কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন-সাক্কুকে জয়ী করতে ঢাকায় পক্ষের নেতাদের বৈঠক-দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মনিরুল হক সাক্কুকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ কথা জানানো হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে ওই চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে দলের ভেতর কোন্দল, সংঘাত ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকলাপের জন্য বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মনিরুল হককে অব্যাহতি


দেওয়ার কথা বলা হয়। গত বৃহস্পতিবার মনিরুল হক নিজেই দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে চিঠি দেন।
দল থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে মনিরুল হক সাক্কু সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি আগেই দল থেকে অব্যাহতি চেয়েছি। আমাকে দল অব্যাহতি দিয়েছে। কুমিল্লার জনগণ আমার পক্ষে। জনগণের চাপে তাদের অনুরোধে আমি নির্বাচন করছি। তারাই আমার অভিভাবক।'
এদিকে গতকাল বিকেলে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফুর ভূঁইয়ার ধানমণ্ডির বাসায় দলের কুমিল্লা জেলা শাখার শীর্ষ নেতারা বৈঠক করেন। চার ঘণ্টার ওই বৈঠকে মনিরুল হককে বিজয়ী করার লক্ষ্যে কাজ করতে ঐকমত্যে পেঁৗছার পাশাপাশি নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে দলের একটি সূত্র জানিয়েছে।
বৈঠকে বিএনপির পল্লী উন্নয়ন সম্পাদক মনিরুল হক চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আসিফ আকবর, লাকসাম উপজেলা চেয়ারম্যান মজির আহমেদ, জেলা বিএনপির সহসভাপতি কাজী নাসিমুল হক, নাজমুস সাদাত, কাইমুল হক রিংকু, মনিরুল হকের স্ত্রী আফরোজা জেসমিন টিকলি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের সত্যতা স্বীকার করে কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মনিরুল হককে আমরা নৈতিকভাবে সমর্থন দিয়েছি। আমরা তাঁকে বিজয়ী করতে যা যা করা দরকার, তা করব।'
কার্যকরভাবে নির্বাচন বর্জনের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি_এ অভিযোগ করে বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, 'কুমিল্লায় দলের সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা নেতারা সেখানে বিএনপিকে অস্তিত্বের সংকটে ফেলে দিয়েছেন। জেলা কমিটি প্রত্যেক ওয়ার্ডে দলের নেতাদের প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। দলের ৩৬ জন প্রার্থী আছে তাঁদের। আমি বিষয়টি সভানেত্রীকে জানিয়েছি।'
মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, 'যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন তাঁদের কেউ কি ডেকে বলেছেন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন, আন্দোলন করেন। দলের কোনো সভা হয়নি। জেলা কমিটি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন বর্জনের জন্য কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে।'
সাবেক এ সংসদ সদস্য দাবি করেন, জেলা কমিটির সভাপতি রাবেয়া চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আমিন-উর রশিদ ইয়াছিন দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
আগামী ৫ জানুয়ারি কুমিল্লা সিটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে। এর আগে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে।

No comments

Powered by Blogger.