মেয়র লোকমান হত্যাকাণ্ড-মূল হত্যাকারী কিলার শরীফসহ গ্রেপ্তার ৪ by সুমন বর্মণ
নাজমুল হাসান শরীফ ওরফে কিলার শরীফের গুলিতেই নিহত হয়েছেন নরসিংদীর পৌর মেয়র লোকমান হোসেন। নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের ৪০ দিন পর ধরা পড়েছে এই পেশাদার কিলার। আটক করা হয়েছে আরো তিনজনকে। উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশি রিভলবার ও ২২টি তাজা গুলি, হত্যা মিশনে অংশ নেওয়ার সময় পরা কাপড় ও মুখোশ। জেলা পুলিশ সুপার গতকাল সোমবার এ কথা জানিয়েছেন। এদিকে মূল খুনি ধরা পড়ায় স্বস্তি প্রকাশের পাশাপাশি
পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে নিহত লোকমানের পরিবার। গোয়েন্দা পুলিশ রবিবার রাত থেকে গতকাল ভোর পর্যন্ত ঢাকা, গাজীপুর ও নরসিংদীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে এই চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর লোকমান হত্যাকাণ্ডে এ পর্যন্ত মোট ১২ জনকে আটক করা হলো। তাদের মধ্যে হত্যা মামলায় ১০ জন ও অস্ত্র মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সর্বশেষ গ্রেপ্তারকৃতরা হলো_নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার নোয়াদিয়া গ্রামের নাজমুল হাসান শরীফ ওরফে কিলার শরীফ, সদর উপজেলার পুরানপাড়া গ্রামের আওলাদ হোসেন, ঘুষপাড়া গ্রামের সরোয়ার হোসেন ও ঘোড়াদিয়া চকপাড়া গ্রামের মীর দেলোয়ার হোসেন শরীফ।
পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন দাবি করেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নাজমুল হাসান পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে সে মেয়র লোকমানকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে। সে একজন পেশাদার খুনি। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও অস্ত্রসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
যেভাবে ধরা পড়ল শরীফ
পুলিশ সুপার গতকাল দুপুরে তাঁর কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এ সময় লোকমান হত্যাসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেওয়ার পাশাপাশি তিনি উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলিসহ অন্য জিনিসপত্র সাংবাদিকদের দেখান। পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মেয়র লোকমান হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে নাজমুল হাসান শরীফ ওরফে কিলার শরীফের গুলিতে মেয়র লোকমান হোসেন নিহত হন। কিন্তু ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করায় তাকে গ্রেপ্তারে বিলম্ব হয়। সর্বশেষ রবিবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশ নিশ্চিত হয় যে কিলার শরীফ ঢাকার খিলগাঁও থানার নন্দিপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। এর ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ নন্দিপাড়ায় অভিযান চালিয়ে কিলার শরীফ ও আওলাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতেই গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে সরোয়ার হোসেন ও ভোরে নরসিংদী সদরের ঘোড়াদিয়া চকপাড়া থেকে মীর দেলোয়ার হোসেন শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় মীর দেলোয়ারের কাছ থেকে পুলিশ একটি বিদেশি রিভলবার ও ২২ রাউন্ড তাজা গুলি, হত্যা মিশনে অংশ নেওয়ার সময় কিলার শরীফের পরা কাপড় ও মুখোশ উদ্ধার করে।
পুলিশ সুপার মহিদ উদ্দিন জানান, উদ্ধারকৃত রিভালবারটি জার্মানির তৈরি পয়েন্ট থ্রি টু মডেলের। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, এই সেই রিভালবার, যেটি থেকে মেয়র লোকমানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছে। রিভালবারের চেম্বারে সাত রাউন্ড গুলি থাকে। খুনি পরপর গুলি ছুড়তে ছুড়তে চেম্বার খালি করে ফেলে। এর মধ্যে লোকমানের শরীরে পাঁচটি গুলি বিদ্ধ হয়। বাকি দুটি গুলি ফাঁকা ছোড়া হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি কার সে ব্যাপারে পুলিশ কোনো তথ্য দেয়নি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের জবানবন্দি ও তথ্য মতে এজাহারভুক্ত ও এজাহারের বাইরে অনেকের নাম এসেছে। তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা যাবে না।
