টিপাইমুখ বাঁধ!-আপন শক্তিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে নিজের অধিকার আদায় করে নিতে হবে!
গত ২২ অক্টোবর বরাক নদের ওপর টিপাইমুখ বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে একটি যৌথ বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত। ২০১০ ও ২০১১ সালে দুই প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে এ ধরনের চুক্তি করার আগে বাংলাদেশকে জানানোর প্রতিশ্রুতি ও আইনি অধিকার থাকা সত্ত্বেও ভারত তা মানেনি। অভিন্ন নদীর উজানে এই বাঁধ উভয় দেশের পরিবেশ আর অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করেছেন উভয় দেশের বিশেষজ্ঞরা।
টিপাইমুখে জলাধার ও বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের ফলে শুধু বাংলাদেশকে নয়, উভয় দেশকেই গুনতে হবে নানা ধরনের ক্ষতির মাসুল। এই বাঁধের ফলে সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে বাস্তুসংস্থান বিপর্যয়, বাংলাদেশের প্রাণবৈচিত্র্যের বিনষ্টতা, চাষাবাদের জমির ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ততা। এতে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার লাখ লাখ মানুষকে জীবিকা হারাতে হবে; শুরু হবে এক বিরাট মানবিক সংকট। তা ছাড়া টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের পরে সেটি ভূমিকম্পে ধসে পড়লে হতে হবে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে ভারতের সঙ্গে ৩০ বছরমেয়াদি একটি পানিচুক্তি স্বাক্ষর হয়। অর্থাৎ সে চুক্তিতে গ্যারান্টি ক্লজ তুলে দেওয়া হয়। ফলে চুক্তি অনুযায়ী যে পরিমাণ পানি পাওয়ার কথা আমাদের, ভারত তা না দিয়েই পার পাচ্ছে। এমনকি ১৯৯৬ সালের পরবর্তী চুক্তিতেও বাংলাদেশ চুক্তি মোতাবেক কখনো পানি পায়নি। এবারও ভারত শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশকে চুক্তির চেয়ে ৮৩ হাজার কিউসেক পানি কম দিয়েছে। দুই দেশের মধ্যকার এই যৌথ চুক্তি ব্যতীত ভারত দুই দেশের মধ্যকার যৌথ নদীব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হেলসিংকি রুল (লন্ডন, আন্তর্জাতিক আইন সংস্থা, ১৯৬৭) কিংবা জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক নদী ব্যবহারের কনভেনশন (১৯৯৭)-এর কোনোটিরই তোয়াক্কা করেনি।
একদিকে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলছেন, 'টিপাইমুখ বাঁধের বিষয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তাতে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট। এ নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই!' সেখানে খোদ মহাজোটের অন্যতম শরিক দল জাতীয় পার্টি টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে করছে লংমার্চ! ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একবার বলছেন, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ করবেন না তাঁরা, আবার বলছেন, তাঁদের সরকারের নীতি খুব পরিষ্কার। টিপাইমুখ প্রকল্প হবেই! এই সামগ্রিক নাটকীয়তার রাজনীতিতে যেমন ভারতকে বুঝতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে; তেমনি বাংলার জনগণকে বুঝতে হবে সম্প্রসারণ নীতিতে চলা ভারতকে ও এ দেশের নতজানু শাসক শ্রেণীর মতলবকে। নয়তো স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখা হবে কঠিন। পরাশক্তির কাছে পরাভূত না হয়ে আপন শক্তিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে নিজের অধিকার আদায় করে নিতে হবে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নদীপথ ব্যবহারের চুক্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় দাসত্বমূলক বাণিজ্য চুক্তি নবায়ন এবং একের পর এক নতুন চুক্তির আবদ্ধতা ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে বেরিয়ে এসে প্রয়োজনে ভারতকে বাধ্য করতে হবে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি দিতে এবং আন্তর্জাতিক আদালতের মুখোমুখি হতে। প্রয়োজনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গড়ে তুলতে হবে ন্যায় প্রতিষ্ঠার দুর্বার আন্দোলন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে ভারতের সঙ্গে ৩০ বছরমেয়াদি একটি পানিচুক্তি স্বাক্ষর হয়। অর্থাৎ সে চুক্তিতে গ্যারান্টি ক্লজ তুলে দেওয়া হয়। ফলে চুক্তি অনুযায়ী যে পরিমাণ পানি পাওয়ার কথা আমাদের, ভারত তা না দিয়েই পার পাচ্ছে। এমনকি ১৯৯৬ সালের পরবর্তী চুক্তিতেও বাংলাদেশ চুক্তি মোতাবেক কখনো পানি পায়নি। এবারও ভারত শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশকে চুক্তির চেয়ে ৮৩ হাজার কিউসেক পানি কম দিয়েছে। দুই দেশের মধ্যকার এই যৌথ চুক্তি ব্যতীত ভারত দুই দেশের মধ্যকার যৌথ নদীব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হেলসিংকি রুল (লন্ডন, আন্তর্জাতিক আইন সংস্থা, ১৯৬৭) কিংবা জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক নদী ব্যবহারের কনভেনশন (১৯৯৭)-এর কোনোটিরই তোয়াক্কা করেনি।
একদিকে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলছেন, 'টিপাইমুখ বাঁধের বিষয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তাতে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট। এ নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই!' সেখানে খোদ মহাজোটের অন্যতম শরিক দল জাতীয় পার্টি টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে করছে লংমার্চ! ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একবার বলছেন, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ করবেন না তাঁরা, আবার বলছেন, তাঁদের সরকারের নীতি খুব পরিষ্কার। টিপাইমুখ প্রকল্প হবেই! এই সামগ্রিক নাটকীয়তার রাজনীতিতে যেমন ভারতকে বুঝতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে; তেমনি বাংলার জনগণকে বুঝতে হবে সম্প্রসারণ নীতিতে চলা ভারতকে ও এ দেশের নতজানু শাসক শ্রেণীর মতলবকে। নয়তো স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখা হবে কঠিন। পরাশক্তির কাছে পরাভূত না হয়ে আপন শক্তিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে নিজের অধিকার আদায় করে নিতে হবে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নদীপথ ব্যবহারের চুক্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় দাসত্বমূলক বাণিজ্য চুক্তি নবায়ন এবং একের পর এক নতুন চুক্তির আবদ্ধতা ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে বেরিয়ে এসে প্রয়োজনে ভারতকে বাধ্য করতে হবে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি দিতে এবং আন্তর্জাতিক আদালতের মুখোমুখি হতে। প্রয়োজনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গড়ে তুলতে হবে ন্যায় প্রতিষ্ঠার দুর্বার আন্দোলন।
No comments