কার ব্যথা, কে কাঁদে by আসিফ আহমেদ
পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেনকে পঞ্চগড়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে পঞ্চগড় জেলা ছাত্রলীগ। রোববার জেলা ছাত্রলীগ নেতারা এক সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন : মন্ত্রী পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ মজাহরুল হক প্রধান সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন এবং অপমান করেছেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের। এ সংবাদ সম্মেলনেই জানানো হয়, ছাত্রলীগ নেতারা ঢাকায় মন্ত্রীর বাসভবনে তার সঙ্গে দেখা করেন এবং সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা
করেন। এ সময় তারা মন্ত্রীকে পঞ্চগড়ে সফরের আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু তাতে মন্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং সংসদ সদস্য সম্পর্কে কটূক্তি করেন।
প্রশ্ন উঠতেই পারে_ মন্ত্রী কটূক্তি করেছেন একজন দলীয় সংসদ সদস্য সম্পর্কে, যিনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ করেন। এতে যদি তার মান-সম্মানে আঘাত লাগে তাহলে তিনি প্রতিবাদ করতে পারেন। তার দল আওয়ামী লীগও প্রতিবাদ করতে পারে। কিন্তু ছাত্রলীগকে কী এমন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে? নাকি তারাই স্বেচ্ছায় এ দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে? এ বিষয়ে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কী বলেন, সেটা জানার ইচ্ছা থাকল। পঞ্চগড় জেলার ছাত্রলীগ নেতারা পানিসম্পদমন্ত্রীর সঙ্গে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কী আলোচনা করেছেন সেটাও জানার ইচ্ছা থাকল।
মন্ত্রী হিসেবে রমেশ চন্দ্র সেন কতটা সফল, সেটা দেশবাসী জানে বলে মনে হয় না। তার মন্ত্রণালয় নদ-নদী প্রধান বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অনেক নদী শুকিয়ে গেছে বা যাচ্ছে। খাল ও অন্যান্য জলাভূমিতেও মিলছে না পানি। অন্যদিকে বর্ষা ও উজান থেকে নেমে আসা পানি বন্যার সৃষ্টি করে দ্রুত চলে যায় সাগরে। এ অবস্থায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাজ অনেক। কিন্তু তিনি সেটা সঠিকভাবে বলছেন বলে মনে হয় না। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে পানির এক ধরনের সমস্যা, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সমস্যা ভিন্ন। তিনি গোটা দেশের এ সমস্যা সম্পর্কে অবহিত বলেও মনে হয় না। পানি সমস্যা সম্পর্কে তিনি বিশেষজ্ঞ, এমন সনদ কেউ তাকে দেবেন কি? এর অপেক্ষায় থাকা যেতে পারে।
তবে তার মন্ত্রণালয়ের বাজেটের আকার কিন্তু মোটামুটি বড়। সরকার ড্রেজিংয়ের জন্য বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ লক্ষ্য_ নাব্যতা বাড়ানো এবং সেচের সুবিধা সম্প্রসারণ। মাছ চাষের জন্যও চাই নদীতে অঢেল পানি। তবে আমাদের দেশে 'পানিতে টাকা ঢালা' বলে একটা কথা চালু আছে। নদ-নদী ও খাল সংস্কারের নামে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় যে অর্থ বরাদ্দ করে তার উল্লেখযোগ্য অংশ লুটপাট হয়ে যায়। পানির নিচে কে আর দেখতে যায়, বলুন? বর্তমান পানিসম্পদমন্ত্রী তা ঠেকাতে পেরেছেন কি? নাকি তার আমলে এটা বেড়েছে?
তবে শোনা যায়, পঞ্চগড় ও আশপাশের এলাকায় প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার কাজের টেন্ডার হওয়ার কথা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। পঞ্চগড়ের ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা সে কাজ বাগিয়ে নেওয়ার জন্যই গিয়েছিলেন মন্ত্রীর বাসভবনে। আর তা পাওয়ার প্রয়োজনীয় আশ্বাস না পেয়েই তাদের গোসা। মন্ত্রী কি তাদের শান্ত করার চেষ্টা করবেন?
আওয়ামী লীগ সরকারের একজন মন্ত্রীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে তার নিজের জেলা সংলগ্ন জেলায়। দেখা যাক, তাকে পঞ্চগড়ে যেতে না দিতে পাবলিক নামে কি-না। তারা না নামলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও মাঠে নামতে পারে। আবার এটাও হতে পারে যে, তারা কিছু ভাড়াটেকে পাহারায় বসাতে পারে। এ জন্য কিছু খরচা হতেই পারে এবং তা আদায়ের জন্য সরকারি কাজের টেন্ডার আছে যে। যে সংসদ সদস্যের অপমানে তারা কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন, তিনি নিশ্চয়ই এর ব্যবস্থা করে দেবেন। কিন্তু তিনি কি এটা ভেবে দেখেছেন যে যারা তার হয়ে লড়ছে তারা তাকে এবং তার দলকেও ডোবানোর পথে চলেছে?
