মুখোমুখি প্রতিদিন-হকির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বর্তমান কমিটির ওপর

ন্দোলন-সংগ্রাম বাদ দিয়ে আবারও মাঠে ফিরেছেন হকি খেলোয়াড়রা। বিজয় দিবস হকি দিয়ে আবারও নতুন করে পথচলা শুরু হয়েছে তাঁদের। কিন্তু প্রথম দিনের খেলায় মন জয় করে নিতে পারেননি তাঁরা। তাঁদের সার্বিক অবস্থা জানতেই কালের কণ্ঠ স্পোর্টস মুখোমুখি হয়েছিল রাসেল মাহমুদ জিমির প্রশ্ন : এত দিন তো আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যেই ছিলেন। বিজয় দিবস হকি দিয়ে আবারও মাঠে ফিরেছেন। এবার খুশি?
রাসেল মাহমুদ জিমি : খুশি তো অবশ্যই। আসলে আমরা তো পেশাদার খেলোয়াড়। মাঠে থাকাই আমাদের কাজ। এ ছাড়া আমাদের চাওয়া ছিল দলবদলের তারিখ ঘোষণা। নতুন কমিটি দায়িত্ব নিয়ে আমাদের এ চাহিদা পূরণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে আমাদের হাতে একটা গাইড লাইন দেওয়া হয়েছে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে। সেখানে লেখা আছে ফেব্রুয়ারি মাসেই আমাদের দলবদল। তাই বিজয় দিবস হকিতে আমরা খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে ফেডারেশনের উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লিগ আয়োজন করা।
প্রশ্ন : মাঠে তো ফিরলেন ঠিকই। কিন্তু আপনাদের একজন খেলোয়াড়কেও তো পুরোপুরি ফিট মনে হয়নি...
জিমি : মাঠে নামার আগে আমরা মাত্র পাঁচ দিন প্র্যাকটিস করার সময় পেয়েছি। আজকের ম্যাচ খেলে মনে হয়েছে আমাদের সমস্যাটা শুধু ফিটনেসেই। আশা করছি ম্যাচ খেলতে খেলতেই আমরা আবারও আমাদের ফিটনেস ফিরে পাব। সামনের ম্যাচেই আমাদের আরো ভালো অবস্থায় দেখবেন।
প্রশ্ন : বিজয় দিবসের আসর শেষ হলেই তো আবার খেলা বন্ধ। আবার সেই বসে থাকা।
জিমি : আশা করছি তা হবে না, কারণ ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এরপর আমরা জাতীয় হকিতে অংশ নিতে পারব। যেহেতু আমি ঢাকার ছেলে তাই ঢাকার পক্ষে খেলার সম্ভাবনাই বেশি।
প্রশ্ন : ফেডারেশন একটি ক্যালেন্ডার দিয়েছে। ব্যাপারটিকে আপনারা কিভাবে দেখছেন?
জিমি : আগের কমিটিও এই কাজ করেছিল। কিন্তু তারা তাদের দেওয়া কথা রাখতে পারেনি। এই কমিটি যদি কথামতো কাজ করতে পারে অবশ্যই আমরা তাদের সহযোগিতা করব।
প্রশ্ন : ফেডারেশনের পক্ষ থেকে তো আপনাদের শোকজ করা হয়েছে।
জিমি : আমাদের শোকজ করে তারা যে কাজটি ঠিক করেনি এ ব্যাপারটি আগের কমিটি বুঝতে পেরেছে। আমাদের কিছু করার ছিল না বলেই তো আমরা আন্দোলন করেছি। আশা করছি নতুন এ কমিটি ব্যাপারটি বুঝতে পারবে।
প্রশ্ন : এবার খেলার কথায় আসি। এ টুর্নামেন্ট নিয়ে কী ভাবছেন?
জিমি : অবশ্যই আমরা এ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।
প্রশ্ন : কিন্তু সার্ভিসেস দলগুলোকে তো অনেক শক্তিশালী মনে হলো।
জিমি : আমাদের প্রধান সমস্যা হলো ফিটনেস। এ সমস্য কাটিয়ে উঠতে পারলে অবশ্যই আমরা শিরোপা জেতার দাবিদার। তবে প্রথমে পিছিয়ে পড়লে সেটা আমাদের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের হকি কি আবারও হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে?
জিমি : এটা পুরোপুরি নির্ভর করবে বর্তমান কমিটির ওপর। আমরা আশা করব হকির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নতুন কমিটি খেলা মাঠে রাখবে। প্রতি বছর লিগ আয়োজন করবে। এ ছাড়া বিভিন্ন ঘরোয়া টুর্নামেন্টের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টেও আমাদের অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকবে।

No comments

Powered by Blogger.