ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি-ইউরোপ থেকে ফেরত আসছে পানের চালান by আবুল কাশেম
উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া পাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া পান ফেরত দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত পানের অন্তত ১৫টি চালান ফেরত এসেছে বলে রপ্তানিকারক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান। ওই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি থাকলে বাংলাদেশের পান ইউরোপের দেশগুলোতে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দিয়েছে ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি অথোরিটি।
এর ফলে বছরে ১০ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি বাজার হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (রপ্তানি) মনোজ কুমার কালের কণ্ঠকে জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অক্টোবর থেকেই পানে 'সালমোনেলা এসপিপি' ব্যাকটেরিয়া পাওয়ার অভিযোগ জানিয়ে বলে আসছিল যে, ব্যাকটেরিয়াটি উদ্ভিদ প্রজাতির জন্য ক্ষতিকর। ইতিমধ্যে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়ায় ২৮০ কেজি ও ১১২ কেজি ওজনের পানের দুটি চালান ফেরত পাঠানো হয়েছে বলেও চিঠিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে।
মনোজ কুমার জানান, বাংলাদেশে এ ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কথা আগে কখনো শোনা যায়নি। তবে অক্টোবর থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট দপ্তর কয়েকটি চিঠি দিয়ে রপ্তানি করা পানে এ ব্যাকটেরিয়া থাকার অভিযোগ করে।
ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি দূর করতে পান রপ্তানিকারকরা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ শিল্প রাসায়নিক ও বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদ (সায়েন্স ল্যাবরেটরি) এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এ দুটি প্রতিষ্ঠান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও কোনো উপায় বের করতে পারেনি। তারা পরামর্শ দিয়েছে রপ্তানির আগে ভালো পানিতে পান ধুয়ে নিতে। এর পরও ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির কথা বলে ইউরোপ থেকে পানের চালান ফেরত দেওয়া হচ্ছে বলে জানান রপ্তানিকারকরা। সম্প্রতি ইংল্যান্ড থেকেও পানের কয়েকটি চালান ফেরত এসেছে। এ অবস্থায় ব্যাকটেরিয়া দূর করে পান রপ্তানি অব্যাহত রাখার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আজ বৈঠকে বসছে। বাণিজ্যসচিব মো. গোলাম হোসেন বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি এবং পান রপ্তানিকারকরা উপস্থিত থাকবেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, পানচাষিরা প্রচলিত পদ্ধতিতে পান চাষ করছেন। গাছ থেকে পান পাতা উত্তোলন ও মোড়কজাত করার ক্ষেত্রেও প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। তাই কোন পর্যায়ে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটছে তা চিহ্নিত করতে হবে। উপযুক্ত কীটনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে পানকে ব্যাকটেরিয়ামুক্ত রাখার উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে।
বাংলাদেশ থেকে পান রপ্তানি করেন মূলত সবজি ও ফল রপ্তানিকারকরা। তাঁদের সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রুট অ্যান্ড অ্যালাইড ভেজিটেবল্স এঙ্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ইংল্যান্ডে প্রথম এ ব্যাকটেরিয়া ধরা পড়ে। পরে আমরা সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে যোগাযোগ করেও কোনো সমাধান পাইনি। আমরা যতটুকু শুনেছি, এটি একটি পানিবাহিত ব্যাকটেরিয়া। এখন এ ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি দূর করতে না পারলে ইউরোপে পান রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে। এতে বছরে প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলারের বাজার হাতছাড়া হয়ে যাবে।'
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) কাছে আলাদাভাবে পান রপ্তানির কোনো তথ্য নেই। তবে গত অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে মোট ৭২ মিলিয়ন ডলারের সবজি রপ্তানি হয়েছে। চলতি অর্থবছর এ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৬ মিলিয়ন ডলার। অর্থবছরের প্রথম চার মাসে সবজি রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৩২ মিলিয়ন ডলার। রপ্তানিকারকরা বলছেন, সবজি রপ্তানি আয়ের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ আসে পান রপ্তানি থেকে।
মনোজ কুমার জানান, বাংলাদেশে এ ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কথা আগে কখনো শোনা যায়নি। তবে অক্টোবর থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট দপ্তর কয়েকটি চিঠি দিয়ে রপ্তানি করা পানে এ ব্যাকটেরিয়া থাকার অভিযোগ করে।
ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি দূর করতে পান রপ্তানিকারকরা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ শিল্প রাসায়নিক ও বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদ (সায়েন্স ল্যাবরেটরি) এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এ দুটি প্রতিষ্ঠান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও কোনো উপায় বের করতে পারেনি। তারা পরামর্শ দিয়েছে রপ্তানির আগে ভালো পানিতে পান ধুয়ে নিতে। এর পরও ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির কথা বলে ইউরোপ থেকে পানের চালান ফেরত দেওয়া হচ্ছে বলে জানান রপ্তানিকারকরা। সম্প্রতি ইংল্যান্ড থেকেও পানের কয়েকটি চালান ফেরত এসেছে। এ অবস্থায় ব্যাকটেরিয়া দূর করে পান রপ্তানি অব্যাহত রাখার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আজ বৈঠকে বসছে। বাণিজ্যসচিব মো. গোলাম হোসেন বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি এবং পান রপ্তানিকারকরা উপস্থিত থাকবেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, পানচাষিরা প্রচলিত পদ্ধতিতে পান চাষ করছেন। গাছ থেকে পান পাতা উত্তোলন ও মোড়কজাত করার ক্ষেত্রেও প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। তাই কোন পর্যায়ে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটছে তা চিহ্নিত করতে হবে। উপযুক্ত কীটনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে পানকে ব্যাকটেরিয়ামুক্ত রাখার উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে।
বাংলাদেশ থেকে পান রপ্তানি করেন মূলত সবজি ও ফল রপ্তানিকারকরা। তাঁদের সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রুট অ্যান্ড অ্যালাইড ভেজিটেবল্স এঙ্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ইংল্যান্ডে প্রথম এ ব্যাকটেরিয়া ধরা পড়ে। পরে আমরা সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে যোগাযোগ করেও কোনো সমাধান পাইনি। আমরা যতটুকু শুনেছি, এটি একটি পানিবাহিত ব্যাকটেরিয়া। এখন এ ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি দূর করতে না পারলে ইউরোপে পান রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে। এতে বছরে প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলারের বাজার হাতছাড়া হয়ে যাবে।'
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) কাছে আলাদাভাবে পান রপ্তানির কোনো তথ্য নেই। তবে গত অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে মোট ৭২ মিলিয়ন ডলারের সবজি রপ্তানি হয়েছে। চলতি অর্থবছর এ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৬ মিলিয়ন ডলার। অর্থবছরের প্রথম চার মাসে সবজি রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৩২ মিলিয়ন ডলার। রপ্তানিকারকরা বলছেন, সবজি রপ্তানি আয়ের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ আসে পান রপ্তানি থেকে।
No comments