অবসানেও ফুরোয় না যে জীবন
স্টিফেন
হকিং, নিজের অদম্য ইচ্ছা আর বুদ্ধিমত্তায় বারবার যেন মৃত্যুকে ফাঁকি দিয়ে
বেঁচে থাকা এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। হার না মানার জন্য বিশ্বজুড়ে প্রতীক ও
অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন এই মহাকাশ বিজ্ঞানী। ৭৬ বছর বয়সে মারা যাওয়া এই
বিজ্ঞানীর একটা ছবিই সবার সামনে যেন ভেসে ওঠে। হুইলচেয়ারে বসে একপাশে মাথা
নোয়ানো। তবে এই হুইলচেয়ার বাধা হয়নি। তার মস্তিষ্ক ঠিকই চষে বেরিয়েছে
মহাবিশ্ব। কৃষ্ণগহ্বরের অতল থেকে খুঁজে বের করেছেন তথ্য, বিলিয়েছেন
পৃথিবীতে।
দীর্ঘদিন যাবত মোটরনিউরন ডিজিজের সঙ্গে লড়াই করে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত এবং সুপরিচিত একজন বিজ্ঞানী স্টিভেন হকিং। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হকিং ছিলেন রসবোধ সম্পন্ন একজন মানুষ, বিজ্ঞানের একজন জনপ্রিয় দূত এবং তিনি সব সময় নিশ্চিত করতেন যেন তার কাজ সাধারণ মানুষেরা সহজে বুঝতে পারেন। তিনি বলতেন, জীবনে যদি আনন্দ না থাকে তবে সেই জীবন অর্থহীন।
তার লেখা বই 'এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম' অনেকটা ধারণার বাইরে বেস্ট সেলার বা সবচেয়ে বিক্রিত বইয়ে পরিণত হয়। ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত এই বইটি বিক্রি হয়েছে এক কোটিরও বেশি। জীবদ্দশায় তিনি বেশ কিছু টেলিভিশন প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছেন এবং তার কৃত্রিম কণ্ঠস্বরে কথা বলেছেন।
হকিংয়ের বেড়ে ওঠা
১৯৪২ সালে ৮ই জানুয়ারি অক্সফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন স্টিভেন উইলিয়াম হকিং। তার বাবা ছিলেন একজন জীববিজ্ঞানের গবেষক। জার্মানি বোমার আঘাত থেকে বাঁচতে স্টিভেন হকিং ও তার মাকে নিয়ে জন্য লন্ডনে পালিয়ে যান তিনি।
এরপর লন্ডন এবং সেন্ট অ্যালবানসেই বেড়ে ওঠেন হকিং। তিনি অক্সফোর্ডে পদার্থবিদ্যার ওপর প্রথম শ্রেণীর ডিগ্রি অর্জন করে কেমব্রিজে কসমোলজির উপর স্নাতকোত্তর গবেষণা করেন। কেমব্রিজে গবেষণা করার সময় তার মোটর নিউরন রোগ ধরা পরে যেটা তাকে প্রায় সম্পূর্ণভাবে অচল করে দেয়। ১৯৬৪ সালে যখন তিনি তার প্রথম স্ত্রী জেনকে বিয়ে করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন চিকিৎসকরা বলে দেন তিনি বড়জোর দুই থেকে তিন বছর বাঁচবেন। এরপর কেটে গেছে অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময়। ঠিকই সকল পূর্বাভাসকে মিথ্যা প্রমাণ করে বেঁচে ছিলেন তিনি। খুঁজে বের করেছেন মানবজাতির কাছে অনেক অজানা তথ্য।
হকিংয়ের রোগটি যতটা দ্রুত ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছিল তার চেয়ে কম গতিতে ছড়ায়।
১৯৮৮ সালে প্রকাশ হয় তার বই 'এ ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম'। বইটির এক কোটিরও বেশি কপি বিক্রি হয়। সেবছরই তার এমন অবস্থা হয় যে তাকে শুধু কৃত্রিম উপায়েই কথা বলতে হতো। স্বাভাবিক বাকশক্তিও হারিয়ে ফেলেন তিনি।
তারকাখ্যাতি
কৃষ্ণগহ্বর কিভাবে শক্তিক্ষয় করতে করতে শূন্যে মিলিয়ে যায় তাই তুলে ধরেন স্টিভেন হকিং।পরবর্তীতে এটি পরিচিতি পায় হকিং বিকিরণ নামে। গাণিতিক হিসেব এবং পরীক্ষা ছাড়া বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক বিষয় তুলে ধরার অসাধারণ ক্ষমতার কারণে তিনি বিশেষভাবে পরিচিতি পান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে তাকে ‘নাম্বার ওয়ান সেলেব্রিটি সাইন্টিস্ট’ বলে উল্লেখ করা হয়। অনেক মানুষ তার বক্তৃতা শোনার জন্য জড়ো হতেন।
