মায়ের পেটে গুলিবিদ্ধ শিশুটির অবস্থা স্থিতিশীল
‘বেবি অব নাজমা’ |
মাগুরায়
ছাত্রলীগের গুলিতে মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ শিশুটির অবস্থা
স্থিতিশীল। আজ শুক্রবার তাঁকে প্রথমবারের মতো তাঁকে মায়ের দুধও খেতে দেওয়া
হয়েছে।
তবে শুক্রবারও মেয়ের সঙ্গে দেখা হয়নি মায়ের। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, উচ্চরক্তচাপে বিছানায় পড়ে আছেন নাজমা। চিকিৎসক আর নিরাপত্তারক্ষীদের মুঠোফোনে তিনি শিশুর ছবি দেখেছেন। সেই ছবি দেখেই দুঃখ করে বলছিলেন, গুলির আঘাত, অস্ত্রোপচার, খাওয়া-দাওয়া নেই বলে তাঁর মেয়েটাকে বড্ড রুগ্ণ আর ছোট দেখায়।
মাগুরা শহরের দোয়ারপাড় কারিগরপাড়ায় গত বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন অন্তঃসত্ত্বা নাজমা বেগম (৩৫)। গুলি মায়ের পেটে শিশুর শরীরও এফোঁড়-ওফোঁড় করে ফেলে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোববার ভোর সাড়ে চারটায় চাচা-ফুপু আর পুলিশ বেবি অব নাজমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। গতকাল বৃহস্পতিবার মাগুরা থেকে ঢাকায় আসেন শিশুটির মা নাজমা বেগম।
সন্ধ্যায় বুলেটবিদ্ধ মেয়ের কথা বলতে গিয়ে নাজমা বেগম বেশ কয়েকবার দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ে ধরেন। চোখ বেয়ে নিঃশব্দে পানি গড়িয়ে পড়ছিল। আবার কখনো নিজেই নিজেকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন। মেয়ের নাম কী, রাখবেন এমন প্রশ্নে একটু থেমে থেকে বলেন, ‘...লোকে তো কচ্ছে বাঁচে থাকলে আমার মেয়ে বিপ্লবী শেখ হাসিনা হবি। পেটের থ্যাকেই গুলি খ্যায়ে বারায়েছে। আমার চাচা শ্বশুরকে গুলি করিছে আমারে গুলি করার পর। সে তো বাঁচল না। আমি বাঁচলাম। আমার মণিও আল্লাহর রহমতে বাঁচে আছে।’
মা যখন মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা কিছু ভাবছেন মেয়ে তখন স্পেশাল কেয়ার বেবি ইউনিটে (স্ক্যাবু)। বেবি অব নাজমা শিশু সার্জারির সহযোগী অধ্যাপক কানিজ হাসিনার তত্ত্বাবধানে আছে। আজ রাতে কানিজ হাসিনা প্রথম আলোকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ওর রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে গিয়েছিল। আজ (শুক্রবার) আমরা পরীক্ষা করে দেখলাম প্লাটিলেটের পরিমাণ বেড়েছে। প্রথমবারের মতো ওকে মায়ের দুধও দেওয়া হয়েছে। অবস্থা এখন স্থিতিশীল।’
নাজমা তাঁর পাখির মতো ছোট্ট মেয়েটার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানেন না। মেয়েকে বাঁচাতে চিকিৎসককে আজ বারবার অনুরোধ করেছেন। চিকিৎসকেরাও সর্বোচ্চ সেবার আশ্বাস দিয়েছেন। এই প্রতিবেদকের কাছেও নাজমা জানতে চেয়েছিলেন, মেয়ে কেমন আছে। ওর ভালো হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কতটুকু। বেবি অব নাজমার মা নাজমা বেগম ও বাবা বাচ্চু ভূঁইয়া মেয়ের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
তবে শুক্রবারও মেয়ের সঙ্গে দেখা হয়নি মায়ের। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, উচ্চরক্তচাপে বিছানায় পড়ে আছেন নাজমা। চিকিৎসক আর নিরাপত্তারক্ষীদের মুঠোফোনে তিনি শিশুর ছবি দেখেছেন। সেই ছবি দেখেই দুঃখ করে বলছিলেন, গুলির আঘাত, অস্ত্রোপচার, খাওয়া-দাওয়া নেই বলে তাঁর মেয়েটাকে বড্ড রুগ্ণ আর ছোট দেখায়।
মাগুরা শহরের দোয়ারপাড় কারিগরপাড়ায় গত বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন অন্তঃসত্ত্বা নাজমা বেগম (৩৫)। গুলি মায়ের পেটে শিশুর শরীরও এফোঁড়-ওফোঁড় করে ফেলে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোববার ভোর সাড়ে চারটায় চাচা-ফুপু আর পুলিশ বেবি অব নাজমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। গতকাল বৃহস্পতিবার মাগুরা থেকে ঢাকায় আসেন শিশুটির মা নাজমা বেগম।
সন্ধ্যায় বুলেটবিদ্ধ মেয়ের কথা বলতে গিয়ে নাজমা বেগম বেশ কয়েকবার দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ে ধরেন। চোখ বেয়ে নিঃশব্দে পানি গড়িয়ে পড়ছিল। আবার কখনো নিজেই নিজেকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন। মেয়ের নাম কী, রাখবেন এমন প্রশ্নে একটু থেমে থেকে বলেন, ‘...লোকে তো কচ্ছে বাঁচে থাকলে আমার মেয়ে বিপ্লবী শেখ হাসিনা হবি। পেটের থ্যাকেই গুলি খ্যায়ে বারায়েছে। আমার চাচা শ্বশুরকে গুলি করিছে আমারে গুলি করার পর। সে তো বাঁচল না। আমি বাঁচলাম। আমার মণিও আল্লাহর রহমতে বাঁচে আছে।’
মা যখন মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা কিছু ভাবছেন মেয়ে তখন স্পেশাল কেয়ার বেবি ইউনিটে (স্ক্যাবু)। বেবি অব নাজমা শিশু সার্জারির সহযোগী অধ্যাপক কানিজ হাসিনার তত্ত্বাবধানে আছে। আজ রাতে কানিজ হাসিনা প্রথম আলোকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ওর রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে গিয়েছিল। আজ (শুক্রবার) আমরা পরীক্ষা করে দেখলাম প্লাটিলেটের পরিমাণ বেড়েছে। প্রথমবারের মতো ওকে মায়ের দুধও দেওয়া হয়েছে। অবস্থা এখন স্থিতিশীল।’
নাজমা তাঁর পাখির মতো ছোট্ট মেয়েটার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানেন না। মেয়েকে বাঁচাতে চিকিৎসককে আজ বারবার অনুরোধ করেছেন। চিকিৎসকেরাও সর্বোচ্চ সেবার আশ্বাস দিয়েছেন। এই প্রতিবেদকের কাছেও নাজমা জানতে চেয়েছিলেন, মেয়ে কেমন আছে। ওর ভালো হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কতটুকু। বেবি অব নাজমার মা নাজমা বেগম ও বাবা বাচ্চু ভূঁইয়া মেয়ের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
No comments