কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ টিয়ার শেল, ধরপাকড়
বাংলাদেশ
সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা প্রথার সংস্কার
দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঘেরাও
কর্মসূচিতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে এ
ঘটনা ঘটে। এ সময় আটক করা হয়েছে ৫৩ জনকে। টিয়ার গ্যাস ও লাঠিপেটায় আহত
হয়েছেন বেশ ক’জন। প্রতিবাদে ১৮ই মার্চ সন্ধ্যায় দেশের সকল কলেজ ও
বিশ্ববিদ্যালয়ে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারীরা।
গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যা থেকে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন
শিক্ষার্থীরা। ঢাকায় আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তারের খবরে ঢাকা আরিচা সড়ক অবরোধ
ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে সারা দেশে গত কিছুদিন ধরে এ আন্দোলন চলছে। অভিন্ন ব্যানারে সারা দেশে গতকালও একই দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত ছিল। স্মারকলিপি দিয়েছিল জেলা প্রশাসকদের। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে বের হয়। এতে অংশ নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশী। মিছিলটি জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে ঘুরে টিএসসি, দোয়েল চত্বর হয়ে হাইকোর্ট মোড়ে এসে অবস্থান নেয়। এ সময় আন্দোলকারী শিক্ষার্থীরা ‘কোটা দিয়ে কামলা নয়, মেধা দিয়ে আমলা চাই’; ‘এক দফা এক দাবি, কোটা প্রথার সংস্কার চাই’; ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, কোটা বৈষম্যের ঠাঁই নাই’; ‘শেখ হাসিনার বাংলায়, কোটা বৈষম্যের ঠাঁই নাই’; ‘ইহা কোটা নয়, বৈষম্য’; ‘১০ ভাগের বেশি কোটা নয়’; ‘স্বাধীনতার মূলমন্ত্র, কোটা প্রথার সংস্কার কর’সহ বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করে।
এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘আমরা আশা করবো সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা আধা ঘণ্টার মধ্যে এখানে এসে আমাদের আশ্বস্ত করবেন। নতুবা আমরা মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।’
এক পর্যায়ে কোনো ধরনের উসকানি ছাড়া পুলিশ আন্দোলনকারীদের উপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা শুরু করে। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় আন্দোলনকারীরা। আহত হয় বেশ ক’জন। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ সময় আটক করা হয় সোহরাব, আরিফুল ইসলাম ও জহির নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে। আটকের পর তাদের রমনা থানায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এদিকে, পুলিশের বাধার মুখে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নেয়। আধা ঘণ্টা সেখানে অবস্থান শেষে আগামী ১৮ই মার্চ দেশের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি ঘোষণা করে। এদিকে দুপুরের পর আটকদের ছাড়াতে গেলে রমনা থানায় আরো ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে খবর পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে জড়ো হয় শত শত শিক্ষার্থী। একপর্যায়ে তারা মিছিল নিয়ে বিকাল সোয়া ৪টার দিকে রমনা থানার উদ্দেশে বের হয়। মিছিলটি পরীবাগ এলাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পুলিশ কনভেনশন হলের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দেয়া হয়। এ সময় রাস্তায় বসে স্লোগান দিতে থাকে আন্দোলনকারীরা। পুলিশ তাদের সরে যেতে অনুরোধ করলে বাকবিতণ্ডা হয় তাদের মধ্যে। একপর্যায়ে পুলিশ মারমুখী হলে আন্দোলনকারীরা পরীবাগ ত্যাগ করে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যায়। শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে অবস্থান করে দাবির পক্ষে স্লোগান দিতে থাকে তারা। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছিলেন। এ বিষয়ে রমনা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মারুফ হোসেন সর্দার বলেন, আন্দোলনের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির কারণে আন্দোলনকারীদের বাধা দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে অনেককে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা সংস্কার করে ১০ শতাংশে নিয়ে আসার দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলন করছেন। বিভিন্ন সময় আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা বিক্ষোভ, অবস্থান কর্মসূচি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। আন্দোলনকারীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬% থেকে ১০% এ নিয়ে আসা; কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্য থাকা পদসমূহে মেধায় নিয়োগ দেয়া; কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা নয়; সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ করা এবং চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে সারা দেশে গত কিছুদিন ধরে এ আন্দোলন চলছে। অভিন্ন ব্যানারে সারা দেশে গতকালও একই দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত ছিল। স্মারকলিপি দিয়েছিল জেলা প্রশাসকদের। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে বের হয়। এতে অংশ নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশী। মিছিলটি জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে ঘুরে টিএসসি, দোয়েল চত্বর হয়ে হাইকোর্ট মোড়ে এসে অবস্থান নেয়। এ সময় আন্দোলকারী শিক্ষার্থীরা ‘কোটা দিয়ে কামলা নয়, মেধা দিয়ে আমলা চাই’; ‘এক দফা এক দাবি, কোটা প্রথার সংস্কার চাই’; ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, কোটা বৈষম্যের ঠাঁই নাই’; ‘শেখ হাসিনার বাংলায়, কোটা বৈষম্যের ঠাঁই নাই’; ‘ইহা কোটা নয়, বৈষম্য’; ‘১০ ভাগের বেশি কোটা নয়’; ‘স্বাধীনতার মূলমন্ত্র, কোটা প্রথার সংস্কার কর’সহ বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করে।
এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘আমরা আশা করবো সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা আধা ঘণ্টার মধ্যে এখানে এসে আমাদের আশ্বস্ত করবেন। নতুবা আমরা মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।’
এক পর্যায়ে কোনো ধরনের উসকানি ছাড়া পুলিশ আন্দোলনকারীদের উপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা শুরু করে। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় আন্দোলনকারীরা। আহত হয় বেশ ক’জন। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ সময় আটক করা হয় সোহরাব, আরিফুল ইসলাম ও জহির নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে। আটকের পর তাদের রমনা থানায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এদিকে, পুলিশের বাধার মুখে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নেয়। আধা ঘণ্টা সেখানে অবস্থান শেষে আগামী ১৮ই মার্চ দেশের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি ঘোষণা করে। এদিকে দুপুরের পর আটকদের ছাড়াতে গেলে রমনা থানায় আরো ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে খবর পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে জড়ো হয় শত শত শিক্ষার্থী। একপর্যায়ে তারা মিছিল নিয়ে বিকাল সোয়া ৪টার দিকে রমনা থানার উদ্দেশে বের হয়। মিছিলটি পরীবাগ এলাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পুলিশ কনভেনশন হলের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দেয়া হয়। এ সময় রাস্তায় বসে স্লোগান দিতে থাকে আন্দোলনকারীরা। পুলিশ তাদের সরে যেতে অনুরোধ করলে বাকবিতণ্ডা হয় তাদের মধ্যে। একপর্যায়ে পুলিশ মারমুখী হলে আন্দোলনকারীরা পরীবাগ ত্যাগ করে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যায়। শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে অবস্থান করে দাবির পক্ষে স্লোগান দিতে থাকে তারা। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছিলেন। এ বিষয়ে রমনা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মারুফ হোসেন সর্দার বলেন, আন্দোলনের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির কারণে আন্দোলনকারীদের বাধা দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে অনেককে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা সংস্কার করে ১০ শতাংশে নিয়ে আসার দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলন করছেন। বিভিন্ন সময় আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা বিক্ষোভ, অবস্থান কর্মসূচি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। আন্দোলনকারীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬% থেকে ১০% এ নিয়ে আসা; কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্য থাকা পদসমূহে মেধায় নিয়োগ দেয়া; কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা নয়; সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ করা এবং চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা।
No comments