র তৃতীয় টেস্ট খেলা পেসার ডগ ব্রেসওয়েল। ৩ উইকেটে ১৫৯ থেকে ৫ উইকেটে ১৫৯ রান। সর্বশেষ ৭৪ রানে ৮ উইকেটের পতন ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার। তিন ব্যাটিং স্তম্ভ ছাড়াও প্যাটিনসন, স্টার্ক এবং নাথান লিয়নের উইকেট নেন ব্রেসওয়েল। ১৯৯ রানে ৯ম উইকেট পড়ার পর কিউইদের অপেক্ষা বাড়িয়ে তোলেন ওয়ার্নার আর লিয়ন। ৩৪ রানের জুটি গড়েন এ দু'জন। মাঝে একবার রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান লিয়ন। টেলররা তো জয়ের আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন প্রায়। কিন্তু ৬৫তম ওভারের চতুর্থ বলে লিয়নকে ব্রেসওয়েল বোল্ড করতেই উল্লাসে মাতে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। ৭ রানের ঐতিহাসিক জয়। ১৯৮৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সর্বশেষ টেস্ট জিতেছিল তারা। এর মাঝে কেটে গেছে ২৬টি বছর। তবে কিউই পেসারদের অগি্নগোলা উপেক্ষা করে এক প্রান্তে বুক চিতিয়ে ব্যাট করে গেছেন ওপেনার ওয়ার্নার। ১২৩ রানে অপরাজিত থাকাই তার প্রমাণ। এ সিরিজে অভিষেক হওয়া ওয়ার্নারের প্রথম সেঞ্চুরিও এটি। প্রথম ইনিংসে ৫ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬ রানের পর রিকি পন্টিং দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলে ফেললেন বলেই মনে করা হচ্ছে। ব্যর্থতার জন্য তার মতো সিনিয়র ব্যাটসম্যানও যে দায়ী!
হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে নিশ্চিত জয়ের ম্যাচটি হারল অস্ট্রেলিয়া। আর নিউজিল্যান্ড! এই টেস্টটিতে একের পর এক থ্রিলার জন্ম দিল তারা। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫০ রানে অল আউট। জবাবে অস্ট্রেলিয়াকে ১৩৬ রানে বেঁধে ফেলে ১৪ রানের লিড। নাটকীয় কিছুর অপেক্ষা তখনও ছিল। তবে এমন নাটকীয় কিছু হবে, তা বোধহয় কেউ কল্পনাই করতে পারেনি। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে কিউইদের প্রতিরোধ ছিল চোখে পড়ার মতো। অসি পেসারদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে দ্বিতীয় দিন শেষে তিন উইকেটে ১৩৯ রান করে কিউই ব্যাটসম্যানরা দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতারই আভাস দিয়েছিলেন; কিন্তু তৃতীয় দিন সকালে শিশির ভেজা উইকেটে পাকা আমের মতো টপাটপ উইকেট পড়ল নিউজিল্যান্ডের। ফল, ২২৬ রানে অল আউট। জয়ের জন্য ২৪১ রানের লক্ষ্য। দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার আর ফিলিপ হিউজেস মিলে ৭২ রান তুলে জানিয়ে দিলেন, টেস্টটি নিশ্চিতভাবে জিততে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় দিন বিকেলে চা বিরতির সময় বৃষ্টি না এলে হয়তো ম্যাচ শেষ করেই ঘরে ফিরতে পারত স্বাগতিকরা। এ বৃষ্টিই হয়তো কাল হয়েছে অসিদের জন্য। তৃতীয় দিন শেষে জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন, ১৬৯ রান। হাতে ছিল পুরো ১০ উইকেট।
চতুর্থ দিন সকালে হোবার্টের শিশির ভেজা উইকেট যে পেসারদের জন্য কত ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে, তা দেখা গেল কাল। শুরুটা করেছিলেন ক্রিস মার্টিন। কিউই এই পেসারের বলে সিরিজে চতুর্থবারের মতো স্লিপে গাপটিলের হাতে ক্যাচ দিলেন ফিলিপ হিউজেস। আগের দিনের সঙ্গে কোনো রান যোগ না করেই ফিরে গেলেন তিনি। অন্য ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়লেন উসমান খাজা। দলের ১২২ রানে ফিরলেন খাজা (২৩)। এরপর ওয়ার্নারের সঙ্গে ৩৭ রানের জুটি গড়েন রিকি পন্টিং। ১৫৯ রানে এসে তৃতীয় উইকেটের পতন হয় অস্ট্রেলিয়ার। তখনও কেউ ভাবেনি যে, ম্যাচটি হেরে যেতে পারে স্বাগতিকরা। কিন্তু এ এক জায়গায় বসিয়ে পন্টিং, ক্লার্ক এবং মাইক হাসি_ তিন ব্যাটিং স্তম্ভের উইকেট তুলে নেন মাত্র তৃতীয় টেস্ট খেলা পেসার ডগ ব্রেসওয়েল। ৩ উইকেটে ১৫৯ থেকে ৫ উইকেটে ১৫৯ রান। সর্বশেষ ৭৪ রানে ৮ উইকেটের পতন ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার। তিন ব্যাটিং স্তম্ভ ছাড়াও প্যাটিনসন, স্টার্ক এবং নাথান লিয়নের উইকেট নেন ব্রেসওয়েল। ১৯৯ রানে ৯ম উইকেট পড়ার পর কিউইদের অপেক্ষা বাড়িয়ে তোলেন ওয়ার্নার আর লিয়ন। ৩৪ রানের জুটি গড়েন এ দু'জন। মাঝে একবার রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান লিয়ন। টেলররা তো জয়ের আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন প্রায়। কিন্তু ৬৫তম ওভারের চতুর্থ বলে লিয়নকে ব্রেসওয়েল বোল্ড করতেই উল্লাসে মাতে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। ৭ রানের ঐতিহাসিক জয়। ১৯৮৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সর্বশেষ টেস্ট জিতেছিল তারা। এর মাঝে কেটে গেছে ২৬টি বছর। তবে কিউই পেসারদের অগি্নগোলা উপেক্ষা করে এক প্রান্তে বুক চিতিয়ে ব্যাট করে গেছেন ওপেনার ওয়ার্নার। ১২৩ রানে অপরাজিত থাকাই তার প্রমাণ। এ সিরিজে অভিষেক হওয়া ওয়ার্নারের প্রথম সেঞ্চুরিও এটি। প্রথম ইনিংসে ৫ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬ রানের পর রিকি পন্টিং দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলে ফেললেন বলেই মনে করা হচ্ছে। ব্যর্থতার জন্য তার মতো সিনিয়র ব্যাটসম্যানও যে দায়ী!
No comments