রাশিয়ার পরবর্তী টার্গেট হতে পারে নিউ ইয়র্ক: সতর্কতা যুক্তরাষ্ট্রের
লন্ডনে
পক্ষত্যাগী সাবেক রুশ কূটনীতিককে বিষ প্রয়োগের ঘটনায় রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতার
কঠোর সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি।
তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এ ঘটনায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে না
পারলে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগে হত্যাচেষ্টায় দেশটির পরবর্তী টার্গেট হতে
পারে নিউ ইয়র্ক। বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি অধিবেশনে তিনি এ
মন্তব্য করেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
রাসায়নিক প্রয়োগে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা নিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান নিকি হ্যালি। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে বিশ্বনেতারা ব্যর্থ হলে রাসায়নিক অস্ত্রের প্রয়োগ কেবল যুক্তরাজ্যের সলসবেরিতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। নিউ ইয়র্ক কিংবা নিরাপত্তা পরিষদের যে কোনও সদস্য দেশের যে কোনও নগরীতে এই অস্ত্র প্রয়োগ করা হতে পারে।
এর আগে পক্ষত্যাগী রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়ে ইউলিয়ার ওপর লন্ডনে রাসায়নিক হামলার দায়ে ১৪ মার্চ যুক্তরাজ্যে নিয়োজিত ২৩ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের দেশত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে দেওয়া বক্তব্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।
যুক্তরাজ্যে বসবাসরত পক্ষত্যাগী সাবেক রুশ গোয়েন্দা সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়েকে বিষ প্রয়োগে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দায়ী করেন থেরেসা মে। পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য এ ঘটনাকে হুমকি হিসেবেই বিবেচনা করছে। যদি তারা (রাশিয়া) কোনও যুক্তি দেখাতে না পারে তাহলে একে রাষ্ট্রদ্রোহী তৎপরতা হিসেবে দেখা হবে।
থেরেসা মে বলেন, এটি হয়তো আমাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সরাসরি হামলা। অথবা দেশটির সরকার নিজের সামরিক বাহিনীর ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে।
পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে মঙ্গলবার মধ্যরাতের মধ্যে মস্কোকে এই ঘটনার গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন থেরেসা মে। কিন্তু রুশ কর্তৃপক্ষ তাতে কর্ণপাত না করায় যুক্তরাজ্যে দায়িত্বরত ২৩ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মস্কো। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, তার দেশও শিগগিরই ব্রিটিশ কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ পরিকল্পনার কথা জানান।
স্পুটনিক থেকে সের্গেই ল্যাভরভের কাছে জানতে চাওয়া হয়, রাশিয়াও ব্রিটিশ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করবে কিনা? উত্তরে তিনি বলেন, অবশ্যই। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি শিগগিরই এটা করা হবে।
বিষ প্রয়োগের ঘটনায় রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকারের অভিযোগকে কাণ্ডজ্ঞানহীন হিসেবে আখ্যায়িত করেন সের্গেই ল্যাভরভ।
এর আগে লন্ডনের রুশ দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের যে ক্ষতি হলো তার দায় যুক্তরাজ্যকেই বহন করতে হবে। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ইয়াকোভেঙ্কো’ও এ ঘটনায় যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধেও পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
গত ৪ মার্চ সালসবেরি শহরের একটি বিপণিকেন্দ্রের বেঞ্চে সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার ৩৩ বছরের কন্যা ইউলিয়াকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে এ ঘটনায় ব্যবহৃত নার্ভ এজেন্টের সন্ধান পায় ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। কন্যাকে নিয়ে সের্গেই স্ক্রিপাল যেখানে দুপুরের খাবার খেয়েছিলেন- জিজ্জি নামের সলসবেরির ওই পিজার দোকানেই তার স্নায়ুকে আঘাতকারী এই নার্ভ এজেন্টের খোঁজ মিলেছে। অন্তত পাঁচটি স্থানে ফরেনসিক তদন্ত চালানোর পর পিজার দোকানে এর সন্ধান মিলে।
