বরিশালে সাংবাদিকের ওপর পুলিশি নির্যাতন, তোলপাড়
সাংবাদিক
সুমন হাসানকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় ফুঁসে
উঠেছে মিডিয়াসহ বরিশালের সুশীল সমাজ। বুধবার সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে
অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রত্যাহারকৃত নির্যাতনকারী ৮ পুলিশের দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তি দাবি করা হয়েছে।
মানববন্ধনে বরিশাল প্রেস ক্লাব, রিপোর্টাস ইউনিটিসহ ৬টি সাংবাদিক সংগঠন, রাজনীতিবিদ, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বক্তারা গোয়েন্দা পুলিশের অমানবিক নির্যাতনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ চকবাজারের পুরাতন বিউটি হলের সামনে ডিবি পুলিশ একটি বাসায় মাদকের অভিযান চালালে সাংবাদিক সুমন হাসান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। অভিযানের বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ৮ পুলিশ সদস্য মিলে সুমনের ওপর চড়াও হয়। সাংবাদিক পরিচয় শুনে এ সময় সুমনকে বেধড়ক মারধর ও অণ্ডকোষ চেপে ধরে অজ্ঞান করে ফেলে। এরপর হাতকড়া পরিয়ে, গলা পেঁচিয়ে গাড়িতে উঠিয়ে সুমনকে ডিবির কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে তাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। খবর পেয়ে বরিশালের সিনিয়র সাংবাদিকরা ছুটে যান ডিবির কার্যালয়ে। এ সময় ডিবিসির রিপোর্টার অপুরায় ও মানবকণ্ঠের সালেহ টিটুকেও লাঞ্ছিত করে ডিবির সদস্যরা। উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম রউফকে অবহিত করলে তিনি বিষয়টি সমাধানের জন্য সবাইকে তার কক্ষে নিয়ে আসেন। এ সময় সুমনের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও সুমনের কাছে নির্যাতনের কথা শুনে উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম রউফ ও উত্তম কুমার পাল দুঃখ প্রকাশ করেন। তারা নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ডিবি পুলিশের এসআই আবুল বাশার ও তার টিমকে তাৎক্ষণিক ক্লোজড ও টিমের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে রিপোর্ট অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও জানান। নির্যাতনের শিকার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজের ক্যামেরা পার্সন সুমন হাসান উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) উত্তম কুমার পাল ও (দক্ষিণ) গোলাম রউফকে বলেন, ‘বিউটি হল সংলগ্ন একটি বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের কাছে অভিযানের বিষয়টি জানতে চাইলে ডিবি পুলিশের এসআই আবুল বাশার, তার টিমের সদস্য সাইফুল, মাসুদ ও আলতাফসহ ওই টিমের সকলে আমার সঙ্গে চড়াও হয়। এ সময় আমি সাংবাদিক পরিচয় দিলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আমার ওপর। একপর্যায়ে তারা আমাকে বেধড়ক মারধর শুরু করে এবং ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর জবরদস্তি করতে থাকে। এ সময় ডিবি পুলিশ আমার বাসায় মাদক দিয়ে ধরিয়ে দেয়াসহ ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়। তবে আমি বিনা অপরাধে সেখানে না যাওয়ার জন্য বললে তারা আমার অণ্ডকোষ চেপে ধরে। সঙ্গে সঙ্গেই আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। তারপর আমাকে ডিবি অফিসে নিয়ে বুকের উপর লাথি দেয়াসহ নানা কায়দায় নির্যাতন করে।’ এদিকে সুমনকে নির্যাতনের খবর শুনে বরিশালের সিনিয়র সাংবাদিকরা ডিবি অফিসে গেলে কতিপয় অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্যর সঙ্গে সেখানে বসে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে কয়েকজন সংবাদকর্মীকে লাথি, কিল-ঘুষিও দেয়া হয়। যা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও প্রমাণ পেয়েছেন। তবে এত ঘটনার পরও সবকিছুই অস্বীকার করেছেন ডিবি পুলিশের ওই টিমের প্রধান এসআই আবুল বাশার। তিনি জানিয়েছেন, সুমনের শরীরে কোন হাত দেয়া হয়নি। উল্টো সুমন আমাদের মারধর করেছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার নাসির উদ্দিন মল্লিক জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। প্রাথমিকভাবে নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়ায় এসআই আবুল বাশারসহ তার টিমের মোট ৮ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে। যার মধ্যে দুজন এএসআই ও বাকিরা কনস্টেবল। এদিকে এই ঘটনায় বরিশালের সাংবাদিকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই ঘটনায় বরিশালের সাংবাদিক সংগঠনগুলো তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
অভিযুক্ত ডিবির কনস্টেবল বরখাস্ত
ওদিকে ডিবিসি টেলিভিশনের ক্যামেরারপার্সন সুমন হাসানকে নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ডিবির কনস্টেবল মাসুদুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে তাকে বরখাস্ত করা হয় এবং একই সঙ্গে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এডিসি রুনা লায়লাকে প্রধান করে কমিটিকে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটি এরই মধ্যে দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি) নাসিরউদ্দিন মল্লিক জানান, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট রাতেই পুলিশ কমিশনার বরাবর দাখিল করতে বলা হয়েছে। এর পরপরই ওই রিপোর্ট ঢাকা হেডকোয়ার্টার্সে পাঠানো হবে।
