ঘরের ভেতর প্রকৃতি

সবুজের ছোঁয়া মানেই এক টুকরো সি্নগ্ধতা। এখন অনেকেই ঘরের ভেতরে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করছেন সবুজের আবেশে। ঘরের সামনের লম্বা টানা বারান্দায় শখের বাগান বা ইনডোর প্লান্ট আপনার অন্দরমহলে এনে দেবে প্রশান্তির ছোঁয়া। বাড়িতে গাছ শুধু রাখলেই হবে না, তা কীভাবে সজীব ও সুন্দর রাখা যায় সেদিকে দিতে হবে বিশেষ যত্ন। পাশাপাশি কোন ঘরের জন্য কোন গাছটি মানানসই সেটিও বিবেচনায় রাখা জরুরি।

ইনডোর প্লান্ট রাখার চিন্তা মাথায় থাকলে ঘরের রঙ হালকা হওয়াই ভালো। কারণ গাঢ় রঙ আলো শোষণ করে নেয়। ঘরের আলোর ওপর নির্ভর করে গাছ নির্বাচন করুন। ঘরের ইন্টেরিয়রে বৈচিত্র্য আনতে আপনি নানা ধরনের গাছ পছন্দ করতে পারেন। হতে পারে সেটা ফুলভিত্তিক, আর্কিটেকচারাল অথবা রঙবেরঙের পাতা। বাজারে বিভিন্ন
ধরনের পাত্র বা টব পাওয়া যায় গাছ লাগানোর জন্য। ঘরের অন্যান্য আসবাবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্বাচন করুন গাছ রাখার পাত্র।
বিভিন্ন ধরনের ইনডোর প্লান্টের মধ্যে আছে গোল্ডেন ডেসিনা, রিবগ ডেসিনা, বাঁশপাতা, অগি্নসর, কলকি ইত্যাদি। এছাড়া হ্যাক্সিং ইনডোর প্লান্টসের মধ্যে আছে বিভিন্ন ধরনের অর্কিড যেমন_ ডেন্ডোরিয়াম, মোকারা, অনসিডিয়াম, ক্যাটালগ অর্কিড। এছাড়া লিপস্টিক, গ্রিন লিফ, ক্যাকটাস, আইল্যান্ড স্টার, মানিপ্লান্ট অন্দরমহলের জন্য ভালো।
ইনডোর প্লান্টসের যত্ন
ষ সপ্তাহে অন্তত একদিন সব গাছ রোদে দিন। তবে দুপুরের কড়া রোদে গাছ রাখবেন না। সকালের হালকা রোদে গাছ কিছুক্ষণ বাইরে রাখার চেষ্টা করুন।
ষ পচা পাতা, হলুদ বা খয়েরি কাণ্ড গাছের কাছে না জমিয়ে রেখে ফেলে দিন। গাছের টব বদলানোর সময় লক্ষ্য রাখবেন যাতে শিকড় নষ্ট না হয়।
ষ গাছে ঘন ঘন পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অতিরিক্ত পানি দিলে শিকড় পচে যেতে পারে। তাই বলে একেবারে পানি দেওয়া বন্ধ করবেন না।
ষ গাছের ফুল বা পাতার রঙ হালকা হতে থাকলে ঠাণ্ডা ও আলো কম পেঁৗছায় এমন জায়গায় রাখুন। কারণ অতিরিক্ত আলো ও তাপের সংস্পর্শে এসে গাছের পাতা ও ফুলের রঙ হালকা হয়ে যায়। বাগানে শেডের ব্যবস্থা করতে পারেন এবং বাড়ির বারান্দাতে রাখতে পারেন।
ষ ইনডোর প্লান্টসের বৃদ্ধি অন্যান্য গাছের তুলনায় কম।
ষ রাতে গাছ কার্বন-ডাইঅক্সাইড ছাড়ে বলে যতটা সম্ভব গাছ থেকে দূরে থাকুন। সম্ভব হলে রাতে ঘরের বাইরে গাছগুলো রেখে দিন এবং সকালে আবার ঘরে নিয়ে আসুন। আর যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে জানালা খোলা রাখুন।
ষ গাছের পাতায় বেশি ধুলো জমলে জোরে ঘষবেন না, নরম কাপড়ে অল্প পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন। অথবা শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। পাতার নিচের অংশও পরিষ্কার করুন। কারণ ধুলো-ময়লার সঙ্গে পোকামাকড় জমে থাকে।

লেখা : পারভীন নীলা