জিজ্জিতে দুপুরের খাবারের অন্তত দুঘণ্টা পর সাবেক ওই রুশ গুপ্তচর ও তার মেয়েকে অত্যন্ত সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় কাছের একটি পার্ক থেকে উদ্ধার করা হয়। তাদের উদ্ধারে যাওয়া একজন পুলিশ কর্মকর্তাও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়ে ইউলিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উল্লেখ্য, নার্ভ এজেন্ট হচ্ছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক, যা স্নায়ুতন্ত্রকে বিকল বা অকার্যকর করে দিতে পারে। এতে দৈহিক কর্মক্ষমতা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
রাসায়নিক প্রয়োগে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা নিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান নিকি হ্যালি। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে বিশ্বনেতারা ব্যর্থ হলে রাসায়নিক অস্ত্রের প্রয়োগ কেবল যুক্তরাজ্যের সলসবেরিতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। নিউ ইয়র্ক কিংবা নিরাপত্তা পরিষদের যে কোনও সদস্য দেশের যে কোনও নগরীতে এই অস্ত্র প্রয়োগ করা হতে পারে।
এর আগে পক্ষত্যাগী রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়ে ইউলিয়ার ওপর লন্ডনে রাসায়নিক হামলার দায়ে ১৪ মার্চ যুক্তরাজ্যে নিয়োজিত ২৩ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের দেশত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে দেওয়া বক্তব্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।
যুক্তরাজ্যে বসবাসরত পক্ষত্যাগী সাবেক রুশ গোয়েন্দা সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়েকে বিষ প্রয়োগে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দায়ী করেন থেরেসা মে। পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য এ ঘটনাকে হুমকি হিসেবেই বিবেচনা করছে। যদি তারা (রাশিয়া) কোনও যুক্তি দেখাতে না পারে তাহলে একে রাষ্ট্রদ্রোহী তৎপরতা হিসেবে দেখা হবে।
থেরেসা মে বলেন, এটি হয়তো আমাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সরাসরি হামলা। অথবা দেশটির সরকার নিজের সামরিক বাহিনীর ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে।
পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে মঙ্গলবার মধ্যরাতের মধ্যে মস্কোকে এই ঘটনার গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন থেরেসা মে। কিন্তু রুশ কর্তৃপক্ষ তাতে কর্ণপাত না করায় যুক্তরাজ্যে দায়িত্বরত ২৩ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মস্কো। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, তার দেশও শিগগিরই ব্রিটিশ কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ পরিকল্পনার কথা জানান।
স্পুটনিক থেকে সের্গেই ল্যাভরভের কাছে জানতে চাওয়া হয়, রাশিয়াও ব্রিটিশ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করবে কিনা? উত্তরে তিনি বলেন, অবশ্যই। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি শিগগিরই এটা করা হবে।
বিষ প্রয়োগের ঘটনায় রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকারের অভিযোগকে কাণ্ডজ্ঞানহীন হিসেবে আখ্যায়িত করেন সের্গেই ল্যাভরভ।
এর আগে লন্ডনের রুশ দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের যে ক্ষতি হলো তার দায় যুক্তরাজ্যকেই বহন করতে হবে। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ইয়াকোভেঙ্কো’ও এ ঘটনায় যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধেও পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
গত ৪ মার্চ সালসবেরি শহরের একটি বিপণিকেন্দ্রের বেঞ্চে সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার ৩৩ বছরের কন্যা ইউলিয়াকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে এ ঘটনায় ব্যবহৃত নার্ভ এজেন্টের সন্ধান পায় ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। কন্যাকে নিয়ে সের্গেই স্ক্রিপাল যেখানে দুপুরের খাবার খেয়েছিলেন- জিজ্জি নামের সলসবেরির ওই পিজার দোকানেই তার স্নায়ুকে আঘাতকারী এই নার্ভ এজেন্টের খোঁজ মিলেছে। অন্তত পাঁচটি স্থানে ফরেনসিক তদন্ত চালানোর পর পিজার দোকানে এর সন্ধান মিলে।
জিজ্জিতে দুপুরের খাবারের অন্তত দুঘণ্টা পর সাবেক ওই রুশ গুপ্তচর ও তার মেয়েকে অত্যন্ত সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় কাছের একটি পার্ক থেকে উদ্ধার করা হয়। তাদের উদ্ধারে যাওয়া একজন পুলিশ কর্মকর্তাও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়ে ইউলিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উল্লেখ্য, নার্ভ এজেন্ট হচ্ছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক, যা স্নায়ুতন্ত্রকে বিকল বা অকার্যকর করে দিতে পারে। এতে দৈহিক কর্মক্ষমতা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
No comments