ইরানকে মোকাবিলায় পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির হুমকি সৌদি যুবরাজের
ইরানকে
মোকাবিলায় পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির হুমকি দিয়েছেন সৌদি আরবের যুবরাজ
মোহাম্মদ বিন সালমান। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএস’কে
দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। আগামী শনিবার
সাক্ষাৎকারটি প্রচারের কথা রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার চ্যানেলটিতে এর চুম্বক
অংশ দেখানো হয়।
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে সৌদি আরবের ডি ফ্যাক্টো নেতা বা অনানুষ্ঠানিক সরকার প্রধান মনে করা হয়। সিবিএস’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব কোনও পারমাণবিক বোমা অর্জন করতে চায় না। তবে ইরান যদি পারমাণবিক বোমা তৈরি করে, তাহলে আমরাও যত দ্রুত সম্ভব তার অনুসরণ করবো।’
আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারে মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার লড়াই নতুন নয়। বরং এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে দুই দেশ কার্যত এক ধরনের ছায়াযুদ্ধে লিপ্ত। ১৯৭৯ সালে ইরানে সংঘটিত ইসলামি বিপ্লবের পর থেকেই ইরানকে শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করে আসছে সৌদি আরব। এরমধ্যেই তুরস্ক ও কাতারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে রিয়াদ। ইয়েমেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে সৌদি জোট। সব মিলিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে এ অঞ্চলে সৌদি আরবের ক্ষমতাবলয় এক ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এ নিয়ে দেশটির অস্বস্তি পরিষ্কার হয়েছে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাম্প্রতিক এক মন্তব্যে।
এ মাসের গোড়ার দিকে মিসর সফরকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি তুরস্ককে অশুভ ত্রিভুজের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন। তার ভাষায়, তুরস্ক, ইরান ও কট্টর ইসলামপন্থী দলগুলো নিয়ে একটি অশুভ ত্রিভুজ তৈরি হয়েছে। তুরস্কের বিরুদ্ধে শত বছর আগে পতন হওয়া অটোমান সাম্রাজ্য বা ইসলামি খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টারও অভিযোগ করেন সৌদি যুবরাজ।
মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ কাতারকে নিয়েও উপহাস করেন সৌদি সিংহাসনের এই পরবর্তী উত্তরাধিকারী। তিনি বলেন, উপসাগরীয় এই দেশটি কায়রোর একটি সড়কের চেয়েও ক্ষুদ্র। তবে দেশটির সঙ্গে সৌদি জোটের বিবাদ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এ সময় তিনি ৬০ বছর আগে কিউবার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করেন।
সৌদি যুবরাজ বলেন, আয়তনে ছোট হওয়ায় কাতারের সঙ্গে বিবাদের প্রতিক্রিয়াও খুব বেশি হবে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে তুরস্ক। সৌদি জোটের কাতারবিরোধী অবরোধ বলতে গেলে প্রায় একাই অকার্যকর করে দিয়েছে আঙ্কারা। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এবং মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে এরদোয়ান সরকারের সম্পর্ক নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে রিয়াদের। তুর্কি-ইরান সম্পর্ককেও ভালো চোখে দেখে না সৌদি আরব। এর বাইরে মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বও যেন সৌদি আরবের কাছ থেকে কেড়ে নিচ্ছে তুরস্ক। অন্যদিকে পুরনো শত্রু ইরানের ক্রমবর্ধমান সামরিক সক্ষমতা নিয়েও অস্বস্তি রয়েছে সৌদি আরবের। সব মিলিয়ে এই দুই দেশের প্রতি সৌদি সরকারের পুঞ্জিভূত ক্ষোভই যেন বিষোদগারে রূপ নিলো সৌদি যুবরাজের কণ্ঠে।
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে সৌদি আরবের ডি ফ্যাক্টো নেতা বা অনানুষ্ঠানিক সরকার প্রধান মনে করা হয়। সিবিএস’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব কোনও পারমাণবিক বোমা অর্জন করতে চায় না। তবে ইরান যদি পারমাণবিক বোমা তৈরি করে, তাহলে আমরাও যত দ্রুত সম্ভব তার অনুসরণ করবো।’
আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারে মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার লড়াই নতুন নয়। বরং এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে দুই দেশ কার্যত এক ধরনের ছায়াযুদ্ধে লিপ্ত। ১৯৭৯ সালে ইরানে সংঘটিত ইসলামি বিপ্লবের পর থেকেই ইরানকে শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করে আসছে সৌদি আরব। এরমধ্যেই তুরস্ক ও কাতারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে রিয়াদ। ইয়েমেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে সৌদি জোট। সব মিলিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে এ অঞ্চলে সৌদি আরবের ক্ষমতাবলয় এক ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এ নিয়ে দেশটির অস্বস্তি পরিষ্কার হয়েছে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাম্প্রতিক এক মন্তব্যে।
এ মাসের গোড়ার দিকে মিসর সফরকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি তুরস্ককে অশুভ ত্রিভুজের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন। তার ভাষায়, তুরস্ক, ইরান ও কট্টর ইসলামপন্থী দলগুলো নিয়ে একটি অশুভ ত্রিভুজ তৈরি হয়েছে। তুরস্কের বিরুদ্ধে শত বছর আগে পতন হওয়া অটোমান সাম্রাজ্য বা ইসলামি খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টারও অভিযোগ করেন সৌদি যুবরাজ।
মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ কাতারকে নিয়েও উপহাস করেন সৌদি সিংহাসনের এই পরবর্তী উত্তরাধিকারী। তিনি বলেন, উপসাগরীয় এই দেশটি কায়রোর একটি সড়কের চেয়েও ক্ষুদ্র। তবে দেশটির সঙ্গে সৌদি জোটের বিবাদ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এ সময় তিনি ৬০ বছর আগে কিউবার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করেন।
সৌদি যুবরাজ বলেন, আয়তনে ছোট হওয়ায় কাতারের সঙ্গে বিবাদের প্রতিক্রিয়াও খুব বেশি হবে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে তুরস্ক। সৌদি জোটের কাতারবিরোধী অবরোধ বলতে গেলে প্রায় একাই অকার্যকর করে দিয়েছে আঙ্কারা। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এবং মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে এরদোয়ান সরকারের সম্পর্ক নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে রিয়াদের। তুর্কি-ইরান সম্পর্ককেও ভালো চোখে দেখে না সৌদি আরব। এর বাইরে মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বও যেন সৌদি আরবের কাছ থেকে কেড়ে নিচ্ছে তুরস্ক। অন্যদিকে পুরনো শত্রু ইরানের ক্রমবর্ধমান সামরিক সক্ষমতা নিয়েও অস্বস্তি রয়েছে সৌদি আরবের। সব মিলিয়ে এই দুই দেশের প্রতি সৌদি সরকারের পুঞ্জিভূত ক্ষোভই যেন বিষোদগারে রূপ নিলো সৌদি যুবরাজের কণ্ঠে।
No comments