খুনির জবানিতে হত্যাকাণ্ড
শরীফ পুলিশকে জানায়, সদর সড়কের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঢুকে সে মেয়র লোকমান হোসেনকে লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি চালায়। গুলি খেয়েও বসা অবস্থা থেকে লোকমান উঠে দাঁড়ান। এর পরই তাঁকে আরো চারটি গুলি করা হয়।
কিলার শরীফ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে সদরের ঘোষপাড়া এলাকার সরোয়ার হোসেনের বাড়িতে যায়। সে রিভলবার ও গুলি সরোয়ারের কাছে রেখে কাপড় পরিবর্তন করে রাতেই নরসিংদী ত্যাগ করে। সরোয়ার পরে রিভলবারটি ঘোড়াদিয়ার মীর দেলোয়ারের কাছে বিক্রি করে দেয়।
ভয়ংকর কিলার এই শরীফ
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নরসিংদী গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ বলেন, কিলার শরীফের বাড়ি শিবপুরের নোয়াদিয়ায় হলেও সে নরসিংদী শহরের বীরপুর এলাকায় থাকে। সে একজন পেশাদার খুনি। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী কিলার শরীফের বিরুদ্ধে ছয়টি হত্যা মামলা রয়েছে। এর মধ্যে শিবপুরের মুক্তিযোদ্ধা জসিম হত্যা, একই উপজেলার ইউসুফ হত্যা, নরসিংদী শহরের বীরপুরের এমদাদ হত্যা, ব্রাহ্মণদির ইসমাইল হত্যা অন্যতম। অস্ত্র ও বিভিন্ন আইনে আরো একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নাজমুল হাসান শরীফ ওরফে কিলার শরীফ, আওলাদ হোসেন ও সরোয়ার হোসেনকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্য গ্রেপ্তারকৃত মীর দেলোয়ার হোসেনকে অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাদের আজ মঙ্গলবার নরসিংদীর আদালতে তুলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
নিহতের পরিবারের প্রতিক্রিয়া
মামলার বাদী ও নিহতের ছোট ভাই কামরুজ্জামান গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'খুনিকে গ্রেপ্তারের সংবাদে আমরা মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সন্তুষ্ট। তবে পরিকল্পনাকারীরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। কারণ হত্যাকারীদের সঙ্গে আমার ভাইয়ের কোনো শত্রুতা ছিল না। তারা টাকার বিনিময়ে এ কাজ করেছে। তাদের যারা ব্যবহার করেছে সেই পরিকল্পনাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার দেখতে চায় নরসিংদীবাসী।'
প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নরসিংদীর পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর ছোট ভাই সালাহউদ্দিন আহমেদ ওরফে বাচ্চুকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো ছয়-সাতজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে দুজন ছাড়া অন্যরা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন দাবি করেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নাজমুল হাসান পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে সে মেয়র লোকমানকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে। সে একজন পেশাদার খুনি। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও অস্ত্রসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
যেভাবে ধরা পড়ল শরীফ
পুলিশ সুপার গতকাল দুপুরে তাঁর কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এ সময় লোকমান হত্যাসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেওয়ার পাশাপাশি তিনি উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলিসহ অন্য জিনিসপত্র সাংবাদিকদের দেখান। পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মেয়র লোকমান হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে নাজমুল হাসান শরীফ ওরফে কিলার শরীফের গুলিতে মেয়র লোকমান হোসেন নিহত হন। কিন্তু ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করায় তাকে গ্রেপ্তারে বিলম্ব হয়। সর্বশেষ রবিবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশ নিশ্চিত হয় যে কিলার শরীফ ঢাকার খিলগাঁও থানার নন্দিপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। এর ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ নন্দিপাড়ায় অভিযান চালিয়ে কিলার শরীফ ও আওলাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতেই গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে সরোয়ার হোসেন ও ভোরে নরসিংদী সদরের ঘোড়াদিয়া চকপাড়া থেকে মীর দেলোয়ার হোসেন শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় মীর দেলোয়ারের কাছ থেকে পুলিশ একটি বিদেশি রিভলবার ও ২২ রাউন্ড তাজা গুলি, হত্যা মিশনে অংশ নেওয়ার সময় কিলার শরীফের পরা কাপড় ও মুখোশ উদ্ধার করে।
