জাল সনদ নিয়ে আইনজীবী সহকারী!-২২ জনের সদস্যপদ বাতিল
আইনজীবীদের সহকারী হিসেবে ঢাকার আদালতে কাজ করেন তাঁরা ২২ জন। সাধারণ মানুষ যাঁদের আইনজীবী ক্লার্ক বা মুহুরি হিসেবে চেনে। তাঁদের সবার সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। কারণ তাঁরা এসএসসি পাসের জাল সনদ তৈরি করে ঢাকা আইনজীবী সহকারী সমিতির সদস্য হয়েছেন। গতকাল সোমবার সমিতির কর্মকর্তারা ২২ জনের সদস্যপদ বাতিল করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকার আইনজীবী সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসাধারণ সম্পাদক এ কে
এম আমিনউদ্দিন মানিক। যাঁদের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে তাঁরা হলেন আবু তাহের স্বপন (সদস্য নম্বর ১৩৫৭), শাহীন ঢালী (সদস্য নম্বর ১৩৬২), দেলোয়ার সাঈদ (সদস্য নম্বর ১৩৬৪), প্রকাশ চন্দ্র বাড়ৈ (সদস্য নম্বর ১৩৬৬), রাজু আহম্মেদ (সদস্য নম্বর ১৩৭০), রুহুল আমিন (সদস্য নম্বর ১৩৭৪), মো. ওবায়দুল হক (সদস্য নম্বর ১৩৭৭), মো. দীন ইসলাম মোল্লা (সদস্য নম্বর ১৩৭৮), মো. ইমাম হোসেন (সদস্য নম্বর ১৩৭৯), মো. রতন মিয়া (সদস্য নম্বর ১৩৮০), পরিতোষ মজুমদার (সদস্য নম্বর ১৩৮৩), মো. ইয়াছিন গাজী (সদস্য নম্বর ১৩৮৪), মো. ইউনুস আলী (সদস্য নম্বর ১৩৮৭), মো. নুরুল হক (সদস্য নম্বর ১৩৮৮), মো. মাহামুদুর রহমান হিরু (সদস্য নম্বর ১৩৯৬), মো. শাকির (সদস্য নম্বর ১৩৯৭), মো. শহিদুল ইসলাম (সদস্য নম্বর ১৩৯৮), সাইফুল ইসলাম (সদস্য নম্বর ১৪০২), উমর ফারুক (সদস্য নম্বর ১৪০৪), মো. ছালাউদ্দিন (সদস্য নম্বর ১৪০৭), নাসির উদ্দিন মোল্লা (সদস্য নম্বর ১৪০৮) ও সুমন চন্দ্র দে (সদস্য নম্বর ১৪০৯)।
তাঁরা সবাই বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি সনদ জাল করে ২০১০-১১ সালে প্রতারণামূলকভাবে ঢাকা বার ক্লার্ক সমিতির সদস্যপদ লাভ করেছিলেন বলে জানা গেছে। ঢাকা আইনজীবী সহকারী সমিতির সদস্য হতে বা একজন আইনজীবীর ক্লার্ক হয়ে কাজ করতে এসএসসি বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারী হতে হয়। সেই যোগ্যতা না থাকায় তাঁরা ভুয়া সনদ জোগাড় করে সদস্য হন। আইনজীবী সহকারী সমিতির কাছে এ-সংক্রান্ত অভিযোগ আসার পর সনদের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হয়। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডকে ওই সব সনদের বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সমিতির পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডগুলো প্রতিবেদন দিয়ে জানায়, এসব সনদ জাল।
পরে গত ২৮ নভেম্বর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভায় চূড়ান্তভাবে জাল সনদ দাখিলকারীদের সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে ঢাকা বার আইনজীবী সহকারী সমিতির ২০১০-১১ সালের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান কার্যকরী পরিষদের অপরাপর সদস্য ও উপদেষ্টা পরিষদে উপস্থাপন না করে জাল সনদধারীদের সদস্যপদ দিয়েছেন বলে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর সদস্যপদও এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসাধারণ সম্পাদক এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, নিয়ম মেনেই সর্বসম্মতিক্রমে জাল সনদধারীদের সদস্যপদ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জাল সনদ নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কাজ করার জন্য ফৌজদারি মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তাঁরা সবাই বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি সনদ জাল করে ২০১০-১১ সালে প্রতারণামূলকভাবে ঢাকা বার ক্লার্ক সমিতির সদস্যপদ লাভ করেছিলেন বলে জানা গেছে। ঢাকা আইনজীবী সহকারী সমিতির সদস্য হতে বা একজন আইনজীবীর ক্লার্ক হয়ে কাজ করতে এসএসসি বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারী হতে হয়। সেই যোগ্যতা না থাকায় তাঁরা ভুয়া সনদ জোগাড় করে সদস্য হন। আইনজীবী সহকারী সমিতির কাছে এ-সংক্রান্ত অভিযোগ আসার পর সনদের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হয়। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডকে ওই সব সনদের বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সমিতির পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডগুলো প্রতিবেদন দিয়ে জানায়, এসব সনদ জাল।
পরে গত ২৮ নভেম্বর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভায় চূড়ান্তভাবে জাল সনদ দাখিলকারীদের সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে ঢাকা বার আইনজীবী সহকারী সমিতির ২০১০-১১ সালের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান কার্যকরী পরিষদের অপরাপর সদস্য ও উপদেষ্টা পরিষদে উপস্থাপন না করে জাল সনদধারীদের সদস্যপদ দিয়েছেন বলে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর সদস্যপদও এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসাধারণ সম্পাদক এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, নিয়ম মেনেই সর্বসম্মতিক্রমে জাল সনদধারীদের সদস্যপদ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জাল সনদ নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কাজ করার জন্য ফৌজদারি মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
No comments