তবে তার "থিওরি অফ এভরিথিং" বা "সবকিছুর তত্ত্ব" মানুষকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে- যাতে তিনি ধারণা দেন যে মহাবিশ্ব কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যেই বিবর্তিত হয়। এই তত্ত্ব নিয়ে পরবর্তীতে সিনেমাও তৈরি হয় হলিউডে। ২০১৪ সালে স্টিফেন হকিংয়ের জীবন নিয়ে তৈরি হয় 'থিওরি অফ এভরিথিং' চলচ্চিত্র। জেন হকিংয়ের বর্ণনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয় চলচ্চিত্রটি।
‘এই মহাবিশ্বের শুরু কীভাবে হলো- এমন সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে এসব নিয়ম’, তিনি বলেন, ‘কবে এর শেষ হবে? কীভাবে শেষ হবে? এসবের উত্তর যদি আমরা জানতে পারি, তাহলে আমরা আসলেই ঈশ্বরের মন বুঝতে পারবো।’
হলিউড ছাড়াও ছোট পর্দাতেও তাকে নিয়ে কাজ চলেছে। বিখ্যাত মার্কিন কার্টুন সিম্পসনেও তার তারকা খ্যাতির চিহ্ন দেখা যায়- সিম্পসনের একটি পর্বে দেখানো হয় যে তিনি একটি পানশালায় কার্টুনটির কেন্দ্রীয় চরিত্র হোমারের সাথে মদ্যপান করছেন এবং মহাবিশ্ব ডোনাট আকৃতির, হোমারের এমন একটি ধারণা চুরি করার চেষ্টা করছেন।
এছাড়াও তাকে বিবিসির জনপ্রিয় কমেডি সিরিজ রেড ডোয়ার্ফ, মার্কিন সিরিজ স্টার ট্রেক: নেক্সট জেনারেশন এবং বিগ ব্যাং থিওরির কয়েকটি পর্বে দেখা যায় স্টিফেন হকিং চরিত্রকে।
তার ভঙ্গুর শারীরিক অবস্থা সত্ত্বেও তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লুকেসিয়ান অধ্যাপক হিসেবে তার কাজ চালিয়ে যান এবং ২০০১ সালে তার দ্বিতীয় বই- ‘ইউনিভার্স ইন এ নাটশেল’ প্রকাশিত হয়।
দীর্ঘদিন যাবত মোটরনিউরন ডিজিজের সঙ্গে লড়াই করে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত এবং সুপরিচিত একজন বিজ্ঞানী স্টিভেন হকিং। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হকিং ছিলেন রসবোধ সম্পন্ন একজন মানুষ, বিজ্ঞানের একজন জনপ্রিয় দূত এবং তিনি সব সময় নিশ্চিত করতেন যেন তার কাজ সাধারণ মানুষেরা সহজে বুঝতে পারেন। তিনি বলতেন, জীবনে যদি আনন্দ না থাকে তবে সেই জীবন অর্থহীন।
তার লেখা বই 'এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম' অনেকটা ধারণার বাইরে বেস্ট সেলার বা সবচেয়ে বিক্রিত বইয়ে পরিণত হয়। ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত এই বইটি বিক্রি হয়েছে এক কোটিরও বেশি। জীবদ্দশায় তিনি বেশ কিছু টেলিভিশন প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছেন এবং তার কৃত্রিম কণ্ঠস্বরে কথা বলেছেন।
হকিংয়ের বেড়ে ওঠা
১৯৪২ সালে ৮ই জানুয়ারি অক্সফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন স্টিভেন উইলিয়াম হকিং। তার বাবা ছিলেন একজন জীববিজ্ঞানের গবেষক। জার্মানি বোমার আঘাত থেকে বাঁচতে স্টিভেন হকিং ও তার মাকে নিয়ে জন্য লন্ডনে পালিয়ে যান তিনি।