পুলিশ সুপার মহিদ উদ্দিন জানান, উদ্ধারকৃত রিভালবারটি জার্মানির তৈরি পয়েন্ট থ্রি টু মডেলের। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, এই সেই রিভালবার, যেটি থেকে মেয়র লোকমানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছে। রিভালবারের চেম্বারে সাত রাউন্ড গুলি থাকে। খুনি পরপর গুলি ছুড়তে ছুড়তে চেম্বার খালি করে ফেলে। এর মধ্যে লোকমানের শরীরে পাঁচটি গুলি বিদ্ধ হয়। বাকি দুটি গুলি ফাঁকা ছোড়া হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি কার সে ব্যাপারে পুলিশ কোনো তথ্য দেয়নি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের জবানবন্দি ও তথ্য মতে এজাহারভুক্ত ও এজাহারের বাইরে অনেকের নাম এসেছে। তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা যাবে না।
খুনির জবানিতে হত্যাকাণ্ড
শরীফ পুলিশকে জানায়, সদর সড়কের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঢুকে সে মেয়র লোকমান হোসেনকে লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি চালায়। গুলি খেয়েও বসা অবস্থা থেকে লোকমান উঠে দাঁড়ান। এর পরই তাঁকে আরো চারটি গুলি করা হয়।
কিলার শরীফ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে সদরের ঘোষপাড়া এলাকার সরোয়ার হোসেনের বাড়িতে যায়। সে রিভলবার ও গুলি সরোয়ারের কাছে রেখে কাপড় পরিবর্তন করে রাতেই নরসিংদী ত্যাগ করে। সরোয়ার পরে রিভলবারটি ঘোড়াদিয়ার মীর দেলোয়ারের কাছে বিক্রি করে দেয়।
ভয়ংকর কিলার এই শরীফ
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নরসিংদী গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ বলেন, কিলার শরীফের বাড়ি শিবপুরের নোয়াদিয়ায় হলেও সে নরসিংদী শহরের বীরপুর এলাকায় থাকে। সে একজন পেশাদার খুনি। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী কিলার শরীফের বিরুদ্ধে ছয়টি হত্যা মামলা রয়েছে। এর মধ্যে শিবপুরের মুক্তিযোদ্ধা জসিম হত্যা, একই উপজেলার ইউসুফ হত্যা, নরসিংদী শহরের বীরপুরের এমদাদ হত্যা, ব্রাহ্মণদির ইসমাইল হত্যা অন্যতম। অস্ত্র ও বিভিন্ন আইনে আরো একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নাজমুল হাসান শরীফ ওরফে কিলার শরীফ, আওলাদ হোসেন ও সরোয়ার হোসেনকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্য গ্রেপ্তারকৃত মীর দেলোয়ার হোসেনকে অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাদের আজ মঙ্গলবার নরসিংদীর আদালতে তুলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
নিহতের পরিবারের প্রতিক্রিয়া
মামলার বাদী ও নিহতের ছোট ভাই কামরুজ্জামান গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'খুনিকে গ্রেপ্তারের সংবাদে আমরা মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সন্তুষ্ট। তবে পরিকল্পনাকারীরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। কারণ হত্যাকারীদের সঙ্গে আমার ভাইয়ের কোনো শত্রুতা ছিল না। তারা টাকার বিনিময়ে এ কাজ করেছে। তাদের যারা ব্যবহার করেছে সেই পরিকল্পনাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার দেখতে চায় নরসিংদীবাসী।'
প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নরসিংদীর পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর ছোট ভাই সালাহউদ্দিন আহমেদ ওরফে বাচ্চুকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো ছয়-সাতজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে দুজন ছাড়া অন্যরা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
No comments