ওরা ১১ জন: যেন সিলেটেরই ছেলেমেয়ে আর আসবে না কখনো by চৌধুরী মুমতাজ আহমদ
আকাশে
উড়ছিল বিমান। সঙ্গে উড়ছিল তাদের স্বপ্নও। স্বপ্নকে মুঠোবন্দি করবে বলেই
তারা বাবা-মা, পরিবার-পরিজন আর প্রিয় মাতৃভূমি ছেড়ে এসেছিলেন দূর পরবাসে।
তাদের চোখে ছিল চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন। হিমালয়ের কোল ছেড়ে তারা পড়তে
এসেছিলেন বাংলাদেশের সিলেটে চা বাগানের কোলে গড়ে ওঠা জালালাবাদ
রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজে। ৫ বছরের সাধনা শেষে চূড়ান্ত পরীক্ষাও দিয়েছেন।
পরীক্ষার ফল বেরুলেই নামের পাশে বসে যাবে ডক্টর শব্দটি। তাদের তো হাওয়ায়ই ভেসে বেড়ানোর কথা। আশনা সানিয়া, আঞ্জিলা শ্রেষ্ঠা, সারুনা শ্রেষ্ঠা, শ্বেতা থাপা, পূর্ণিমা লোহানী, মিলি মেহেরজান, নেগা মেহেরজান, সঞ্চয় মেহেরজান, সঞ্চয় পদুয়াল, সামিরা বায়ানজানকার, চারু বড়াল, আলগিনা বড়াল, শিলা বাজগাইন, প্রিন্সি ধাম-এই ১৩ নেপালি শিক্ষার্থী স্বপ্ন ছোঁয়ার আনন্দ চোখে-মুখে মেখে নিয়ে উঠেছিলেন বেসরকারি বিমান সংস্থার নেপালগামী উড়োজাহাজে। আর ওদিকে নেপালে বাবা-মা, পরিবার-পরিজন অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলেন হবু ডাক্তারদের বুকে জড়িয়ে নিতে।
ঢাকা থেকে উড়ে যাওয়া উড়োজাহাজটি ঠিকই ছুঁয়েছিল নেপালের মাটি। কিন্তু বিমানটি মাটিতে স্বাভাবিকভাবে নামেনি। আছড়ে পড়ে মাটিতে। বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। ঝরে পড়ে ৪৯টি প্রাণ। তার মাঝে ছিল সিলেট থেকে আসা নেপালি শিক্ষার্থীদের ১১ জন। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় শিলা বাজগাইন, প্রিন্সি ধাম। বিমান দুর্ঘটনার পরই আশঙ্কার কালো মেঘ ভর করে সিলেটের জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে। সহপাঠীরা উদ্বিগ্ন, না জানি কি পরিণতি হয়েছে নেপালি বন্ধুদের, শিক্ষকরাও আশঙ্কায় কান পেতে আছেন। সবারই চাওয়া যেনো কোনো দুঃসংবাদ না আসে। তবে দুঃসংবাদ ঠিকই আসে, ১৩ শিক্ষার্থীর ১১ জন মারা যান বিমান দুর্ঘটনায়। যার মধ্যে রয়েছেন ৯ ছাত্রী আর এক ছাত্র। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান শুধু ছাত্রী। এমন মৃত্যুতে শোকাহত রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। শোকে স্তব্ধ শিক্ষকরাও। নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কলেজে চলছে ৩ দিনের শোক কর্মসূচি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বুকে শোকের কালোব্যাজ ধারণ করে আছেন। এছাড়াও কলেজের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে এবং সব ক্লাস এবং পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে শোকের চাদরেই যেনো ঢাকা পড়ে আছে রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ। ক্যাম্পাসের পথে পথে, ক্লাসরুমে, হোস্টেলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নিহত শিক্ষার্থীদের স্মৃতি। এখন কেবলই তারই রোমন্থন চলছে অশ্রুসিক্ত নয়নে। শিক্ষকরা, সহপাঠীরা কিছুতেই ভুলতে পারছেন না ওদের হাসিমাখা মুখ। কানে বাজছে ওদের কণ্ঠ, ভাঙা ভাঙা বাংলায় বলা ওদের কথাগুলো যেনো ভেসে বেড়াচ্ছে ক্যাম্পাসের শোকে ভারী হওয়া বাতাসে। তারাপুর হয়ে পাঠানটুলা, সে পথ থেকে নগরীর জিন্দাবাজার, আম্বরখানা কোথায় পা পড়েনি প্রাণোচ্ছল ওই শিক্ষার্থীদের। তাদের পদচিহ্ন হারিয়ে সিলেটও আজ শোকাকুল। দূর দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা যেনো সিলেটেরই ভাইবোন, সিলেটেরই ছেলেমেয়ে।
কথা হয় মনোজ কুমার যাদবের সঙ্গে। তিনিও নেপাল থেকে পড়তে এসেছেন সিলেটে। অবশ্য তিনি এখন পুরোদস্তুর ডাক্তার। ইন্টার্নশিপ করছেন। বললেন, পুরো ক্যাম্পাসজুড়েই এখন শোকের ছায়া। জানালেন তাদেরই এক বন্ধুর বোন মারা গেছেন বিমান দুর্ঘটনায়। আলগিনা বড়াল নামের নিহত ওই শিক্ষার্থী তাদের বন্ধু এরিকা বড়ালের ছোট বোন। বুধবারই এরিকা নেপাল গেছেন বোনের শেষকৃত্যে অংশ নিতে।