এরপর লন্ডন এবং সেন্ট অ্যালবানসেই বেড়ে ওঠেন হকিং। তিনি অক্সফোর্ডে পদার্থবিদ্যার ওপর প্রথম শ্রেণীর ডিগ্রি অর্জন করে কেমব্রিজে কসমোলজির উপর স্নাতকোত্তর গবেষণা করেন। কেমব্রিজে গবেষণা করার সময় তার মোটর নিউরন রোগ ধরা পরে যেটা তাকে প্রায় সম্পূর্ণভাবে অচল করে দেয়। ১৯৬৪ সালে যখন তিনি তার প্রথম স্ত্রী জেনকে বিয়ে করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন চিকিৎসকরা বলে দেন তিনি বড়জোর দুই থেকে তিন বছর বাঁচবেন। এরপর কেটে গেছে অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময়। ঠিকই সকল পূর্বাভাসকে মিথ্যা প্রমাণ করে বেঁচে ছিলেন তিনি। খুঁজে বের করেছেন মানবজাতির কাছে অনেক অজানা তথ্য।
হকিংয়ের রোগটি যতটা দ্রুত ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছিল তার চেয়ে কম গতিতে ছড়ায়।
১৯৮৮ সালে প্রকাশ হয় তার বই 'এ ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম'। বইটির এক কোটিরও বেশি কপি বিক্রি হয়। সেবছরই তার এমন অবস্থা হয় যে তাকে শুধু কৃত্রিম উপায়েই কথা বলতে হতো। স্বাভাবিক বাকশক্তিও হারিয়ে ফেলেন তিনি।
তারকাখ্যাতি
কৃষ্ণগহ্বর কিভাবে শক্তিক্ষয় করতে করতে শূন্যে মিলিয়ে যায় তাই তুলে ধরেন স্টিভেন হকিং।পরবর্তীতে এটি পরিচিতি পায় হকিং বিকিরণ নামে। গাণিতিক হিসেব এবং পরীক্ষা ছাড়া বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক বিষয় তুলে ধরার অসাধারণ ক্ষমতার কারণে তিনি বিশেষভাবে পরিচিতি পান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে তাকে ‘নাম্বার ওয়ান সেলেব্রিটি সাইন্টিস্ট’ বলে উল্লেখ করা হয়। অনেক মানুষ তার বক্তৃতা শোনার জন্য জড়ো হতেন।
তবে তার "থিওরি অফ এভরিথিং" বা "সবকিছুর তত্ত্ব" মানুষকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে- যাতে তিনি ধারণা দেন যে মহাবিশ্ব কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যেই বিবর্তিত হয়। এই তত্ত্ব নিয়ে পরবর্তীতে সিনেমাও তৈরি হয় হলিউডে। ২০১৪ সালে স্টিফেন হকিংয়ের জীবন নিয়ে তৈরি হয় 'থিওরি অফ এভরিথিং' চলচ্চিত্র। জেন হকিংয়ের বর্ণনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয় চলচ্চিত্রটি।
‘এই মহাবিশ্বের শুরু কীভাবে হলো- এমন সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে এসব নিয়ম’, তিনি বলেন, ‘কবে এর শেষ হবে? কীভাবে শেষ হবে? এসবের উত্তর যদি আমরা জানতে পারি, তাহলে আমরা আসলেই ঈশ্বরের মন বুঝতে পারবো।’
হলিউড ছাড়াও ছোট পর্দাতেও তাকে নিয়ে কাজ চলেছে। বিখ্যাত মার্কিন কার্টুন সিম্পসনেও তার তারকা খ্যাতির চিহ্ন দেখা যায়- সিম্পসনের একটি পর্বে দেখানো হয় যে তিনি একটি পানশালায় কার্টুনটির কেন্দ্রীয় চরিত্র হোমারের সাথে মদ্যপান করছেন এবং মহাবিশ্ব ডোনাট আকৃতির, হোমারের এমন একটি ধারণা চুরি করার চেষ্টা করছেন।
এছাড়াও তাকে বিবিসির জনপ্রিয় কমেডি সিরিজ রেড ডোয়ার্ফ, মার্কিন সিরিজ স্টার ট্রেক: নেক্সট জেনারেশন এবং বিগ ব্যাং থিওরির কয়েকটি পর্বে দেখা যায় স্টিফেন হকিং চরিত্রকে।
তার ভঙ্গুর শারীরিক অবস্থা সত্ত্বেও তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লুকেসিয়ান অধ্যাপক হিসেবে তার কাজ চালিয়ে যান এবং ২০০১ সালে তার দ্বিতীয় বই- ‘ইউনিভার্স ইন এ নাটশেল’ প্রকাশিত হয়।
শারীরিক অবস্থা ও ব্যক্তিগত জীবন
স্টিফেন হকিংয়ের বিশ্বাস, তার অসুস্থতা কিছুটা হলেও তার জন্য উপকারও বয়ে এনেছে। তিনি বলেছিলেন, অসুস্থ হবার আগে তিনি জীবন নিয়ে বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন।