এ ঘটনায় বুধবার বেলা ১১টায় অশ্বিনী কুমার হলের সামনের সড়কে মানবন্ধন করে সংবাদ কর্মীরা। তারা বলেন, অভিযুক্তদের ফৌজদারী আইনে মামলা করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার।
মানববন্ধনে বরিশাল প্রেস ক্লাব, রিপোর্টাস ইউনিটিসহ ৬টি সাংবাদিক সংগঠন, রাজনীতিবিদ, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বক্তারা গোয়েন্দা পুলিশের অমানবিক নির্যাতনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ চকবাজারের পুরাতন বিউটি হলের সামনে ডিবি পুলিশ একটি বাসায় মাদকের অভিযান চালালে সাংবাদিক সুমন হাসান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। অভিযানের বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ৮ পুলিশ সদস্য মিলে সুমনের ওপর চড়াও হয়। সাংবাদিক পরিচয় শুনে এ সময় সুমনকে বেধড়ক মারধর ও অণ্ডকোষ চেপে ধরে অজ্ঞান করে ফেলে। এরপর হাতকড়া পরিয়ে, গলা পেঁচিয়ে গাড়িতে উঠিয়ে সুমনকে ডিবির কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে তাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। খবর পেয়ে বরিশালের সিনিয়র সাংবাদিকরা ছুটে যান ডিবির কার্যালয়ে। এ সময় ডিবিসির রিপোর্টার অপুরায় ও মানবকণ্ঠের সালেহ টিটুকেও লাঞ্ছিত করে ডিবির সদস্যরা। উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম রউফকে অবহিত করলে তিনি বিষয়টি সমাধানের জন্য সবাইকে তার কক্ষে নিয়ে আসেন। এ সময় সুমনের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও সুমনের কাছে নির্যাতনের কথা শুনে উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম রউফ ও উত্তম কুমার পাল দুঃখ প্রকাশ করেন। তারা নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ডিবি পুলিশের এসআই আবুল বাশার ও তার টিমকে তাৎক্ষণিক ক্লোজড ও টিমের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে রিপোর্ট অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও জানান। নির্যাতনের শিকার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজের ক্যামেরা পার্সন সুমন হাসান উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) উত্তম কুমার পাল ও (দক্ষিণ) গোলাম রউফকে বলেন, ‘বিউটি হল সংলগ্ন একটি বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের কাছে অভিযানের বিষয়টি জানতে চাইলে ডিবি পুলিশের এসআই আবুল বাশার, তার টিমের সদস্য সাইফুল, মাসুদ ও আলতাফসহ ওই টিমের সকলে আমার সঙ্গে চড়াও হয়। এ সময় আমি সাংবাদিক পরিচয় দিলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আমার ওপর। একপর্যায়ে তারা আমাকে বেধড়ক মারধর শুরু করে এবং ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর জবরদস্তি করতে থাকে। এ সময় ডিবি পুলিশ আমার বাসায় মাদক দিয়ে ধরিয়ে দেয়াসহ ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়। তবে আমি বিনা অপরাধে সেখানে না যাওয়ার জন্য বললে তারা আমার অণ্ডকোষ চেপে ধরে। সঙ্গে সঙ্গেই আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। তারপর আমাকে ডিবি অফিসে নিয়ে বুকের উপর লাথি দেয়াসহ নানা কায়দায় নির্যাতন করে।’ এদিকে সুমনকে নির্যাতনের খবর শুনে বরিশালের সিনিয়র সাংবাদিকরা ডিবি অফিসে গেলে কতিপয় অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্যর সঙ্গে সেখানে বসে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে কয়েকজন সংবাদকর্মীকে লাথি, কিল-ঘুষিও দেয়া হয়। যা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও প্রমাণ পেয়েছেন। তবে এত ঘটনার পরও সবকিছুই অস্বীকার করেছেন ডিবি পুলিশের ওই টিমের প্রধান এসআই আবুল বাশার। তিনি জানিয়েছেন, সুমনের শরীরে কোন হাত দেয়া হয়নি। উল্টো সুমন আমাদের মারধর করেছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার নাসির উদ্দিন মল্লিক জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। প্রাথমিকভাবে নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়ায় এসআই আবুল বাশারসহ তার টিমের মোট ৮ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে। যার মধ্যে দুজন এএসআই ও বাকিরা কনস্টেবল। এদিকে এই ঘটনায় বরিশালের সাংবাদিকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই ঘটনায় বরিশালের সাংবাদিক সংগঠনগুলো তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
অভিযুক্ত ডিবির কনস্টেবল বরখাস্ত
ওদিকে ডিবিসি টেলিভিশনের ক্যামেরারপার্সন সুমন হাসানকে নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ডিবির কনস্টেবল মাসুদুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে তাকে বরখাস্ত করা হয় এবং একই সঙ্গে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এডিসি রুনা লায়লাকে প্রধান করে কমিটিকে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটি এরই মধ্যে দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি) নাসিরউদ্দিন মল্লিক জানান, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট রাতেই পুলিশ কমিশনার বরাবর দাখিল করতে বলা হয়েছে। এর পরপরই ওই রিপোর্ট ঢাকা হেডকোয়ার্টার্সে পাঠানো হবে।
এ ঘটনায় বুধবার বেলা ১১টায় অশ্বিনী কুমার হলের সামনের সড়কে মানবন্ধন করে সংবাদ কর্মীরা। তারা বলেন, অভিযুক্তদের ফৌজদারী আইনে মামলা করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার।
No comments