যত বেশি খেলা, তত বেশি ভুল! by সারোয়ার সুমন
ভারত, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে ২০১০ সালে মোট ৭টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। এসব টেস্টে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা সেঞ্চুরি পেয়েছে সাতটি। কিন্তু এ বছর এরই মধ্যে চারটি টেস্ট খেলা হয়ে গেলেও বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান দেখা পাননি সেঞ্চুরির। এ বছর বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান ৮৩। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটি আসে তামিমের ব্যাট থেকে। অথচ গত বছর বাংলাদেশের এ তামিমই সর্বোচ্চ ১৫১ রানসহ একাই করেন
তিনটি টেস্ট সেঞ্চুরি। তার ১০৮ ও ১০৩ রানের অন্য দুটি টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। অন্যদের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাহমুদুল্লাহ ১১৫, ইংল্যান্ডের সঙ্গে জুনায়েদ ১০৬, ভারতের বিপক্ষে মুশফিক ১০১ ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সাকিব করেন ১০০ রান।
ম্যাচের সংখ্যা বাড়লেই যে রানের সংখ্যা বাড়ে না_ তা বোঝা যায় পার্টনারশিপ রেকর্ডের তুলনামূলক বিশ্লেষণ দেখেও। যেমন গত বছর ৭টি টেস্টে বাংলাদেশ শতরানের পার্টনারশিপ করেছে আটবার। অথচ এ বছর টাইগারদের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ হয়েছে ৮৮ রানের! আবার ২০১০ সালে প্রথম, দ্বিতীয়, সপ্তম ও অষ্টম উইকেট জুটিতে রেকর্ড পরিমাণ রান সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। ভারতের বিপক্ষে তামিম ও জুনায়েদের দ্বিতীয় উইকেট জুিটতে তোলা ২০০ রান, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম উইকেট জুটিতে তামিম ও ইমরুলের নেওয়া ১৮৫ রান, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সপ্তম উইকেটে সাকিব ও মাহমুদুল্লাহর নেওয়া ১৪৫ রান এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অষ্টম উইকেট জুটিতে মুশফিক ও নাঈমের তোলা ১১৩ রান এখনও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান হিসেবে দেখাচ্ছে ক্রিকইনফো।
আসলে যত বেশি টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ, তত বেশি বাড়ছে তাদের ব্যর্থতার হার। তাই তো গত বছর এক ইনিংসে যে দল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪১৯ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪০৮ রান করেছিল, এ বছর তারা চার টেস্টের কোনটিতেই চার শতাধিক রানের দেখা পায়নি। এ বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কেবল একটি ইনিংসে তিন শতাধিক রান (৩৫০/৯) তুলতে পেরেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। অথচ গত বছর তিন শতাধিক রানের ইনিংস ছিল চারটি!
কেউ নাকি দেখে শিখে, কেউ ঠেকে; কিন্তু মুশফিকরা শিখছেন না কোনোটিতেই। তাই তো চট্টগ্রামের যে উইকেটে পাকিস্তানিরা ২৫৯ কিংবা ১৬৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ার রেকর্ড করল, সে উইকেটেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি হয় ৭৮ রানের! এসব কারণে ১০ বছরে ৭২টি টেস্ট খেলেও বাংলাদেশ জয়ী ম্যাচ মাত্র তিনটি। বৃষ্টিসহ নানাবিধ কারণে ড্র হয়েছে সাতটি টেস্ট। সব মিলিয়ে খেলা ম্যাচের ৮৬ শতাংশেরও বেশি টেস্টে হেরেছেন মুশফিকরা। টেস্ট ক্রিকেটের কালো তালিকায় তাই সবার ওপরে আছে বাংলাদেশের নাম!
ম্যাচের সংখ্যা বাড়লেই যে রানের সংখ্যা বাড়ে না_ তা বোঝা যায় পার্টনারশিপ রেকর্ডের তুলনামূলক বিশ্লেষণ দেখেও। যেমন গত বছর ৭টি টেস্টে বাংলাদেশ শতরানের পার্টনারশিপ করেছে আটবার। অথচ এ বছর টাইগারদের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ হয়েছে ৮৮ রানের! আবার ২০১০ সালে প্রথম, দ্বিতীয়, সপ্তম ও অষ্টম উইকেট জুটিতে রেকর্ড পরিমাণ রান সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। ভারতের বিপক্ষে তামিম ও জুনায়েদের দ্বিতীয় উইকেট জুিটতে তোলা ২০০ রান, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম উইকেট জুটিতে তামিম ও ইমরুলের নেওয়া ১৮৫ রান, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সপ্তম উইকেটে সাকিব ও মাহমুদুল্লাহর নেওয়া ১৪৫ রান এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অষ্টম উইকেট জুটিতে মুশফিক ও নাঈমের তোলা ১১৩ রান এখনও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান হিসেবে দেখাচ্ছে ক্রিকইনফো।
আসলে যত বেশি টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ, তত বেশি বাড়ছে তাদের ব্যর্থতার হার। তাই তো গত বছর এক ইনিংসে যে দল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪১৯ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪০৮ রান করেছিল, এ বছর তারা চার টেস্টের কোনটিতেই চার শতাধিক রানের দেখা পায়নি। এ বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কেবল একটি ইনিংসে তিন শতাধিক রান (৩৫০/৯) তুলতে পেরেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। অথচ গত বছর তিন শতাধিক রানের ইনিংস ছিল চারটি!
কেউ নাকি দেখে শিখে, কেউ ঠেকে; কিন্তু মুশফিকরা শিখছেন না কোনোটিতেই। তাই তো চট্টগ্রামের যে উইকেটে পাকিস্তানিরা ২৫৯ কিংবা ১৬৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ার রেকর্ড করল, সে উইকেটেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি হয় ৭৮ রানের! এসব কারণে ১০ বছরে ৭২টি টেস্ট খেলেও বাংলাদেশ জয়ী ম্যাচ মাত্র তিনটি। বৃষ্টিসহ নানাবিধ কারণে ড্র হয়েছে সাতটি টেস্ট। সব মিলিয়ে খেলা ম্যাচের ৮৬ শতাংশেরও বেশি টেস্টে হেরেছেন মুশফিকরা। টেস্ট ক্রিকেটের কালো তালিকায় তাই সবার ওপরে আছে বাংলাদেশের নাম!
No comments