ভারতীয় ঋণ প্রকল্পের অগ্রগতি প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে তোড়জোড় by আরিফুর রহমান
ভারতের ১০০ কোটি ডলার ঋণে বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদিত ২০ প্রকল্পের অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতাসংক্রান্ত এক সভায় প্রকল্পগুলোর সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। প্রকল্পগুলোর বাস্তব অগ্রগতির তথ্য দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সম্মেলনকক্ষে এক বৈঠক হয়।
বৈঠকে ইআরডি, রেলপথ মন্ত্রণালয়, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানান, ভারতের এঙ্মি ব্যাংকের কাছ থেকে এখনো সাতটি প্রকল্পের অনুমোদন পাওয়া যায়নি। বাকি ১৩ প্রকল্পের অনুমোদন পাওয়া গেছে। অনুমোদিত ১৩ প্রকল্পের কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, তা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ইআরডিতে পাঠানোর জন্য প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা থেকে প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতির তথ্য পাওয়ার পর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে।
বৈঠকে উপস্থিত অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, অনুমোদন না দেওয়া সাতটি প্রকল্প নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ ঋণ চুক্তিতে বলা আছে, ৮৫ শতাংশ পণ্য ও যন্ত্রপাতি ভারত থেকে আমদানি করতে হবে। বাকি ১৫ শতাংশ বাংলাদেশ স্থানীয়ভাবে খরচ করতে পারবে। অনুমোদন না হওয়া প্রকল্পগুলো অধিকাংশই সড়ক অবকাঠামো নির্মাণসংক্রান্ত। সড়ক নির্মাণে ইট, বালু, সিমেন্ট, রড এগুলো বাংলাদেশেই সহজলভ্য ও সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। সড়ক নির্মাণে ভারতের কোনো পণ্য ও যন্ত্রাংশের প্রয়োজন হয় না; কিন্তু এতে চুক্তি ভঙ্গ হয়। তিনি আরো বলেন, সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এতে চুক্তির বিষয়ে কিছুটা নমনীয় হয়েছে ভারত। অর্থাৎ সড়কের প্রকল্পগুলো বাংলাদেশ নিজস্ব পণ্য দিয়ে নির্মাণ করতে পারবে। আর এসব প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ অন্য কোনো প্রকল্পে স্থানান্তর করা হবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ শিগগিরই এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন ইআরডিতে পাঠাবে। অনুমোদিত ১৩ প্রকল্পের মধ্যে রেলের প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি সন্তোষজনক বলে জানানো হয় বৈঠকে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটকে (বিএসটিআই) শক্তিশালীকরণ প্রকল্পেও জটিলতা দেখা দিয়েছে। কারণ বিএসটিআইকে শক্তিশালী করতে যেসব যন্ত্রাংশ দরকার তা ভারতে তৈরি হয় না। তাই এসব যন্ত্রাংশ আমদানিসংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দিতে বিএসটিআইকে বলা হয়েছে।
বৈঠক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইআরডির যুগ্ম সচিব (এশিয়া) মোহাম্মদ আসিফ-উজ জামান জানান, অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অনুমোদনহীন প্রকল্পগুলোতে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে আলোচনা হয়েছে। দ্রুতই জটিলতা নিরসন হবে বলে তিনি জানান।
সূত্র মতে, ভারতের সঙ্গে করা ১০০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি হয়েছিল গত বছরের ৭ আগস্ট। ঋণের অর্থ দিয়ে বাংলাদেশের সড়ক অবকাঠামো, রেল ও নৌপথের উন্নয়নে ২০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা রয়েছে। ঋণ চুক্তির পর এক বছর তিন মাস পেরিয়ে গেছে। কিন্তু ২০টির মধ্যে ১৩টির অনুমোদন দিলেও এখনো সাতটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়নি ভারতের এঙ্মি ব্যাংক। এসব প্রকল্পের অনুমোদন নিয়ে এঙ্মি ব্যাংকের গড়িমসি এবং ভারতের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অভিযোগ উঠেছে।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদন না হওয়া প্রকল্পগুলো হচ্ছে সরাইল-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-সুলতানপুর-চিনাইর-আখাউড়া-সেনারবাদি স্থলবন্দর সড়ককে জাতীয় মহাসড়কে উন্নীত করা, রামগড়-সাবরুম স্থলবন্দর সংযোগ সড়ক নির্মাণ, লালমনিরহাট-বুড়িমারী সড়ক উন্নয়ন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে অভ্যন্তরীণ কনটেইনার নদীবন্দর স্থাপন, খুলনা থেকে মংলা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্প, বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ১২৫টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী বগি ক্রয় প্রকল্প এবং বিএসটিআই আধুনিকায়ন ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্প।
বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানান, ভারতের এঙ্মি ব্যাংকের কাছ থেকে এখনো সাতটি প্রকল্পের অনুমোদন পাওয়া যায়নি। বাকি ১৩ প্রকল্পের অনুমোদন পাওয়া গেছে। অনুমোদিত ১৩ প্রকল্পের কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, তা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ইআরডিতে পাঠানোর জন্য প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা থেকে প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতির তথ্য পাওয়ার পর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে।
বৈঠকে উপস্থিত অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, অনুমোদন না দেওয়া সাতটি প্রকল্প নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ ঋণ চুক্তিতে বলা আছে, ৮৫ শতাংশ পণ্য ও যন্ত্রপাতি ভারত থেকে আমদানি করতে হবে। বাকি ১৫ শতাংশ বাংলাদেশ স্থানীয়ভাবে খরচ করতে পারবে। অনুমোদন না হওয়া প্রকল্পগুলো অধিকাংশই সড়ক অবকাঠামো নির্মাণসংক্রান্ত। সড়ক নির্মাণে ইট, বালু, সিমেন্ট, রড এগুলো বাংলাদেশেই সহজলভ্য ও সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। সড়ক নির্মাণে ভারতের কোনো পণ্য ও যন্ত্রাংশের প্রয়োজন হয় না; কিন্তু এতে চুক্তি ভঙ্গ হয়। তিনি আরো বলেন, সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এতে চুক্তির বিষয়ে কিছুটা নমনীয় হয়েছে ভারত। অর্থাৎ সড়কের প্রকল্পগুলো বাংলাদেশ নিজস্ব পণ্য দিয়ে নির্মাণ করতে পারবে। আর এসব প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ অন্য কোনো প্রকল্পে স্থানান্তর করা হবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ শিগগিরই এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন ইআরডিতে পাঠাবে। অনুমোদিত ১৩ প্রকল্পের মধ্যে রেলের প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি সন্তোষজনক বলে জানানো হয় বৈঠকে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটকে (বিএসটিআই) শক্তিশালীকরণ প্রকল্পেও জটিলতা দেখা দিয়েছে। কারণ বিএসটিআইকে শক্তিশালী করতে যেসব যন্ত্রাংশ দরকার তা ভারতে তৈরি হয় না। তাই এসব যন্ত্রাংশ আমদানিসংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দিতে বিএসটিআইকে বলা হয়েছে।
বৈঠক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইআরডির যুগ্ম সচিব (এশিয়া) মোহাম্মদ আসিফ-উজ জামান জানান, অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অনুমোদনহীন প্রকল্পগুলোতে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে আলোচনা হয়েছে। দ্রুতই জটিলতা নিরসন হবে বলে তিনি জানান।
সূত্র মতে, ভারতের সঙ্গে করা ১০০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি হয়েছিল গত বছরের ৭ আগস্ট। ঋণের অর্থ দিয়ে বাংলাদেশের সড়ক অবকাঠামো, রেল ও নৌপথের উন্নয়নে ২০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা রয়েছে। ঋণ চুক্তির পর এক বছর তিন মাস পেরিয়ে গেছে। কিন্তু ২০টির মধ্যে ১৩টির অনুমোদন দিলেও এখনো সাতটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়নি ভারতের এঙ্মি ব্যাংক। এসব প্রকল্পের অনুমোদন নিয়ে এঙ্মি ব্যাংকের গড়িমসি এবং ভারতের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অভিযোগ উঠেছে।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদন না হওয়া প্রকল্পগুলো হচ্ছে সরাইল-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-সুলতানপুর-চিনাইর-আখাউড়া-সেনারবাদি স্থলবন্দর সড়ককে জাতীয় মহাসড়কে উন্নীত করা, রামগড়-সাবরুম স্থলবন্দর সংযোগ সড়ক নির্মাণ, লালমনিরহাট-বুড়িমারী সড়ক উন্নয়ন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে অভ্যন্তরীণ কনটেইনার নদীবন্দর স্থাপন, খুলনা থেকে মংলা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্প, বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ১২৫টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী বগি ক্রয় প্রকল্প এবং বিএসটিআই আধুনিকায়ন ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্প।
No comments