অবশ্য তার শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিকভাবেই তাকে অন্যদের ওপর নির্ভরশীল করে তোলে। তিনি প্রায়সময়ই তার প্রথম প্রথম স্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতার কথা বলতেন, যিনি ২০ বছরেরও বেশি তার দেখাশোনা করেছেন। যদিও তিনি যখন তার একজন নার্সের জন্য প্রথম স্ত্রীর সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেন তখন তার বন্ধু এবং আত্মীয়-স্বজনরা বেশ অবাক হয়েছিলেন। ১৯৯৫ সালে তিনি তার সাবেক নার্সকে বিয়ে করেন। হকিংয়ের তিন সন্তান রয়েছেন।
২০০০ সাল নাগাদ আঘাতের কারণে তিনি বেশ কয়েকবার কেমব্রিজের একটি হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেন। ঐসময় একটি অভিযোগ আসে যে তিনি কয়েক বছর যাবত নানাভাবে মৌখিক এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করে।
তবে তিনি ছিলেন বেশ খেয়ালী। তার হুইলচেয়ারটিই তিনি প্রায়সময় বেপড়োয়াভাবে চালাতেন এবং হকিং বারবার বলেন যে, তার এসব আঘাত কোন নির্যাতনের কারণে হয়নি। পরে বিষয়টি নিয়ে পুলিশও আর আগায়নি।
জীবনের শেষদিন পর্যন্ত কোয়ান্টাম অভিকর্ষ নিয়ে কাজ করে গেছেন হকিং। তবে বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করতেই যেন এসেছিলেন তিনি। এ ব্রিফ হিস্টোরি অব টাইমের সাফল্যের পর আবারও লেখা শুরু করেন তিনি।
তবে স্বাভাবিকভাবেই হকিংয়ের জীবনযাপন খুবই ব্যয়বহুল ছিল। তাকে কোনও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানালেও আয়োজকদের নিতে হতো বাড়তি ব্যবস্থা। তবে তার কথা শুনতে জড়ো হতো অনেক মানুষ।
২০০৭ সালে তিনি প্রথম চলৎশক্তিহীন ব্যক্তি হিসেবে একটি বিশেষ বিমানে ওজনশূন্যতার অভিজ্ঞতা নেন। মানুষকে মহাকাশ ভ্রমণে উৎসাহ দেয়ার জন্যই তিনি এটি করেছেন বলে জানান।এই হুইলচেয়ারে করেই হকিং ঘুরে বেরিয়েছেন সারাবিশ্বে। শূন্যে ছিলেন, উত্তরমেরু পরিদর্শনে গিয়েছেন। নেমে গেছেন খনির মধ্যেও। সেখানে দেখা করেছেন অসংখ্য মানুষের সঙ্গে।
দিনে দিনে তার লেকচারেও এসেছে ভিন্নতা। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় তার বক্তৃতা হয়ে উঠতো আরও প্রাণবন্ত। কৃত্রিম উপায়ে যোগাযোগ করলেও সবকিছু থাকতো তার নিয়ন্ত্রণে। তার পরবর্তী বই দ্য ইলাস্ট্রেটেডপ ব্রিফ হিস্টোরি অব টাইম ও ইউনিভার্স ইন এ নাটশেলেও দেখা গিয়েছিল উন্নত গ্রাফিকস।
২০০৭ সালে নিজের মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে লিখেছিলেন বাচ্চাদের জন্য মহাকাশবিষয়ক বই জর্জস সিক্রেট কি টু ইউনিভার্স।
অর্জন
তার জীবনে অসংখ্য অর্জন রয়েছে। ৩২ বছর বয়সেই রয়েল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৬ সালে পান সর্বোচ্চ সম্মাননা কোপলি মেডেল। এছাড়া ১৯৭৯ সালে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের লুকাসিয়ান চেয়ার অব ন্যাচারাল ফিলোসফিতে বসার যোগ্যতা অর্জন করেন। স্যার আইজ্যাক নিউটনের পর ৩০০ বছরের মধ্যে তিনিই প্রথম বিজ্ঞানী যিনি এই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
হকিংয়ের শিক্ষার্থীরাও পরবর্তীতে অনেক সাফল্য পেয়েছে। তবে এই অবস্থাতেও শিক্ষার্থীদের শাসন করতেন তিনি। অনেকসময় তাদের পায়ের ওপর হুইলচেয়ারও তুলে দিতেন। তবে শিক্ষার্থীরা তার ক্লাস করার জন্য উন্মুখ থাকতেন।
No comments