সোমবার ঢাকা থেকে যাওয়া বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয় নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ৭১ আরোহীর মধ্যে ৪৯ জনই মারা যান। বাংলাদেশি ৩৬ আরোহীর মধ্যে মারা যান ২৬ জনই। ওই উড়োজাহাজেই আরোহী ছিলেন জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ১৯তম ব্যাচের ১৩ শিক্ষার্থী-যাদের ১১ জনই চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
পরীক্ষার ফল বেরুলেই নামের পাশে বসে যাবে ডক্টর শব্দটি। তাদের তো হাওয়ায়ই ভেসে বেড়ানোর কথা। আশনা সানিয়া, আঞ্জিলা শ্রেষ্ঠা, সারুনা শ্রেষ্ঠা, শ্বেতা থাপা, পূর্ণিমা লোহানী, মিলি মেহেরজান, নেগা মেহেরজান, সঞ্চয় মেহেরজান, সঞ্চয় পদুয়াল, সামিরা বায়ানজানকার, চারু বড়াল, আলগিনা বড়াল, শিলা বাজগাইন, প্রিন্সি ধাম-এই ১৩ নেপালি শিক্ষার্থী স্বপ্ন ছোঁয়ার আনন্দ চোখে-মুখে মেখে নিয়ে উঠেছিলেন বেসরকারি বিমান সংস্থার নেপালগামী উড়োজাহাজে। আর ওদিকে নেপালে বাবা-মা, পরিবার-পরিজন অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলেন হবু ডাক্তারদের বুকে জড়িয়ে নিতে।
ঢাকা থেকে উড়ে যাওয়া উড়োজাহাজটি ঠিকই ছুঁয়েছিল নেপালের মাটি। কিন্তু বিমানটি মাটিতে স্বাভাবিকভাবে নামেনি। আছড়ে পড়ে মাটিতে। বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। ঝরে পড়ে ৪৯টি প্রাণ। তার মাঝে ছিল সিলেট থেকে আসা নেপালি শিক্ষার্থীদের ১১ জন। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় শিলা বাজগাইন, প্রিন্সি ধাম। বিমান দুর্ঘটনার পরই আশঙ্কার কালো মেঘ ভর করে সিলেটের জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে। সহপাঠীরা উদ্বিগ্ন, না জানি কি পরিণতি হয়েছে নেপালি বন্ধুদের, শিক্ষকরাও আশঙ্কায় কান পেতে আছেন। সবারই চাওয়া যেনো কোনো দুঃসংবাদ না আসে। তবে দুঃসংবাদ ঠিকই আসে, ১৩ শিক্ষার্থীর ১১ জন মারা যান বিমান দুর্ঘটনায়। যার মধ্যে রয়েছেন ৯ ছাত্রী আর এক ছাত্র। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান শুধু ছাত্রী। এমন মৃত্যুতে শোকাহত রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। শোকে স্তব্ধ শিক্ষকরাও। নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কলেজে চলছে ৩ দিনের শোক কর্মসূচি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বুকে শোকের কালোব্যাজ ধারণ করে আছেন। এছাড়াও কলেজের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে এবং সব ক্লাস এবং পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে শোকের চাদরেই যেনো ঢাকা পড়ে আছে রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ। ক্যাম্পাসের পথে পথে, ক্লাসরুমে, হোস্টেলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নিহত শিক্ষার্থীদের স্মৃতি। এখন কেবলই তারই রোমন্থন চলছে অশ্রুসিক্ত নয়নে। শিক্ষকরা, সহপাঠীরা কিছুতেই ভুলতে পারছেন না ওদের হাসিমাখা মুখ। কানে বাজছে ওদের কণ্ঠ, ভাঙা ভাঙা বাংলায় বলা ওদের কথাগুলো যেনো ভেসে বেড়াচ্ছে ক্যাম্পাসের শোকে ভারী হওয়া বাতাসে। তারাপুর হয়ে পাঠানটুলা, সে পথ থেকে নগরীর জিন্দাবাজার, আম্বরখানা কোথায় পা পড়েনি প্রাণোচ্ছল ওই শিক্ষার্থীদের। তাদের পদচিহ্ন হারিয়ে সিলেটও আজ শোকাকুল। দূর দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা যেনো সিলেটেরই ভাইবোন, সিলেটেরই ছেলেমেয়ে।
কথা হয় মনোজ কুমার যাদবের সঙ্গে। তিনিও নেপাল থেকে পড়তে এসেছেন সিলেটে। অবশ্য তিনি এখন পুরোদস্তুর ডাক্তার। ইন্টার্নশিপ করছেন। বললেন, পুরো ক্যাম্পাসজুড়েই এখন শোকের ছায়া। জানালেন তাদেরই এক বন্ধুর বোন মারা গেছেন বিমান দুর্ঘটনায়। আলগিনা বড়াল নামের নিহত ওই শিক্ষার্থী তাদের বন্ধু এরিকা বড়ালের ছোট বোন। বুধবারই এরিকা নেপাল গেছেন বোনের শেষকৃত্যে অংশ নিতে।
সোমবার ঢাকা থেকে যাওয়া বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয় নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ৭১ আরোহীর মধ্যে ৪৯ জনই মারা যান। বাংলাদেশি ৩৬ আরোহীর মধ্যে মারা যান ২৬ জনই। ওই উড়োজাহাজেই আরোহী ছিলেন জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ১৯তম ব্যাচের ১৩ শিক্ষার্থী-যাদের ১১ জনই চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
No comments