অভিষেকেই উজ্জ্বল নাজিমউদ্দিন by রুবেল খান
টেস্ট ক্রিকেটে নিজের যাত্রাটা বেশ ভালোভাবেই শুরু করলেন ওপেনার নাজিমউদ্দিন। নিজ শহর চট্টগ্রামের মাটিতে নিজের অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে দলের চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের সময় ৩১ রানের একটি মূল্যবান ইনিংস খেলেন। ভুল আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়ে ওই ইনিংসটি আর লম্বা করতে পারেননি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ৯টি বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কায় সাজানো ৭৮ রানের এক ঝলমলে ইনিংস খেলেছেন তিনি। অভিষেক সেঞ্চুরিটাও হয়ে যেতে পারত;
কিন্তু পাকিস্তানি স্পিনার আবদুর রেহমানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ২২ রান আগেই ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন। তবে যেভাবে ব্যাট হাতে স্বচ্ছন্দে খেলছিলেন নাজিম, তাতে আরেকটু ধৈর্য ধরলেই ঘরের মাঠে সেঞ্চুরিটা পেয়ে যেতে পারতেন। তাই সেঞ্চুরি না পাওয়ার একটা আফসোস থেকেই গেল। অবশ্য এ নিয়ে আফসোস করছেন না নাজিম। 'সেঞ্চুরিটা হলে ভালো হতো। হয়নি। এ নিয়ে আফসোস নেই আমার। প্রথম স্বপ্ন ছিল টেস্ট খেলব, সেটি হয়েছে। ভালো একটা শুরু করার ইচ্ছে ছিল। সেটা করতে পেরে আমি খুশি।'
সেঞ্চুরিটা না পেলেও অভিষেক টেস্টেই দারুণ উজ্জ্বল নাজিমউদ্দিনের পারফরম্যান্স। নিজের সামর্থ্য, ব্যাটিং স্টাইল, মনোবল, ফুটওয়ার্ক ও কব্জির জোর_ সবই ফুটে উঠেছে তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে। আবদুর রেহমান ও সাঈদ আজমলের বলে দুটি বিশাল ছক্কাসহ দৃষ্টিনন্দন দারুণ কিছু শটও খেলেছেন। এভাবে অভিষেক ম্যাচেই সাবলীল ব্যাট করে জানিয়ে দিলেন, টেস্ট ক্রিকেটেও বেশ ফিট তিনি। অথচ মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবেই ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশি পরিচিত চট্টগ্রামের ছেলে নাজিমউদ্দিন। এ কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও শুরু হয়েছে তার টি২০ ম্যাচ দিয়ে। সেখানেও অভিষেক ম্যাচেই জ্বলে ওঠেন নাজিম। ২০০৭ সালে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে নিজের প্রথম টি২০ ম্যাচে ৪৩ রানের একটি ইনিংস খেলেন। পরের ম্যাচে আরও উজ্জ্বল ছিল তার পারফরম্যান্স। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচে মাত্র ৫০ বলেই ৮১ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলেন। তাতে ছিল ৮টি বাউন্ডারি ও ৫টি ছক্কার মার। এক বছর পর ২০০৮ সালে ওয়ানডেতে নাজিমের অভিষেক হলেও টেস্টে অভিষেক হলো আরও তিন বছর পর। অভিষেক টেস্টের অনুভূতির কথা উল্লেখ করে নাজিম বলেন, 'একটু নার্ভাস ছিলাম। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ রান করার পর এক্সাইটেড ছিলাম। তাই ওই শট খেলতে গিয়েছিলাম। আরেকটু দেখেশুনে খেলতে পারলে ইনিংসটা আরও লম্বা হতো। তাতে দলের এবং নিজের জন্যও ভালো হতো। সেঞ্চুরিটাও পেয়ে যেতাম।'
টেস্টে নাজিমের ভালো করার মূল কারণ, ৮১টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা। ২০০১ সাল থেকে প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলছেন নাজিম। প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি, ১০টি সেঞ্চুরি ও ২৯টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তার। ৩৮ দশমিক ৯০ ব্যাটিং গড়ে মোট রান ৫১৩৫। প্রথম শ্রেণীর ম্যাচের এই দীর্ঘ অভিজ্ঞতাই টেস্টে কাজে লাগিয়েছেন নাজিম। 'অনেক দিন ধরে প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলে আসছি। সে অভিজ্ঞতা টেস্টে বেশ কাজে লেগেছে। আসলে যত বেশি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলা যায়, ততই ভালো।' ওপেনিংয়ে ব্যাট করলেও দলের প্রয়োজনে যে কোনো পজিশনে ব্যাট করতে সমস্যা নেই তার। 