প্রশ্ন উঠতেই পারে_ মন্ত্রী কটূক্তি করেছেন একজন দলীয় সংসদ সদস্য সম্পর্কে, যিনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ করেন। এতে যদি তার মান-সম্মানে আঘাত লাগে তাহলে তিনি প্রতিবাদ করতে পারেন। তার দল আওয়ামী লীগও প্রতিবাদ করতে পারে। কিন্তু ছাত্রলীগকে কী এমন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে? নাকি তারাই স্বেচ্ছায় এ দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে? এ বিষয়ে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কী বলেন, সেটা জানার ইচ্ছা থাকল। পঞ্চগড় জেলার ছাত্রলীগ নেতারা পানিসম্পদমন্ত্রীর সঙ্গে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কী আলোচনা করেছেন সেটাও জানার ইচ্ছা থাকল।
মন্ত্রী হিসেবে রমেশ চন্দ্র সেন কতটা সফল, সেটা দেশবাসী জানে বলে মনে হয় না। তার মন্ত্রণালয় নদ-নদী প্রধান বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অনেক নদী শুকিয়ে গেছে বা যাচ্ছে। খাল ও অন্যান্য জলাভূমিতেও মিলছে না পানি। অন্যদিকে বর্ষা ও উজান থেকে নেমে আসা পানি বন্যার সৃষ্টি করে দ্রুত চলে যায় সাগরে। এ অবস্থায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাজ অনেক। কিন্তু তিনি সেটা সঠিকভাবে বলছেন বলে মনে হয় না। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে পানির এক ধরনের সমস্যা, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সমস্যা ভিন্ন। তিনি গোটা দেশের এ সমস্যা সম্পর্কে অবহিত বলেও মনে হয় না। পানি সমস্যা সম্পর্কে তিনি বিশেষজ্ঞ, এমন সনদ কেউ তাকে দেবেন কি? এর অপেক্ষায় থাকা যেতে পারে।
তবে তার মন্ত্রণালয়ের বাজেটের আকার কিন্তু মোটামুটি বড়। সরকার ড্রেজিংয়ের জন্য বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ লক্ষ্য_ নাব্যতা বাড়ানো এবং সেচের সুবিধা সম্প্রসারণ। মাছ চাষের জন্যও চাই নদীতে অঢেল পানি। তবে আমাদের দেশে 'পানিতে টাকা ঢালা' বলে একটা কথা চালু আছে। নদ-নদী ও খাল সংস্কারের নামে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় যে অর্থ বরাদ্দ করে তার উল্লেখযোগ্য অংশ লুটপাট হয়ে যায়। পানির নিচে কে আর দেখতে যায়, বলুন? বর্তমান পানিসম্পদমন্ত্রী তা ঠেকাতে পেরেছেন কি? নাকি তার আমলে এটা বেড়েছে?
তবে শোনা যায়, পঞ্চগড় ও আশপাশের এলাকায় প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার কাজের টেন্ডার হওয়ার কথা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। পঞ্চগড়ের ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা সে কাজ বাগিয়ে নেওয়ার জন্যই গিয়েছিলেন মন্ত্রীর বাসভবনে। আর তা পাওয়ার প্রয়োজনীয় আশ্বাস না পেয়েই তাদের গোসা। মন্ত্রী কি তাদের শান্ত করার চেষ্টা করবেন?
আওয়ামী লীগ সরকারের একজন মন্ত্রীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে তার নিজের জেলা সংলগ্ন জেলায়। দেখা যাক, তাকে পঞ্চগড়ে যেতে না দিতে পাবলিক নামে কি-না। তারা না নামলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও মাঠে নামতে পারে। আবার এটাও হতে পারে যে, তারা কিছু ভাড়াটেকে পাহারায় বসাতে পারে। এ জন্য কিছু খরচা হতেই পারে এবং তা আদায়ের জন্য সরকারি কাজের টেন্ডার আছে যে। যে সংসদ সদস্যের অপমানে তারা কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন, তিনি নিশ্চয়ই এর ব্যবস্থা করে দেবেন। কিন্তু তিনি কি এটা ভেবে দেখেছেন যে যারা তার হয়ে লড়ছে তারা তাকে এবং তার দলকেও ডোবানোর পথে চলেছে?
No comments