বিপন্ন হতে চলেছে দেশের অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব : খালেদা
দেশের অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, ভিনদেশের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত সরকার অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় রিজার্ভ বিপজ্জনক পর্যায়ে নেমে এসেছে। দেশের অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে চলেছে। গতকাল সোমবার তৈরি পোশাক শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী বাংলাদেশ অ্যাপারেল অ্যান্ড টেক্সটাইল
এক্সপোজিশন 'বাটেক্সপো- ২০১১'-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা ও রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, অদক্ষ, অযোগ্য, দুর্নীতিবাজ, জাতীয় স্বার্থবিরোধী ও ভিনদেশের স্বার্থ রক্ষায় সদা ব্যস্ত বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। ভাড়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের নামে অবাধ লুঠপাট ও বিপুল ভর্তুকির নামে জনগণের রক্ত শোষণ ও কোষাগার খালি করেও এরা সুষ্ঠুভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না। ঋণ নিয়ে সরকার ব্যাংকগুলো ফোকলা করে ফেলছে। আমানতকারীরাও বড় অঙ্কের টাকা তুলতে পারছে না। ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প উৎপাদন খাত ঋণ-দুর্ভিক্ষে ভুগছে। বিদেশি কোনো বিনিয়োগ নেই। দেশি বিনিয়োগও স্থবির হয়ে পড়েছে। রেমিট্যান্স কমে আসায় ফরেন কারেন্সি রিজার্ভ বিপজ্জনক পর্যায়ে নেমে এসেছে। শিল্প কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকরা বেকার হচ্ছে। নতুন কোনো কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না।
খালেদা জিয়া বলেন, 'আমেরিকা ও ইউরোপের অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটছে। এর প্রভাবে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি নিয়ে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতি সত্যিই উদ্বেগজনক। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আমাদের জনশক্তি রপ্তানি দিনকে দিন কমে যাচ্ছে। এ খাতের আয়ও কমে যাচ্ছে। রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স কমতে থাকলে দেশের অর্থনীতির অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, রাষ্ট্র পরিচালকদের সে বিষয়ে খেয়াল আছে বলে মনে হয় না।'
খালেদা জিয়া এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সতর্ক হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি বিজিএমইএর দাবিগুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করে তা বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়েছে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। সরকারের ভ্রান্তনীতিতে অনেক প্রতিষ্ঠান বিদেশি মালিকানায় চলে গেছে। এটা জাতীয় পুঁজির বিকাশে বড় বাধা।
সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী এম কে আনোয়ার বলেন, সরকার বিদ্যুত উৎপাদনের নামে কুইক রেন্টাল কেন্দ্র দলীয় লোকদের দিচ্ছে কোনো দরপত্র ছাড়াই। এসব কেন্দ্রে জ্বালানি তেলে ভর্তুকি দিতে গিয়ে অর্থনীতিতে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এর প্রভাব দীর্ঘদিন থাকবে।
অনুষ্ঠানে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীও বক্তব্য দেন।
খালেদা জিয়া বলেন, অদক্ষ, অযোগ্য, দুর্নীতিবাজ, জাতীয় স্বার্থবিরোধী ও ভিনদেশের স্বার্থ রক্ষায় সদা ব্যস্ত বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। ভাড়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের নামে অবাধ লুঠপাট ও বিপুল ভর্তুকির নামে জনগণের রক্ত শোষণ ও কোষাগার খালি করেও এরা সুষ্ঠুভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না। ঋণ নিয়ে সরকার ব্যাংকগুলো ফোকলা করে ফেলছে। আমানতকারীরাও বড় অঙ্কের টাকা তুলতে পারছে না। ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প উৎপাদন খাত ঋণ-দুর্ভিক্ষে ভুগছে। বিদেশি কোনো বিনিয়োগ নেই। দেশি বিনিয়োগও স্থবির হয়ে পড়েছে। রেমিট্যান্স কমে আসায় ফরেন কারেন্সি রিজার্ভ বিপজ্জনক পর্যায়ে নেমে এসেছে। শিল্প কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকরা বেকার হচ্ছে। নতুন কোনো কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না।
খালেদা জিয়া বলেন, 'আমেরিকা ও ইউরোপের অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটছে। এর প্রভাবে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি নিয়ে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতি সত্যিই উদ্বেগজনক। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আমাদের জনশক্তি রপ্তানি দিনকে দিন কমে যাচ্ছে। এ খাতের আয়ও কমে যাচ্ছে। রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স কমতে থাকলে দেশের অর্থনীতির অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, রাষ্ট্র পরিচালকদের সে বিষয়ে খেয়াল আছে বলে মনে হয় না।'
খালেদা জিয়া এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সতর্ক হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি বিজিএমইএর দাবিগুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করে তা বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়েছে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। সরকারের ভ্রান্তনীতিতে অনেক প্রতিষ্ঠান বিদেশি মালিকানায় চলে গেছে। এটা জাতীয় পুঁজির বিকাশে বড় বাধা।
সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী এম কে আনোয়ার বলেন, সরকার বিদ্যুত উৎপাদনের নামে কুইক রেন্টাল কেন্দ্র দলীয় লোকদের দিচ্ছে কোনো দরপত্র ছাড়াই। এসব কেন্দ্রে জ্বালানি তেলে ভর্তুকি দিতে গিয়ে অর্থনীতিতে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এর প্রভাব দীর্ঘদিন থাকবে।
অনুষ্ঠানে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীও বক্তব্য দেন।
No comments