'আমার মূল জায়গা ওপেনিং। সেখানেই স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করি। তবে দলের স্বার্থে যে কোনো পজিশনেই ব্যাট করতে পারব।' দেশের হয়ে ৬৩তম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্যাপ পড়লেও চট্টগ্রামের পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট অভিষেক হলো নাজিমের। অভিষেকের এ ভালো পারফরম্যান্স ধরে রেখে সামনে এগোতে চান তিনি। 'অনেকেই শুরুতে ভালো করেন, পরে হারিয়ে যান। আমি ওভাবে হারিয়ে যেতে চাই না। দেশের এবং নিজের জন্য ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করে যেতে চাই।'
সেঞ্চুরিটা না পেলেও অভিষেক টেস্টেই দারুণ উজ্জ্বল নাজিমউদ্দিনের পারফরম্যান্স। নিজের সামর্থ্য, ব্যাটিং স্টাইল, মনোবল, ফুটওয়ার্ক ও কব্জির জোর_ সবই ফুটে উঠেছে তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে। আবদুর রেহমান ও সাঈদ আজমলের বলে দুটি বিশাল ছক্কাসহ দৃষ্টিনন্দন দারুণ কিছু শটও খেলেছেন। এভাবে অভিষেক ম্যাচেই সাবলীল ব্যাট করে জানিয়ে দিলেন, টেস্ট ক্রিকেটেও বেশ ফিট তিনি। অথচ মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবেই ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশি পরিচিত চট্টগ্রামের ছেলে নাজিমউদ্দিন। এ কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও শুরু হয়েছে তার টি২০ ম্যাচ দিয়ে। সেখানেও অভিষেক ম্যাচেই জ্বলে ওঠেন নাজিম। ২০০৭ সালে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে নিজের প্রথম টি২০ ম্যাচে ৪৩ রানের একটি ইনিংস খেলেন। পরের ম্যাচে আরও উজ্জ্বল ছিল তার পারফরম্যান্স। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচে মাত্র ৫০ বলেই ৮১ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলেন। তাতে ছিল ৮টি বাউন্ডারি ও ৫টি ছক্কার মার। এক বছর পর ২০০৮ সালে ওয়ানডেতে নাজিমের অভিষেক হলেও টেস্টে অভিষেক হলো আরও তিন বছর পর। অভিষেক টেস্টের অনুভূতির কথা উল্লেখ করে নাজিম বলেন, 'একটু নার্ভাস ছিলাম। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ রান করার পর এক্সাইটেড ছিলাম। তাই ওই শট খেলতে গিয়েছিলাম। আরেকটু দেখেশুনে খেলতে পারলে ইনিংসটা আরও লম্বা হতো। তাতে দলের এবং নিজের জন্যও ভালো হতো। সেঞ্চুরিটাও পেয়ে যেতাম।'
টেস্টে নাজিমের ভালো করার মূল কারণ, ৮১টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা। ২০০১ সাল থেকে প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলছেন নাজিম। প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি, ১০টি সেঞ্চুরি ও ২৯টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তার। ৩৮ দশমিক ৯০ ব্যাটিং গড়ে মোট রান ৫১৩৫। প্রথম শ্রেণীর ম্যাচের এই দীর্ঘ অভিজ্ঞতাই টেস্টে কাজে লাগিয়েছেন নাজিম। 'অনেক দিন ধরে প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলে আসছি। সে অভিজ্ঞতা টেস্টে বেশ কাজে লেগেছে। আসলে যত বেশি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলা যায়, ততই ভালো।' ওপেনিংয়ে ব্যাট করলেও দলের প্রয়োজনে যে কোনো পজিশনে ব্যাট করতে সমস্যা নেই তার। 'আমার মূল জায়গা ওপেনিং। সেখানেই স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করি। তবে দলের স্বার্থে যে কোনো পজিশনেই ব্যাট করতে পারব।' দেশের হয়ে ৬৩তম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্যাপ পড়লেও চট্টগ্রামের পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট অভিষেক হলো নাজিমের। অভিষেকের এ ভালো পারফরম্যান্স ধরে রেখে সামনে এগোতে চান তিনি। 'অনেকেই শুরুতে ভালো করেন, পরে হারিয়ে যান। আমি ওভাবে হারিয়ে যেতে চাই না। দেশের এবং নিজের জন্য ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করে যেতে চাই।'
No comments