ডায়াবেটিস : কী করবেন কী করবেন না
ডায়াবেটিস
এমন একটি রোগ যা সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়, অথচ যথাযথ চিকিৎসার অভাবে এটি
হার্টের রোগ, অন্ধত্ব, কিডনির বিকলতা এমনকি জীবনের জন্য হুমকি পর্যন্ত হতে
পারে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ডায়াবেটিস ধরা পড়লে এবং তা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ
করলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। যে-কেউ যেকোনো বয়সে
ডায়াবেটিস আক্রান্ত হতে পারে। আবার অনেক সময় গর্ভবতী অবস্থায় প্রসূতিদের
ডায়াবেটিস ধরা পড়ে, একে বলা হয় গর্ভকালীন ডায়াবেটিস। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে
বংশগত কারণে ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। আবার কখনো কখনো দেহের অন্য কোনো জটিলতা,
যেমন : অগ্ন্যাশয়ের বিভিন্ন রোগ, অন্যান্য হরমোন আধিক্য, কোনো কোনো সংক্রমণ
ব্যাধি এবং ওষুধ ও রাসায়নিক দ্রব্যের কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে।
কিভাবে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যায়?
• দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। তাই বেশি পরিমাণ চিনিযুক্ত ও চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন।
• নিজেকে সচল রাখুন। কায়িক পরিশ্রম হয় এ রকম কাজে নিয়োজিত থাকবেন।
• নিয়মিত ব্যায়াম করবেন। হাঁটা, জগিং, হালকা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ ডায়াবেটিস থেকে দূরে রাখবে।
• বছরে তিন থেকে চারবার রক্তের ব্লাড সুগার চেকআপ করবেন।
• সুষম স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন
• জীবনযাপনে শৃঙ্খলা ধরে রাখবেন; সময়মতো খাওয়া-খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম, খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা, ব্যায়াম ইত্যাদি সদভ্যাস বজায় রেখে ডায়াবেটিসকে প্রতিরোধ করতে পারেন।
ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের করণীয় কী
ডায়াবেটিস একটি জটিল রোগ এবং এ থেকে বিভিন্ন ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। তাই একবার কারো ডায়াবেটিস ধরা পড়লে রোগীকে ডাক্তারের পরামর্শমতো চলতে হবে, আর এজন্য তিনটি বিষয়ের ওপর যত্নবান হওয়া একান্ত প্রয়োজন-খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম ও ওষুধ।
• ব্লাড সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন, এজন্য নিয়মিত চেকআপ করবেন।
• চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্য পরিকল্পনা করুন। পরিমিত স্নেহ, আমিষ ও শর্করাজাতীয় খাবারের সমন্বয়ে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাদ্য গ্রহণ করবেন।
• ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ব্যায়াম করবেন।
• ব্যায়াম করার সময়, আগে ও পরে প্রচুর চিনিবিহীন তরল পানীয় খাবেন।
• চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাবেন, প্রয়োজনে ইনসুলিন গ্রহণ করবেন।
• উচ্চ রক্তচাপ এবং রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
কী করবেন না?
• ধূমপান করবেন না।
• দেহের ওজন বৃদ্ধি পায় এ রকম খাবার, যেমন অতিরিক্ত চিনি, শর্করা ও চর্বিজাতীয় খাবার খাবেন না।
• গ্লুকোজ বা চিনি আছে এ রকম খাবার পরিহার করুন।
• শুয়ে বসে অলস সময় কাটাবেন না।
• খাদ্য গ্রহণে দীর্ঘ সময় বিরতি দেবেন না।
লেখক : কনসালট্যান্ট ডায়াবেটোলজিস্ট ও মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞ, সাবেক পরিচালক, হেরা জেনারেল হাসপাতাল, সৌদি আরব।
কিভাবে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যায়?
• দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। তাই বেশি পরিমাণ চিনিযুক্ত ও চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন।
• নিজেকে সচল রাখুন। কায়িক পরিশ্রম হয় এ রকম কাজে নিয়োজিত থাকবেন।
• নিয়মিত ব্যায়াম করবেন। হাঁটা, জগিং, হালকা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ ডায়াবেটিস থেকে দূরে রাখবে।
• বছরে তিন থেকে চারবার রক্তের ব্লাড সুগার চেকআপ করবেন।
• সুষম স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন
• জীবনযাপনে শৃঙ্খলা ধরে রাখবেন; সময়মতো খাওয়া-খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম, খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা, ব্যায়াম ইত্যাদি সদভ্যাস বজায় রেখে ডায়াবেটিসকে প্রতিরোধ করতে পারেন।
ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের করণীয় কী
ডায়াবেটিস একটি জটিল রোগ এবং এ থেকে বিভিন্ন ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। তাই একবার কারো ডায়াবেটিস ধরা পড়লে রোগীকে ডাক্তারের পরামর্শমতো চলতে হবে, আর এজন্য তিনটি বিষয়ের ওপর যত্নবান হওয়া একান্ত প্রয়োজন-খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম ও ওষুধ।
• ব্লাড সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন, এজন্য নিয়মিত চেকআপ করবেন।
• চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্য পরিকল্পনা করুন। পরিমিত স্নেহ, আমিষ ও শর্করাজাতীয় খাবারের সমন্বয়ে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাদ্য গ্রহণ করবেন।
• ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ব্যায়াম করবেন।
• ব্যায়াম করার সময়, আগে ও পরে প্রচুর চিনিবিহীন তরল পানীয় খাবেন।
• চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাবেন, প্রয়োজনে ইনসুলিন গ্রহণ করবেন।
• উচ্চ রক্তচাপ এবং রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
কী করবেন না?
• ধূমপান করবেন না।
• দেহের ওজন বৃদ্ধি পায় এ রকম খাবার, যেমন অতিরিক্ত চিনি, শর্করা ও চর্বিজাতীয় খাবার খাবেন না।
• গ্লুকোজ বা চিনি আছে এ রকম খাবার পরিহার করুন।
• শুয়ে বসে অলস সময় কাটাবেন না।
• খাদ্য গ্রহণে দীর্ঘ সময় বিরতি দেবেন না।
লেখক : কনসালট্যান্ট ডায়াবেটোলজিস্ট ও মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞ, সাবেক পরিচালক, হেরা জেনারেল হাসপাতাল, সৌদি আরব।
No comments